নবগঠিত নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার প্রতিক্রিয়া
আওয়ামী মহাজোটের আনুকূল্য এবং পছন্দের ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে
নবগঠিত নির্বাচন কমিশন বিষয়ে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার প্রতিক্রিয়া জানাতে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, বৃহস্পতিবার, বেলা ১২:৩০ টায় তোপখানা রোডের নির্মল সেন মিলনায়তনে এক সাংবাদিক সম্মেলন আহ্বান করা হয়েছিল। সাংবাদিক সম্মেলনে বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির আকবর হোসেনের সঞ্চালনায় লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাসদ (মার্কসবাদী) অন্যতম কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক আবদুস সালাম, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহবায়ক হামিদুল হক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেরনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে দেশব্যাপী বেশ কিছুকাল ধরে আলোচনা, সংশয় ও আশাবাদ লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। কেননা ৫ জানুয়ারির যে প্রহসনের নির্বাচনের ওপর ভিত্তি করে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তা এই সরকারের বৈধতাকে জনগণের সামনে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এই বৈধতার অনুপস্থিতির বিষয়ে বর্তমান সরকারও যে সচেতন, তা নানান সময়ে তাদের কাজ ও কথায় প্রকাশিত হয়েছে। এই গ্রহণযোগ্যতার অভাব মেটাতেই তারা বলপ্রয়োগকে রাষ্ট্র পরিচালনার প্রধান হাতিয়ার বানিয়ে বাংলাদেশকে একদিকে পুলিশী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে; অন্যদিকে রাজনৈতিক কার্যকলাপ, মত প্রকাশ সহ সকল ধরনের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে বাধানিষেধ নিত্যদিনের বিষয় বানিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সকলের দাবি হিসেবে আছে বলেই পরবর্তী নির্বাচন পরিচালনা করবে কোন নির্বাচন কমিশন, কাদের দ্বারা এবং কীভাবে তাদের বাছাই করা হচ্ছে, কমিশনারদের গ্রহণযোগ্যতা সকলের কাছে আছে কি না, এই সব প্রশ্নগুলো বারংবার উত্থাপিত হবে, এটাই স্বাভাবিক।
কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সাথে আলাপ আলোচনার প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি নতুন নির্বাচন কমিশনের নামও ঘোষণা করেছেন। জনগণ আশা করেছিলেন, প্রস্তাবিত নামগুলোর মাঝ থেকে গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের বাছাই করা হবে। সেটা তো হয়ইনি, বরং মহাজোটের আনুকূল্য এবং পছন্দের ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা এক্ষেত্রে মনে করে, গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের বাছাই করে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার সুযোগ ছিল।
পুরো প্রক্রিয়াটাই অস্বচ্ছ একটি পদ্ধতিতে ঘটেছে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির পদটি কার্যত একটি আলঙ্কারিক পদ। প্রধানমন্ত্রীর একক ক্ষমতা নিশ্চিত করা এই সংবিধানে বাকি কোন পদেরই ভূমিকা রাখার কোন সুযোগ নেই। সেই অর্থে বলা যায়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার সহ নির্বাচন কমিশনকে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষেই গঠন করা হয়েছে। এই নির্বাচন কমিশন যে স্বাধীনভাবে কাজ করতে সক্ষম হবে না, এই আশঙ্কা তাই অসঙ্গত নয়।
নিয়োগপ্রাপ্ত সকল কমিশনারই আমলা এবং তুলনামূলকভাবে অপরিচিত। সাধারণ নাগরিকরা তো বটেই, রাজনৈতিক মহলও তাদের বিষয়ে খুব বেশি কিছু জানেন না। কোন গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দায়িত্ব পালনের কোন অভিজ্ঞতাও তাদের নেই। একটি জাতীয় দৈনিকে অধাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী মন্তব্য করেছেন: একজন বাদে তিনি কাউকে চেনেন না। তিনি সহ বিশিষ্ট নাগরিকরা প্রস্তাব করেছিলেন, সাহসী দৃঢ় এবং দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনের দৃষ্টান্ত রয়েছে এমন ব্যক্তিদের নিয়েই নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য। এমনকি, নাম চূড়ান্ত করার পর এদেরকে কোন কোন যোগ্যতার ভিত্তিতে বাছাই করা হয়েছে, তাও আলোচনা করা হয়নি।
