সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষকফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ২০ মে ২০১৫ চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সকাল ১১টায় স্থানীয় শহীদ মিনারের সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় এবং পরে এক বিক্ষোভ মিছিল ফরিদগঞ্জ বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মানববন্ধনে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড আলমগীর হোসেন দুলাল বলেছেন, বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। দেশের শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত। দেশের একক খাত হিসাবে জাতীয় অর্থনীতিতে এক বিরাট অংশ কৃষি ও গ্রামীণ খাত থেকে আসার পরও অতীতে প্রতিবারই এ খাত উপেক্ষিত হয়ে আসছে। যার ফলে, কৃষি ব্যবস্থা ধ্বংশ প্রাপ্ত হচ্ছে। কৃষির সঙ্গে যুক্ত বিশাল জনগোষ্ঠী দুরবস্থার শিকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ ব্যবস্থা থেকে কৃষক ও ক্ষেতমজুরদের বাঁচাতে তিনি উন্নয়ন বাজেটের শতকরা ৪০ ভাগ কৃষি খাতে বরাদ্দ দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, ১২০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্প চালু, ক্ষেতমজুরদেও সারা বছর কাজের নিশ্চয়তা, ধানসহ কুষি ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত, এতিম, দুস্ত, স্বামী পরিত্যাক্ত, তালাকপ্রাপ্ত ও অসহায় নারীদের ৩ হাজার টাকা ভাতা প্রদান ও ভাতার পরিমান বৃদ্ধি, গ্রামীণ রেশনিং ব্যবস্থা চালু, মানব পাচারকারীদের হোতাদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশিচতসহ চাঁদপুর সেতুর টোল আদায় বন্ধ, সেচ এলাকার পানির কর প্রত্যাহার, ডাকাতিয়ার কচুরীপানা পরিস্কার মাছ পানি রক্ষার জন্য স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণ, প্রকৃত জেলেদের নিবন্ধন। তিনি চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পার্শ্বে বিভিন্ন কাঁচা স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রমের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, মূল সড়ক থেকে নিরাপদ দুরত্বে তোলা এসব স্থাপনা তথা দোকানপাটে বেচা কেনা করে বহু নিরীহ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। তিনি বলেন, প্রয়োজনে এসব মানুষকে এ ভূমি বৈধভাবে ইজাড়া দেবার ব্যবস্থা করা হোক। তিনি বলেন, অন্যথায় আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলবো।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাসদ (মার্কসবাদী) ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদস্য সচিব জিএম বাদশা, মৎস্যজীবি সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন নান্নু, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা আব্দুল ওয়াদুধ, ফারুক আহম্মেদ পাটওয়ারী, জাহাঙ্গীর হোসেন ও মৎস্যজীবি নুরুল ইসলাম কুট্টি প্রমুখ।