খাদিজা আক্তার নার্গিসের উপর এম.সি কলেজ ক্যাম্পাসে বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে আজ ৪ অক্টোবর’১৬ বিকাল ৪ টায় সিলেট সিটি পয়েন্টে নারী মুক্তি কেন্দ্র সিলেট জেলা শাখার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের পূর্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে সিটি পয়েন্টে সমাবেশে মিলিত হয়। নারী মুক্তি কেন্দ্র সিলেট জেলার আহ্বায়ক তামান্না আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইশরাত রাহী রিসতার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র সিলেট জেলার সংগঠক লক্ষী পাল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট নগর শাখার সাধারন সম্পাদক রুবাইয়াৎ আহমেদ, এম.সি কলেজ শাখার সংগঠক সাদিয়া নোশিন তাসনিম, সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী ফারিহা প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, নারীরা আজ কোথাও নিরাপদ নয়, কর্মস্থলে, বাসে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমনকি নিজ পরিবারেও নারী নির্যাতিত। হত্যা, ধর্ষণ, খুন, নির্যাতন এগুলো পত্র-পত্রিকার নিত্য- নৈমত্তিক খবর। অথচ সরকার এ ব্যাপারে নির্বাক। গতকাল এম.সি কলেজে স্নাতক ২য় বর্ষের পরীক্ষা দিতে এসে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম কর্তৃক বর্বরোচিত হামলার শিকার হন খাদিজা আক্তার নার্গিস। হমলায় গুরুতর আহত খাদিজা বর্তমানে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছেন, চিকিৎসকরা আশংকা করছেন খাদিজার বাচাঁর সম্ভাবনা মাত্র ৫ ভাগ। এম.সি কলেজের মত ঐতিহ্যবাহী কলেজে প্রকাশ্যে এই হামলা সবাইকে অতঙ্কিত করেছে। বাস্তাবে দেশে আজ এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ চলছে, রিমি, সিমি, তনু, আফসানাসহ একের পর এক নারী নির্যাতন এবং হত্যার ঘটনা ঘটলেও কোন একটি ঘটনারই বিচার হয়নি, শুধু তাই নয় সরকার এবং প্রশাসন বিভিন্নভাবে এই ঘটনার সাথে জড়িতদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। একদিকে যেমন অপরাধীরা ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় শাস্তির আওতার বাইরে থাকছে, আরেক দিকে চলছে আত্মকেন্দ্রীক ভোগবাদী সংস্কৃতির ব্যাপক প্রচার, যার ফলে নারীরা সর্বত্র নিপিড়নের শিকারে পরিণত হচ্ছেন। নারীর প্রতি এই সহিংস মনোভাব বাস্তবে সমাজ মানসিকতারই একরকম বহিঃপ্রকাশ। তাই সবাইকে এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
বক্তারা নারী ও শিশুর উপর সকল ধরণের নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলার আহবান জানান।