এভাবে নবগঠিত নির্বাচন কমিশন আস্থা ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। যে তলপিবাহক নির্বাচন কমিশন আমরা গত নির্বাচনে দেখেছি, তারই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে, এই আশঙ্কাই জনগণের মাঝে ফিরে এসেছে। গণতান্ত্রিক বাম মোর্চাও মনে করে, এমন একটি নির্বাচন কমিশনের পক্ষে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা প্রায় অসম্ভব।
বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৮।(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী “প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চার জন নির্বাচন কমিশনারকে লইয়া] বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকিবে এবং উক্ত বিষয়ে প্রণীত কোন আইনের বিধানাবলী-সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগদান করিবেন।” কিন্তু, সংবিধান প্রণয়নের ৪৬ বছর হলেও নির্বাচন কমিশন যে ‘আইনের বিধানাবলী-সাপেক্ষে’ নিয়োগ পাবার কথা, সেই আইনটি কোন সরকার, কোন সংসদ প্রণয়ন করেনি। করার উদ্যোগও গ্রহণ করেনি। অর্থাৎ, সংবিধানের ঘোষণা অনুযায়ী প্রণীত কোন আইনের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয় না বাংলাদেশে। ফলে পুরো বিষয়টিই সরকারপ্রধানের খেয়াল খুশি মত হওয়াটা এই দেশে আইনী বাস্তবতা। এই কারণেই প্রতিটি নির্বাচনের আগেই নির্বাচন কমিশনে কারা নিয়োগ পাচ্ছেন, কে নিয়োগ দিচ্ছে, তারা নিরপেক্ষ কি না, এই প্রশ্নগুলো বারংবার উঠছে। গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা মনে করে, বর্তমান আওয়ামী লীগ সহ বিগত সরকারগুলো নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্যই এই আইন প্রণয়নের উদ্যোগ থেকে বিরত থেকেছে। নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য একটি গণতান্ত্রিক ও গ্রহণযোগ্য আইন প্রণয়ন করা হলে এই বিষয়ে বিবাদ ও অনিশ্চয়তা অনেকখানিই কমে যেতো।
অন্যদিকে সরকার বারবার নারায়নগঞ্জের নির্বাচনের উদাহরণ টেনেছেন। নারায়নগঞ্জের বিশেষ পরিস্থিতির কথা মাথায় রাখলেও এটা বলাটা আবশ্যক যে, এই নির্বাচন যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে সক্ষমতার উদাহরণ হয়ে থাকে, তাহলে তা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনাকে আরও প্রশ্নের মাঝে ফেলে। কেননা, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়েই সেক্ষেত্রে প্রমাণিত হয় যে, নির্বাচন স্বচ্ছ হওয়া বা না হওয়া কার্যকরভাবে নির্ভর করে আওয়ামী লীগ সরকার গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাইছে কি চাইছে না, তার ওপর। এর আগে দেশব্যাপী জাতীয় নির্বাচন ও স্থানীয় পরিষদের নির্বাচনে ভোটের নামে যে তামাশায় বিদায়ী নির্বাচন কমিশন পৌরহিত্য করেছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে তা অসততা ও দায়িত্বহীনতার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। ফলে আমরা দেখতে পাচ্ছি, নির্বাচন সুষ্ঠ হওয়া বা না হওয়া বর্তমান বাস্তবতায় নির্বাচন কমিশনের ওপর নির্ভর করে না। করে সরকারের মর্জির ওপর।
গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা মনে করে এই পরিস্থিতির অবসানে সংবিধানের ১১৮ (১) অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন, নির্বাচন কমিশনার হিসেবে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের দায়িত্ব প্রদান করা আবশ্যক। এছাড়াও, বিগত আমলে সংবিধান প্রদত্ত অধিকার খর্ব করা রাজনৈতিক দলসমূহের রেজিষ্ট্রেশনের জন্য আরোপ করা শর্তসমূহ বাতিল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বচনে অংশ নিতে গেলে যে বিপুল পরিমান স্বাক্ষর উপস্থাপন করার নিয়ম করা হয়েছে, সেগুলোও বাতিল করতে হবে। জামানতের পরিমান শ্রমজীবী প্রার্থীদের আয়ের সীমার মাঝে হতে হবে। এবং বিগত নির্বাচন সমূহে গণমাধ্যমের সামনে প্রকাশ্যে অনিয়ম ও কারচুপির সাথে যুক্ত কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের শাস্তির দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। এই সব কাজ ছাড়া একটি সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন অসম্ভব বলেই গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা মনে করে। অন্যথায়, পুরো নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়াটিকেই জনগণ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগের সাজানো নাটক হিসেবে যেভাবে ধরে নিয়েছেন, তাই সত্যি প্রমাণ হবে।
কমরেড লেনিন এর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ
বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২১ জানুয়ারি মহামতি লেনিনের ৯৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সদস্য ওবায়দুল্লাহ মুসা, ফখরুদ্দিন কবির আতিক, সাইফুজ্জামান সাকন।
মাস্টারদা সূর্য সেনর ফাঁসি দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি
মাস্টারদা সূর্যসেন ছিলেন ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ। তাঁর নেতৃত্বে যুববিদ্রোহের মাধ্যমে দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এদেশের যুবসমাজ। তৎকালীন সময়ে যখন বৃটিশ সাম্রাজ্যের সূর্য অস্তমিত হয় না বলা হত, ঠিক সে সময়ে মাস্টারদার নেতৃত্বে চট্টগ্রামে স্বাধীন ভারতবর্ষের পতাকা উত্তোলিত হয়েছিল। কিন্তু আজকের দিনে শাসকরা এ ধরণের চরিত্র আমাদের সামনে থেকে মুছে দিতে চায়। সূর্য সেনের মতো চরিত্রদের স্মরণ করার কোনো আয়োজন নেই। একদিন মাস্টারদা যুবসমাজকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করেছিলেন। কিন্তু আজকে তাদের চরিত্র হরণের মধ্য দিয়ে যুব সমাজকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা চলছে। ১২ জানুয়ারি মাস্টারদা সূর্যসেন’র ৮৩তম ফাঁসি দিবসে বাসদ (মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম জেলা শাখা জে এম সেন হলস্থ মাস্টারদা সূর্যসেনের আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বক্তারা এসব কথা বলেন। জেলা আহবায়ক কমরেড মানস নন্দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব কমরেড অপু দাশ গুপ্ত।
এল.পি.জি ব্যবসায়ীদের একতরফা মুনাফার স্বার্থে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে সরকার
গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির পাঁয়তারার প্রতিবাদে ১২ ডিসেম্বর সোমবার বিকাল ৪টায় গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গণতান্ত্রিক বামমোর্চার সমন্বয়ক গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদের সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সদস্য সাইফুজ্জামান সাকন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আব্দুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু প্রমুখ।
আন্দোলনের বিজয়
ভর্তি ক্ষেত্রে চা বাগানের শিক্ষার্থীদের ১০ ভাগ কোটা মানতে বাধ্য হলো প্রশাসন
‘ই বার হামদের (আমাদের) ছেলে মেয়ে গুলান ইশকুলে পড়বেক (পড়বে), টাকা নাই লাগবে’- লাক্কাতুরা চা বাগানে সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় নির্মাণ প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই চা শ্রমিকদের মধ্যে এই মনোভাব তৈরি হয়েছিল। বুকের নিভৃত কোণে অনেক দিনের চাপা পড়া স্বপ্ন এবার যেন বাস্তবায়ন হবে। কিন্তু কেতাদুরস্ত স্যুট-টাই পরা সরকারের কর্তাব্যক্তিদের বুকে মাত্র ৮৫টাকা মজুরির চা শ্রমিকদের এই স্বপ্ন স্পর্শ করবে কেন?
২৮ নভেম্বর’১৬ স্কুলে ভর্তির সার্কুলার জারি করে প্রশাসন, কিন্তু দেখা গেল অতীতের বহু আশ্বাসের ন্যায় এবারও সেই একই প্রতারণার পথে হাটলো সরকার। চা শ্রমিকদের স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ ব্যবস্থা নেই। তৎক্ষণাৎ আন্দোলনে নামে ‘চা বাগান শিক্ষা অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ’, দাবি তোলা হয় ভর্তির ক্ষেত্রে চা বাগানের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার এবং ৪০ ভাগ কোটা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ মাধ্যমিক সরকারি স্কুলে ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালায় ঢাকা শহরের মত জায়গায় ৪০ ভাগ এলাকা কোটা রয়েছে, তবে পশ্চাৎপদ চা বাগানের ক্ষেত্রে কেন নয়? এ সময় চা শ্রমিকদের মনোভাব বুঝা যায় লাক্কাতুরা চা বাগানের ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রের বক্তব্যে- “আমাদের বুকের উপর স্কুল আর আমরা চেয়ে চেয়ে দেখবো? আমাদের সুযোগ না দিলে স্কুল চালু হবে না।” ৯ ডিসেম্বর স্কুলের সামনে অনুষ্ঠিত হয় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। মিছিল সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন আশপাশের বাগানের কয়েকশ চা শ্রমিক।
বাগানে বাগানে সংহতি সমাবেশ এবং বিভিন্ন সংগঠনের সাথে মত বিনিময় প্রক্রিয়ায় আন্দোলন আরোও জোরদার হয়ে উঠে। এই আন্দোলন চলতে চলতে ১৭ ডিসেম্বর স্কুলের সম্মুখে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেন চা শ্রমিকরা। আম্বরখানা- বিমানবন্দর রোড অবরোধ করা হয়। অবরোধের এক পর্যায়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ জয়নুল আবেদিন এসে ৩ দিনের মধ্যে দাবি পূরণের আশ্বাস দেন, আসেন স্থানীয় চেয়ারম্যানও। এ সময় অবরোধ থেকে স্লোগন উঠে ‘মুখের কথায় মানি না, লিখিত ছাড়া বুঝি না’, ‘টাকা যার শিক্ষা তার, এই নীতি মানি না’, ‘গ্যাস দিয়েছি, মাঠ দিয়েছি, স্কুল আমরা দিবো না’। অবরোধ থেকে বাগানে কর্মবিরতীসহ বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া হয়, এবং প্রস্তুতি চলতে থাকে। ২৫ ডিসেম্বর শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জানানো হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে এবং সর্বশেষ ১ জানুয়ারি’১৭ জেলা প্রশাসক ১০ ভাগ কোটা প্রদানের কথা নিশ্চিত করেন। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ একে আন্দোলনের প্রাথমিক বিজয় উল্লেখ করে আন্দোলনের সাথে যুক্ত সকলকে অভিনন্দন জানান। নেতৃবৃন্দ এই আন্দোলন থেকে শিক্ষা নিয়ে উক্ত বিদ্যালয়ে ৪০ ভাগ কোটা ও প্রতি চা বাগানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ এবং শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে চা বাগানের শিক্ষার্থীদের বিশেষ কোটাসহ ৫ দফা দাবিতে সংগঠনের ধারাবাহিক আন্দেলনকে বেগবান করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
আলুর ন্যায্য মূল্যের দাবিতে বাসদ (মার্কসবাদী)’র বিক্ষোভ
আলুসহ সকল সবজী চাষীদের রক্ষা ও সরকারি উদ্যোগে পর্যাপ্ত কোল্ড ষ্টোরেজ নির্মাণের দাবিতে বাসদ (মার্কসবাদী) গাইবান্ধা জেলা শাখার আয়োজনে গত ১৫ জানুয়ারি রোববার একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে সংগঠন কার্যালয় চত্বরে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বাসদ (মার্কসবাদী)‘র আহবায়ক কমরেড আহসানুল হাবিব সাঈদ, নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী প্রমুখ। বক্তারা বলেন, আলু চাষিরা প্রতি বছর ন্যায্য মূল্য না পেয়ে দিন দিন নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। পর্যাপ্ত হিমাগার না থাকার ফলে চাষিদের উৎপাদিত ফসল নষ্ট হয়ে যায়। যত সামান্য কোল্ড ষ্টোরেজ রয়েছে তা নিয়েও চলে নানা দুর্নীতি ও লুটপাট। তাই বক্তারা অবিলম্বে আলুসহ সকল সবজী চাষিদের রক্ষা করতে ফসলের মূল্য নিশ্চিত এবং পর্যাপ্ত কোল্ড ষ্টোরেজ নির্মাণের দাবি জানান। সেইসাথে কৃষি ও কৃষক রক্ষার আন্দোলনে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
একই দাবিতে বাসদ (মার্কসবাদী) রংপুর জেলা শাখার উদ্যোগে গত ২৫ জানুয়ারি প্রেসক্লাব চত্বরে মানবন্ধন-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সমন্বয়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে বক্তৃতা করেন দলের জেলা কমিটির সদস্য পলাশ কান্তি নাগ, সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের সদস্য আব্দুস সাত্তার প্রামাণিক, ছাত্রনেতা রোকনুজ্জামান রোকন প্রমুখ।
সাম্প্রদায়িক মোড়কে পাঠ্যপুস্তক, রবীন্দ্রনাথ-শরৎচন্দ্রের লেখা বাদ
এবার কি বলবেন আওয়ামী লীগের তল্পিবাহক বুদ্ধিজীবীরা?
প্রাথমিক ও মাধ্যিমকের পাঠ্যপুস্তকে এবছর যে নজিরবিহীন ভুল হয়েছে তা শুধু সরকারের বা এসিটিবির কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতার প্রকাশই নয়, এই ঘটনা সরকারের মদদপুষ্ট । হেফাজতের দাবি অনুসারে পাঠ্যপুস্তকে লেখা বাতিল এবং সংযোজনই প্রমাণ করে এতে সরকারও জড়িত। এভাবে হেফাজতের সাথে আপোষ করে আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে মধ্যযুগীয় অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে চায়। মুখে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বললেও বাস্তবে জঙ্গিবাদ- মৌলবাদের আদর্শিক জমিন তৈরি করে দিচ্ছে। সে কারণেই প্রগতিশীল লেখকদের লেখা বাদ দিয়ে ধর্মীয় ভাবধারার লেখা পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করছে। যে সমস্ত মহান সাহিত্যিকরা একসময় সামন্তীয় অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মশাল জ্বেলেছেন তাদের লেখা বাদ দিয়েছে। এতে আওয়ামী লীগের সাম্প্রদায়িক চেহারা উন্মোচিত হয়েছে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ৩৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ২২ জানুয়ারি বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলায় ছাত্র সমাবেশ করেছে। ছাত্র সমাবেশ শেষে পাঠ্যপুস্তকের লেখা বিকৃতি, লৈঙ্গিকবৈষম্য, সাম্প্রদায়িক বিষয়বস্তু অর্ন্তভুক্তির প্রতিবাদে মিছিল সহকারে স্মারকলিপি শিক্ষামন্ত্রীকে স্মারকলিপি পেশ করা হয়। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক স্নেহার্দি চক্রবর্ত্তী রিন্টুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, দপ্তর সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার, অর্থ সম্পাদক শরীফুল চৌধুরী।
বিদ্যাসাগর-রোকেয়ার স্বপ্নকে হত্যা করে বাল্যবিবাহকে বৈধ করার আয়োজন করছে সরকার
গত ২৪ নভেম্বর ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৬’ শীর্ষক খসড়া বিল মন্ত্রী পরিষদ অনুমোদন করেছে। এই খসড়া আইনের ১৯ ধারায় মেয়েদের বিবাহের বয়স ১৮ রাখা হলেও বিশেষ ক্ষেত্রে মেয়েদের “সর্বোত্তম স্বার্থে”, “আদালতের নির্দেশে”এবং মা বাবার সম্মতিতে যেকোন “অপ্রাপ্তবয়স্ক” মেয়ের বিবাহ হতে পারবে। বাল্যবিবাহ নারীর মানবাধিকারের চরম লংঘন। আর “অপ্রাপ্তবয়স্ক” নারীর বিবাহ মানে তা শিশু বিবাহ। শিশু বিবাহের কারণে নারী শারীরিকমানসিক, যৌন ও আর্থিক নির্যাতনের শিকার হয়। শিক্ষার অধিকার থেকেও বঞ্চিত হয়। সরকারের পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, বাংলাদেশে ৬৬ শতাংশ বাল্যবিবাহ হচ্ছে। আর ইউনিসেফ প্রকাশিত হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ২০১৫ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে ৭১ শতাংশ এবং শহরে ৫৪ শতাংশ মেয়েদের ১৮ বছরের নিচে বিবাহ হয়। সরকার ২০২১ সালে বাল্যবিবাহ ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার জন্য আর্ন্তজাতিকভাবে যে ঘোষণা দিয়েছে তার সঙ্গেও এই আইন সাংঘর্ষিক। ১৯২৯ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে বাল্যবিবাহ ছিল শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এই খসড়া আইন বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক অধিকারের ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। শিশু অধিকার সনদ ও সিডও সনদকেও তা লংঘন করেছে। একই সাথে জাতীয় শিশুনীতি ২০১১ ও শিশু আইন ২০১৩ কে লংঘন করেছে। শুধু তাই নয় পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন ২০১০, মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) সহ অন্যান্য বিধিবিধানের বিপরীতে সরকার এই আইন পাশ করতে যাচ্ছে।
শিক্ষাক্ষেত্রে ঝরে পড়ার হার বাড়বে
বাংলাদেশ শিক্ষা, তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী, প্রাথমিক শিক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা সমান। মাধ্যমিক স্তরে ৫৩ শতাংশ, কলেজ পর্যায়ে ৪৭ শতাংশ এবং উচ্চশিক্ষায় ৩৩ শতাংশ মেয়েরা শিক্ষাগ্রহণ করছে। ইউনিসেফের ‘উইমেন্স লাইফ চয়েস এন্ড এটিচুডস ২০১৪’ এর গবেষণায় দেখা গেছে, বিবাহ সংক্রান্ত কারণে ২৪ শতাংশ মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। আর সরকারের অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, প্রাথমিক পর্যায়ে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা বেশি হলেও মাধ্যমিক পর্যায়ে তাদের সংখ্যা ৩০ শতাংশে দাঁড়ায়। অর্থাৎ ৭০ শতাংশ কিশোরী লেখাপড়া থেকে বাদ পড়ে যায় (২২ নভেম্বর ২০১৬ প্রম আলো)। আমাদের দেশের মেয়েদের পশ্চাৎপদ অবস্থানের চিত্র বুঝতে এই তথ্যই যথেষ্ট। ফলে এই আইন ঐ কিশোরীদের জীবনে আরো ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে, ঝড়ে পড়ার হারও বাড়বে।
মাতৃমৃত্যুর হার ও মাতৃস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়বে
