প্রগতিশীল ছাত্র জোটের ডাকে ২ মার্চ, ২০১৫ লেখক-ব্লগার অভিজিৎ রায়ের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করা হয়। অবিলম্বে অভিজিৎ রায়ের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে ধর্মঘটে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন। ধর্মঘট চলাকালে সকাল ৭ টা থেকে জোটের নেতা-কর্মীরাসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করে বিভিন্ন পয়েন্টে সমাবেশ করে। দুপুর ১২ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
অভিজিৎ রায়ের হত্যাকারীদের বিচারের দাবি তুলে বক্তরা বলেন, অবিলম্বে খুনীদের সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অভিজিৎ রায়ের হত্যাকা- বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি তারই ফল হিসেবে উল্লেখ করেন বক্তরা।
বক্তারা আরো বলেন, শিক্ষাব্যবস্থাসহ রাষ্ট্রের সর্বত্র সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ ও অগণতান্ত্রিকতার ক্ষেত্র প্রস্তুত রেখেছে মহাজোট-জোটসহ বিভিন্ন সরকারগুলো। সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী শক্তিকে নিষিদ্ধ করার বদলে টিকিয়ে রেখে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন সম্ভব নয়, মুক্তচিন্তাও নিরাপদ নয়।
প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হাসান তারেকের সভাপতিত্বে আজকের ধর্মঘট কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুজ্জামান সাকন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম সোহেল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল কবীর, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লাকী আক্তার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমান, ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি সভাপতি মনোয়ার হোসেন মাসুদসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
একই দাবিতে আগামীকাল ৩ মার্চ, ২০১৫ বিকেল ৩:৩০ টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে ছাত্র-শিক্ষক-বুদ্ধিজীবী-জনতার সংহতি সমাবেশ
সংহতি সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, তানজীমউদ্দিন খান, অধ্যাপক এম এম আকাশসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব