টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মা ও ছেলেকে লাঞ্ছনাকারীদের গ্রেফতার ও বিক্ষোভকারী এলাকাবাসীর উপর পুলিশের গুলিবর্ষণ ও হত্যার বিচারের দাবিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ১৯ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫ টায় মিছিল ও সমাবেশ করে। মিছিলটি দোস্ত বিল্ডিংয়ের নিচ থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে নিউ মার্কেট মোড়ে এসে শেষ হয়।
বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি পপি চাকমার সভাপতিত্বে মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সংগঠক মেজবাহ উদ্দিন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট চট্টগ্রাম নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আরিফ মঈনুদ্দিন। সমাবেশে বক্তারা বলেন, “সারাদেশে এখন ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সমাজে একদিকে নারী নির্যাতন অব্যাহতভাবে বাড়ছে, অন্যদিকে জনগণ যখন তাঁর বিপরীতে আন্দোলন গড়ে তুলছে সেখানে সরকারী বাহিনী হামলা চালাচ্ছে, হত্যা করছে। গতকাল টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে জনগণ যখন নারীর শ্লীলতাহানীর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছে, সেই আন্দোলনে পুলিশ গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে ৩ জনকে, আহত করেছে অনেককে। এর আগে ১৯৯৪ সালে দেখেছিলাম পুলিশী হেফাজতে ইয়াসমিন ধর্ষন ও হত্যা। আজকে আমরা দেখছি পুলিশ নারী নির্যাতনকারীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা বরঞ্চ তার পক্ষে দাড়াচ্ছে। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “বর্তমান অনিবার্চিত সরকার আজ জনগনের সকল আশা আকাঙ্খার বিরুদ্ধে গিয়ে দেশ শাসনকরছে। তারা আজকে মানুষের ন্যূনতম নিরাপত্তাও দিচ্ছেনা। নারীরা চরমভাবে লাঞ্ছিত, নিগৃহীত, নির্যাতিত। উৎসব, রাস্তা-ঘাট, বাড়ী কোথাও নারীরা নিরাপদ নয়। আজকে জনগণ তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামছে। সরকারি বাহিনী আজকে সেখানে হামলা করছে।” সমাবেশে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে নারীলাঞ্ছনাকারীর শাস্তি এবং আন্দোলনে হামলাকারী পুলিশের অপসারণ ও বিচারের দাবি জানান। অন্যথায় জনগণকে সাথে নিয়ে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।