বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)-এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী এক বিবৃতিতে বলেন, “ভারতের সংবিধানের ৩৭০ নং অনুচ্ছেদ, যেটা কাশ্মীরের জনগণকে বিশেষ মর্যাদা দিত, সেটা বিলোপ করার ঘোষণা দিয়েছে বিজেপি সরকার। যদিও ৩৭০ নং অনুচ্ছেদ অনেক আগে থেকেই ভারত সরকারের অগণতান্ত্রিক, ফ্যাসিবাদী কার্যক্রমের কারণে অকার্যকর, তবুও সাংবিধানিক যে স্বীকৃতিটা কাশ্মীরের জনগণের ছিল, এখন থেকে সেটাও থাকল না।”
কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী বলেন, “ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের সময় কাশ্মীর একটি স্বাধীন করদ রাজ্য ছিল। তাদের সব রকম অধিকার ছিল যেকোনো একটি দেশে যুক্ত হওয়ার কিংবা স্থিতাবস্থা বজায় রাখার। কাশ্মীরের জনগণ শেখ আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে ভারতের সাথে যুক্ত হয়। সেসময় ভারতীয় জনগণের উপর যে আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে তারা সংযুক্ত হয়েছিলেন, ভারতের উচিত ছিল তাকে সম্মান দেওয়া। কিন্তু ৩৭০ নং অনুচ্ছেদ যুক্ত করলেও ভারত সরকার কাশ্মীরের জনগণকে ও তাদের অবিসংবাদিত নেতা আব্দুল্লাহকে কোনো রকম আস্থার মধ্যে নেয়নি। কাশ্মীরীদের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। শেখ আব্দুল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, ধর্মনিরপেক্ষতার স্লোগান ভারতীয় সংবিধানে জন্ম থেকে লেখা থাকলেও কোনোকালেই সেটা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ছিল না। অথচ শেখ আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে কাশ্মীরের জনগণ ভারতকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ আধুনিক রাষ্ট্র মনে করে এর সাথে সংযুক্ত হয়েছিল।”
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘদিন থেকে ভয়াবহ নিপীড়ন-নির্যাতন চলছে এই জনগণের উপর। ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তে তা আরও বাড়বে। বিভিন্ন সাম্রাজ্যবাদী শক্তি তা থেকে ফায়দা লুটবে। সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রভাব আরও বাড়বে। এককথায় কাশ্মীর আরও উত্তাল, আরও সংঘাতময় হবে।
কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী ভারতের সকল প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তিকে সারা দেশব্যাপী কাশ্মীরীদের সমর্থনে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান। পাশাপাশি বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক মনোভাবাপন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনকে বিশ্বব্যাপী কাশ্মীরের জনগণের লড়াইয়ের সমর্থনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।