মহামারীর এই সময়েও থেমে নেই পুঁজিবাদী সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর নিজ নিজ আখের গোছানোর কাজ। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। এই রকম একটা সময়েও দেশগুলোর মধ্যে একটা ভূরাজনীতিগত, সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা আমরা লক্ষ করছি। যে প্রতিযোগিতার কেন্দ্রবিন্দুতে মানুষ নেই, আছে মুনাফা লিপ্সা, একদেশ আরেক দেশকে কূটনৈতিক প্যাঁচে ফেলার মানসিকতা। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের পত্রপত্রিকায় এই রকম কূটনৈতিক আয়োজন QUAD-এর কথা শোনা যাচ্ছে। আমেরিকা- ইউরোপের দেশগুলোর সামরিক জোট NATO’র ইতিহাস এবং মধ্যপ্রাচ্যে তাদের কর্মকাণ্ড- সারা বিশ্বের মানুষ দেখেছে। এবার সেই আদলে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে QUAD-এর কর্মকাণ্ড জানান দিতে চায় সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো।
QUAD কী?
Quardilateral বা ‘চতুর্পাক্ষিকের’ সংক্ষিপ্ত রূপ হলো QUAD। চতুর্পাক্ষিক হলো চারটি দেশ – যুক্তরাষ্ট্র, অষ্ট্রেলিয়া, জাপান ও ভারত নিয়ে অনানুষ্ঠানিক একটি কৌশলগত জোট। এর নেতৃত্বে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০০৭ সাল থেকে এই জোট কাজ শুরু করলেও মাঝখানে এর অগ্রগতি থেমে যায়। ২০১৭ সালের দিকে এর অগ্রগতি আবারও লক্ষ করা যাচ্ছে। ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরে ‘নৌপথে চলাচল স্বাধীন ও নিরাপদ রাখার কৌশল’ হিসেবে এই জোট কাজ করবে বলে এর উদ্যোক্তারা প্রচার করছে। প্রকাশ্যে একে NATO’র মতো সামরিক জোট বলা হচ্ছে না ঠিকই, কিন্তু এর লক্ষ্য যে সেদিকে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ এই অঞ্চলে (এশিয়ায়) চীন-এর প্রভাবকে মোকাবিলার জন্যই এই জোট তৈরি হচ্ছে। আমেরিকার নেতৃত্বে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের একটা অন্যতম কৌশল হলো এই QUAD।
আমেরিকা ও চীন-দুই সাম্রাজ্যবাদী দেশের পরস্পরবিরোধী কৌশল
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে আমেরিকা অর্থনৈতিক, সামরিক, রাজনৈতিক দিক থেকে পরাশক্তির আসন দখল করে। সাম্রাজ্যবাদী এই পরাশক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো একমাত্র দেশ ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। কিন্তু ১৯৯০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর আমেরিকার নেতৃত্বে এক মেরু বিশ্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদ যেহেতু মজ্জাগতভাবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, তাই আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে গত ২০ বছরে ধীরে ধীরে সামনে আসতে থাকে চীন। গত ২০ বছরে চীনে বিশাল উদ্বৃত্ত পুঁজি তৈরি হয়েছে। এই উদ্বৃত্ত পুঁজি চীনের সব জনগণের প্রয়োজন মিটিয়ে উদ্বৃত্ত হয়নি, বরং জনগণকে বঞ্চিত করে পুঁজিবাদী Accumulation-এর নিয়মে এই উদ্বৃত্ত পুঁজি তৈরি হয়েছে। ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে সরকারি হিসাব অনুযায়ী তাদের কারেন্ট একাউন্টে উদ্বৃত্ত ছিল ৮৮.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (রয়টার্স, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯)। পুঁজির ধর্মই হচ্ছে সে বসে থাকতে পারে না। কোথাও না কোথাও তাকে বিনিয়োগ করতে হবে। তাদের এই পুঁজি বিনিয়োগের জন্য চীনকে তার নিভৃতে থাকার কৌশল ত্যাগ করে বিশ্বমঞ্চে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে প্রভাব বিস্তারের প্রয়োজন দেখা দিচ্ছে। চীনের Belt and road initiative হলো তার সেই প্রয়োজনের তাগিদে উদ্ভাবিত কৌশল। Belt and road initiative কী? সংক্ষেপে যদি বলতে হয় – মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সাথে ৪টি করিডোরের মাধ্যমে চীনকে যুক্ত করা। এর মধ্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ করিডোর হলো নৌ করিডোর; যার মাধ্যমে এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য-আফ্রিকার প্রায় অনেকগুলো সমুদ্র বন্দরকে তারা যুক্ত করতে পারবে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ঈযরহবংব ঝঃৎরহম ড়ভ চবধৎষং। চীনের এই ইনিশিয়েটিভ শুধু অর্থনৈতিক ব্যাপারেই সীমাবদ্ধ থাকবে তা নয়। সম্প্রতি আফ্রিকার দেশ জিবুতিতে সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের মধ্য দিয়ে চীন জানান দিয়েছে – নৌ ও সামরিক শক্তিতেও চীন শক্তিশালী। এবং এই সামরিক ঘাঁটিতে যাওয়া-আসার মাধ্যমে পুরো ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর তার নজরদারির মধ্যে থাকবে। এটাই তাদের কৌশল।
এর পাল্টা কৌশল হলো আমেরিকার নেতৃত্বে Indo-pacific strategy। এরই ভূরাজনৈতিক ও সামরিক দিকটা হলো QUAD। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের কতৃত্ব খর্ব করতে ভারত, জাপান, অষ্ট্রেলিয়াকে নিয়ে যে পরিকল্পনা আমেরিকা শানাচ্ছে, তা-ই QUAD। আগে থেকেই ভারত মহাসাগরে দিয়াগো গার্সিয়া দ্বীপে আমেরিকার নৌ ও সেনা ঘাঁটি রয়েছে। এ ঘাঁটির মাধ্যমে আমেরিকা ইরানকে নজরদারির মধ্যে রাখে। ইরাক আক্রমণ এখান থেকেই করা হয়। আবার এর মধ্যে ভারত মহাসাগরে মেরিটাইম ফিউশন সেন্টার (সমুদ্রগামী জাহাজের সমন্বয়ে তৈরি করা) তৈরির পরিকল্পনা করেছে আমেরিকা। এই ডোমেইন ফিউশন তৈরি হলে এটা তার আক্ষরিক কাজের বাইরেও যে অন্য কাজ করবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। চীনের Belt and road initiative-এর সমুদ্রের যে রুট, সেটা এদিক দিয়েই যাবে। আমেরিকার এই কৌশলের অংশ হতে যাচ্ছে জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। চার দেশের এ সম্মিলিত পরিকল্পনাই হলো QUAD।
বাংলাদেশ কীভাবে এই দুই পরিকল্পনার শিকার হবে
বাংলাদেশের স্বার্থ বলি হবে দুই আঞ্চলিক পরাশক্তি ভারত ও চীনের পরস্পরবিরোধী দুই স্বার্থের দ্বন্দ্বে। প্রতিবেশি হওয়ার কারণে শুধু নয়, বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অনেক বিষয়ে ঐতিহাসিকভাবে ভারতের সাথে বাংলাদেশের একটা সম্পর্ক রয়েছে। কারণ আগেই বলা হয়েছে এই ১০ বছরে চীন শুধু দক্ষিণ এশিয়া বা এশিয়ায় নয়, সারা বিশ্বেই সে পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে নানামাত্রিক প্রভাব সে ইতোমধ্যে তৈরি করেছে। বাংলাদেশে এখন সবথেকে বেশি বিনিয়োগ হলো চীনের। সম্প্রতি চীনের সাথে বাংলাদেশ তিস্তা উন্নয়ন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। যে তিস্তা নিয়ে ভারত বাংলাদেশের সাথে টালবাহনা করেছে।
এগুলো হলো পুরনো কথা। নতুন কথাটা হলো – বৈশ্বিক দুই কৌশলে অর্থাৎ Belt and road initiative-এ চীন বাংলাদেশকে চায় আর Indo-pacific strategy-তে ভারত-আমেরিকা বাংলাদেশকে চায়। বাংলাদেশ সরাসরি যুক্ত না হলেও অন্তত যেন বাংলাদেশের কাছ থেকে কিছু সুবিধা পায়, এটা দুই শিবিরই চায়। এই দুই অর্থনৈতিক ও সামরিক কৌশলের মারপ্যাঁচে পড়েছে বাংলাদেশ। এ ব্যপারে আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবী এবং পত্রপত্রিকার বক্তব্য হলো, বংলাদেশ বেশ ভালোভাবেই ‘দু মেরু রক্ষা’ করছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির তারা বেশ তারিফ করছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কাউকে নাক না গলানোর কথা বলে মেরুদ-সম্পন্ন বক্তব্য রেখেছেন বলে অনেকে তারিফ করছেন। অনেকে আবার ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে শত্রুতা নয়’-এই কথা বলে স্বস্তি পেতে চান। এই সব প্রত্যেকটা কথা শাসকশ্রেণি আমাদের গেলাচ্ছে। জাতীয়তাবাদী ভাবাবেগ দ্বারা প্রত্যেকটা দেশ তার নিজ নিজ পররাষ্ট্রনীতিকে উচ্চে তুলে ধরে। যদি কখনো জাতীয়তাবাদী সেন্টিমেন্টের ঘাটতি দেখা দেয়, তখন এক দেশ আরেক দেশের উপর আঞ্চলিক যুদ্ধ, জাতিগত সংঘাত, ধর্মীয় সংঘাত ইত্যাদি লাগিয়ে রাখে। এর ফলে জনগণের নিম্ন চেতনার কারণে জাতীয়তাবাদ কিছুদিনের জন্য একটু চাঙ্গা হয়। পুঁজিপতি, সাম্রাজ্যবাদীরা এর মাধ্যমে শোষণকে আড়াল করে।
বাংলাদেশ এই দুই কৌশলের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে; কিন্তু মুখে বলছে ভিন্ন কথা
বাংলাদেশ এই দুই কৌশলের কোনোটাতেই সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে না। বাংলাদেশের এই ‘উভয় কূল রক্ষা’র পররাষ্ট্রনীতিকে বুদ্ধিজীবীরা বেশ তারিফ করছেন। কিন্তু আমরা যদি একটু গভীরে দৃষ্টি দিই, তাহলে দেখব, চীন ও ভারতের সাথে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ যে চুক্তিগুলো করেছে, তা এই কৌশলের অংশ। যেমন ২০১৬ সলে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং বাংলাদেশ সফর করেন। তখন স্বাক্ষরিত বিভিন্ন চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ Belt and road initiative-এ যুক্ত হয়, তার সফরকালীন মোট ৪০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। যার মধ্যে ২৬ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয় অবকাঠামো খাতে। অবকাঠামোগুলো হলো পদ্মা রেল সেতু, কর্ণফুলি টানেল, পায়রা সমুদ্রবন্দর, দুটি সাবমেরিন ক্রয় ইত্যাদি। এই সব অবকাঠামো চীনের বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু শাসকশ্রেণি এই অবকাঠামোগত চুক্তিগুলোর থেকে বাণিজ্যিক চুক্তিগুলোর বেশি প্রচারে নিয়ে আসে। এর মাধ্যমে তারা বোঝাতে চায়, এক দেশের সাথে আরেক দেশের বাণিজ্যিক চুক্তি হতেই পারে।
আবার আরেক দিকে QUAD-এর সাথে সম্পৃক্ত না হলেও তার পরিপূরক কিছু চুক্তি বাংলাদেশ ভারতের সাথে করছে। যেমন: বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে রাডার স্থাপনের চুক্তি। এই রাডার দিয়ে বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী অঞ্চলে নজরদারি বাড়াতে চায় ভারত। এই নজরদারি তারা কেন বাড়াতে চায়, তা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের প্রয়োজন হয় না।
তাহলে একদিকে চীনের সাথেও সে যেমন Belt and road initiative-এ যুক্ত হচ্ছে, আবার চীনা জাহাজের উপর নজরদারি বাড়াতে ভারতকে রাডার স্থাপনের সুযোগ করে দিচ্ছে। এইভাবেই সে উভয়কে সন্তুষ্ট করছে; বাইরে প্রচার করছে তারা কোনোটার সাথেই যুক্ত হচ্ছে না। বৈশ্বিক রাজনীতির মারপ্যাঁচে তারা নেই এবং বুদ্ধিজীবীদের দ্বারা তারা প্রচার করছে যে, তারা কত কৌশলী। কিন্তু ভিতরে ভিতরে তারা ঠিকই বৈশ্বিক দুই কৌশলের সাথেই কিছু মাত্রায় যুক্ত হচ্ছে। এবং এটা সামনের দিকে আবারও বাড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এতে কি বাংলাদেশের কোনোই লাভ নেই?
