অবিলম্বে অভিজিৎ রায়ের হত্যাকারীদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি
গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদ ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ শুক্রবার, সকাল ১০ টায় মোর্চার কার্যালয়ে এক সভায় মুক্তমনা লেখক অভিজিৎ রায় খুন হবার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ জানান।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, মুক্তমনা ও প্রগতিশীল লেখক অভিজিৎ রায়ের হত্যাকান্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ জানান। প্রতিবাদী বিজ্ঞানমনস্ক লেখককে যে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে অবিলম্বে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, অভিজিৎ রায়ের অকাল মৃত্যু মুক্তচিন্তার জগতে বড় এক ক্ষতি হয়ে গেলো। শুধু অভিজিৎ রায়ই নন এভাবে আরো অনেক প্রগতিশীল সমাজচিন্তক মানুষকে আমরা খুন হতে দেখেছি কিন্তু কোন বিচার পাই নি। বিচারহীনতার এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে মূল্যবান প্রাণের অপচয় হতেই থাকবে। সুতরাং অভিজিৎ রায়ের হত্যাকারীদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে আইনের প্রয়োগ ও বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী শক্তির পুষ্টির জোগান বিদ্যমান এই রাষ্ট্রের মধ্যেই নিহিত আছে ফলে অভিজিৎ রায়ের হত্যার দায়ভার সরকারেরই। নাগরিকদের বাকস্বাধীনতা ও ঘরে-বাইরে নিরাপত্তা সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে। সকল সন্ত্রাসীদের বর্জন করে সারাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সক্রিয়ভাবে কাজ করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
বাম মোর্চার সমন্বয়ক গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)-র কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা হামিদুল হক, বাসদ (মাহবুব) কেন্দ্রীয় নেতা মহিনউদ্দীন চৌধুরী লিটন, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাড. আব্দুস সালাম, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা অদ্যাপক আবদুস সাত্তার, বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা ফখরুদ্দিন আতিক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা শহীদুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ।