গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মাসুদ রেজা ও সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ আজ এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, “আমরা দেখছি যে, গোটা দেশের জরুরি প্রয়োজনীয় খাতগুলো বাদ দিয়ে বাকি সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সবরকম জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অথচ ৪০ লক্ষ শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্র যে গার্মেন্টস কারখানাগুলো, সেগুলো এখনও বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি। সকাল বেলা তারা কাজে ঢুকছে, কাজ করে বের হচ্ছে। একসাথে কাজ করছে, মিশছে। এইসব এলাকায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি খুবই মারাত্মক।
এখন কাজের যে খুব চাপ আছে তা নয়, কারণ গোটা বিশ্বই এখন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। এই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ গোটা বিশ্বের কাছে। আসলে গার্মেন্টস মালিকরা যেটা চাইছেন, সেটা হলো শ্রমিকদের সবেতন ছুটি না দিয়ে কারখানাগুলো আস্তে আস্তে বন্ধ করে দিতে। পরবর্তীতে শ্রমিক ছাঁটাইসহ বিভিন্ন পদক্ষেপও হয়তো তারা নিবেন।
শ্রমমন্ত্রীর সাথে শ্রমিক সংগঠনগুলোর বৈঠকে শ্রমিকদের সবেতন ছুটির দাবি উত্থাপিত হয়। কিন্তু সে ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে আজও কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। যে শ্রমিকের রক্তে ঘামে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রায় দেশের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে, সেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের সাথে চূড়ান্ত অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। ওরা মরুক, তাতে কোনো ক্ষতি নেই, কিন্তু মালিকের মুনাফার যেন কোনো ক্ষতি না হয়। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হলে জরুরি ভিত্তিতে কারখানা বন্ধ করে দিয়ে শূন্য হাতে শ্রমিকদের বাড়ি ফিরতে বাধ্য করা হবে। এই হলো রাষ্ট্রের চরিত্র। আমরা মালিকশ্রেণির দ্বারা পরিচালিত রাষ্ট্রের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে গার্মেন্টসের সকল স্তরের শ্রমিকদের সবেতন ছুটি ও এই সেক্টরের সাথে যুক্ত অসংগঠিত শ্রমিকদের আগামী চার সপ্তাহের রেশনের ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি।”