হ্যাঁ, এতে অবশ্যই লাভ আছে। কিন্তু শ্রেণিবিভক্ত সমাজে লাভ কথাটার মানে, কোন শ্রেণির লাভ সেটা আমাদের বিচার করতে হবে। লাভ হচ্ছে বাংলাদেশের কর্পোরেট পুঁজিপতি শ্রেণির। এখানে সাধারণ মানুষ ন্যূনতম কোন স্বার্থ নেই, লাভও নেই। পুঁজিপতি শ্রেণি এখানে দুইভাবে লাভবান হচ্ছে।
এক. বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ব্যবসাগত লেনদেনে যুক্ত হওয়াতে তার পুঁজি দিন দিন ফুলে-ফেঁপে ঊঠছে। কিন্তু যে শ্রমিক পণ্য তৈরি করছে, তার জীবনের কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। তাকে বরং পুলিশের গুলি খেতে হয়। আবার অবকাঠামো খাতে কন্ট্রাক্ট পায় যে লোকেরা, তারা সরকারের আশেপাশের মানুষ। তাদের পকেটে কাঁচা টাকা ঢুকছে। কিন্তু অবকাঠামো নির্মাণ করছে যে শ্রমিক, তার কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।
দুই, রাজনৈতিক দিক থেকে লাভবান হচ্ছে কর্পোরেট পুঁজিপতিদের স্বার্থ রক্ষাকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। অনির্বাচিত এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে ভারত-চীন-রাশিয়া-আমেরিকা সব সা¤্রাজ্যবাদী শক্তিকে সন্তুষ্ট রাখার কৌশল নিয়েছে। খেয়াল করবেন – এই স্বার্থ রক্ষিত হচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের বুর্জোয়া শ্রেণির। এখানে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের যেমন কোনো স্বার্থ নেই, তেমনি স্বার্থ নেই ভারতের সাধারণ মানুষের, তেমনি চীন ও আমেরিকার সাধারণ মানুষের।
এই জন্য খেয়াল করবেন, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে যে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে, সেখানে সাধারণ জনগণের কোন ম্যান্ডেট নেই। কিন্তু এই সরকারকে সব থেকে আগে স্বীকৃতি দিয়েছে চীন ও ভারতের শাসকশ্রেণি। ফলে শাসকশ্রেণির সাথে শাসকশ্রেণির এই বন্ধুত্ব কখনোই সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করবে না। সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করা যাবে একমাত্র সাধারণ মানুষের রাজনৈতিক ক্ষমতার জন্ম দিতে পারলে। এই রাজনৈতিক ক্ষমতার জন্ম দিতে হলে প্রত্যেক দেশের শাসকশ্রেণির আন্তর্জাতিক আগ্রাসী কৌশলগুলোর মুখোশ খুলে দিতে হবে। নিপীড়িত জনগণকে এই কৌশলগুলোর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। নিজ নিজ দেশের বুর্জোয়াশ্রেণির শোষণ ও গণবিরোধী স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সাথে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলনকে সমন্বিত করতে হবে।