‘ব্লেইম গেম’ পরিহার করে প্রকৃত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচার করুন
৫ নভেম্বর দেশব্যাপী ‘সুন্দরবন রক্ষা সংহতি দিবস’ পালন করুন
২৫ অক্টোবর ২০১৫ গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় গৃহীত প্রস্তাবে ঢাকায় আশুরার তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতি সমাবেশে গ্রেনেড হামলা ও হতাহতের মর্মান্তিক ঘটনার তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানানো হয়েছে এবং বলা হয়েছে এসব সহিংসতাকে কোনভাবেই বরদাসত করা যাবে না। প্রস্তাবে বলা হয়, এ ধরনের মর্মান্তিক হতাহতের ঘটনা থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার তৎপরতার কারণে প্রকৃত সন্ত্রাসী ও অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। মন্ত্রী ও সরকারী দলের নেতারা ঘটনা তদন্তের আগেই যখন রায় দিয়ে দেন তখন আর ঘটনার বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত ও প্রকৃত অপরাধীদের সনাক্ত ও বিচারের কোন সুযোগ থাকে না। প্রস্তাবে ‘ব্লেইম গেম’ এর রাজনীতি পরিহার করে আশুরার প্রস্তুতি সমাবেশে হামলাকারীদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচার দাবি করা হয়েছে।
বাসদ (মার্কসবাদী) এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাম মোর্চার সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বক্তব্য রাখেন মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, মোশরেফা মিশু, অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, এড. আব্দুস সালাম, হামিদুল হক, বহ্নিশিখা জামালী, মানস নন্দি, নজরুল ইসলাম, ফিরোজ আহমেদ, ফখরুদ্দীন কবির আতিক, শহীদুল ইসলাম সবুজ, আকবর খান, কামরুল আলম সবুজ, মুখলেছুর রহমান, মমিনুর রহমান মমিন প্রমুখ।
সভায় সুন্দরবন রক্ষায় বাম মোর্চার ১৬-১৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত রোডমার্চ পর্যালোচনা করে বলা হয় পুলিশের নজিরবিহীন হামলা, আক্রমণ ও বাধা প্রদান সত্ত্বেও জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন থাকায় রোডমার্চ সফলভাবে শেষ হয়েছে এবং নৈতিক বিজয় অর্জন করেছে।
সভার প্রস্তাবে সরকারকে সতর্ক করে বলা হয় জনগণের মতামতের বিরুদ্ধে যেয়ে রাষ্ট্রীয় শক্তি প্রয়োগ করে শেষ অবধি সুন্দরবনবিনাশী রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরী করা যাবে না। সরকারকে অবিলম্বে এই হঠকারী ও আত্মঘাতি প্রকল্প বন্ধ করার দাবি জানানো হয়।
সভায় আগামী ৫ নভেম্বর ২০১৫ দেশব্যাপী সুন্দরবন রক্ষা সংহতি দিবস পালনের জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচী হিসাবে ৫ নভেম্বর বিকাল ৩.৩০ এ শাহবাগে ‘সুন্দরবন রক্ষা সংহতি দিবস’ এর কর্মসূচী পালিত হবে।