১৮ বছরের পূর্বে নারীর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ হয় না। ভগ্ন স্বাস্থ্যের মা ভগ্ন স্বাস্থ্যের শিশুই জন্ম দিবে এটাই স্বাভাবিক। সন্তান যখন গর্ভে থাকে তখন মাকে পুষ্টিকর খাবার দেয়ার মতো সামর্থ্য আমাদের দেশের কয়জন মানুষের আছে? দি ইন্টারন্যাশনাল এইড ট্রান্সপারেন্সী ইনিশিয়েটিভ এর তথ্যমতে, ‘বাংলাদেশে সন্তান প্রসবের সময় প্রতি লাখে ১৭০ জন নারী মৃত্যুবরণ করে। ৭১ শতাংশ নারীর পারিবারিক আয়োজনে প্রসবকালীন সেবা দেয়া হয় এবং মাত্র ৩৬ শতাংশ নারী দক্ষ ধাত্রীর সহযোগিতা পায়।’ বাল্যবিবাহের কারণে নারীরা যৌনরোগ, গর্ভকালীন জটিলতা, প্রসবকালীন স্বাস্থ্যঝুঁকি, জরায়ূ মুখে ক্যান্সার ও ফিস্টুলা সহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হবে। বহু বছর আগে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে বলেছিলেন, “…সকল সুখের মূল যে শারীরিক স্বাস্থ্য তাহাও বাল্য পরিণয়যুক্ত ক্ষয় পায়। ফলতঃ অন্যান্য জাতি অপেক্ষা অম্মদ্দেশীয় লোকেরা যে শারীরিক ও মানসিক সামর্থ্যে নিতান্ত দরিদ্র হইয়াছে, কারণ অন্বেষণ করিলে পরিশেষে বাল্যবিবাহই ইহার মূখ্য কারণ নির্ধারিত হইবেক সন্দেহ নাই।” আজ থেকে প্রায় ১২৫ বছর আগে বিদ্যাসাগর বাল্যবিবাহ সম্পর্কে এই বক্তব্য রেখেছিলেন এবং বাল্যবিবাহ বন্ধের জন্য আন্দোলন করেছিলেন। অথচ তথাকথিত ডিজিটাল বাংলাদেশে “অপ্রাপ্তবয়স্ক” মেয়েদের বিয়ের জন্য সরকার আইনে বিশেষ বিধান রেখেছে।
বিশেষ বিধান কি নারীর নিরাপত্তাহীনতা কমাবে?
দেশে প্রতিদিন ৩ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয় (ঢাকা ট্রিবিউন, জুলাই ০১, ২০১৬)। সরকারের পরিসংখ্যান ব্যুরোর২০১৫ সালের তথ্যানুযায়ী, দেশে বর্তমানে বিবাহিত নারীদের শতকরা ৮০ জনই কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হন। সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয় স্বামীর হাতে। ফলে বিবাহ নারীর জন্য নিরাপদ থাকার একমাত্র পথ নয়, পথ হলো মনুষ্যত্ব-বিবেক-সমমর্যাদা ও সমঅধিকার নিয়ে বাঁচার লড়াই। যে মা-বাবা মেয়ের নিরাত্তাহীনতার কথা ভাবছেন আপনারা কি এই সমাজে নিরাপদ? সকালে বাড়ি বা বাসা থেকে বের হলে নিরাপদে ঘরে ফিরবেন, তার নিশ্চয়তা কি সমাজে বা রাষ্ট্রে আছে? উত্তর, নেই। আপনার নিরাপত্তা নেই, আর এক্ষেত্রে মেয়েদের নিরাপত্তাহীনতা আরো বেশি। ফলে সরকার মেয়েদের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে ভাবছেন না, ভাবছেন ক্ষমতার নিরাপত্তা নিয়ে।
পুনর্বাসন না করে হকার উচ্ছেদ – বাম মোর্চার বিক্ষোভ
হকারদের ওপর পুলিশী হামলার বিচার এবং পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান ছাড়া হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে ১৭ জানুয়ারি ২০১৭ মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গণতান্ত্রিক বামমোর্চার অন্যতম নেতা গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য প্রদান করেন গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সদস্য মানস নন্দী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির বহ্নিশিখা জামালী, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নজরুল ইসলাম।