টঙ্গির গার্মেন্টস শ্রমিকদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে এবং আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি মাসুদ রেজার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সহসভাপতি মানস নন্দী, গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, সদস্য তসলিমা আক্তার বিউটি প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, “ একটা ন্যায্য আন্দোলনে শ্রমিকদের গুলিবিদ্ধ করে পুলিশ যে হামলা চালিয়েছে, তা খুবই গর্হিত ও ন্যাক্কারজনক। মালিকদের মদদে এই হামলা সংঘটিত হয়েছে। ১০ দিনের ছুটির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবেই শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছিল। ঈদের ছুটি ১০ দিনের পরিবর্তে ৩ দিন করার যে ষড়যন্ত্র মালিকপক্ষ করেছে, তা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য না। সারা বছরের কাজের ব্যস্ততায় শ্রমিকরা ছুটি পায় না। তাই ঈদের ছুটিতে পরিবার-পরিজনদের সাথে মিলিত হওয়ার সুযোগ পায়। সেই ছুটির জন্যে কয়েক মাস আগে থেকেই তারা জেনারেল ডিউটি ও ওভারটাইম ডিউটি পালন করে থাকে। ফলে শ্রমিকদের ছুটির এই আন্দোলন ছিল শতভাগ ন্যায্য। আমরা অবিলম্বে শ্রমিকদের উপর এই হামলায় জড়িত মালিকপক্ষসহ পুলিশ সদস্যদের বিচার চাই।”
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “বর্তমান সরকার মালিকশ্রেণির স্বার্থ রক্ষায় যেকোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে বাঁশখালীতে শ্রমিক হত্যার ঘটনায় মদদদাতা মালিকের বিরুদ্ধে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টো আহত শ্রমিকদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। টঙ্গির শ্রমিকদের উপর পুলিশি হামলার ঘটনায়ও আমরা দেখলাম, শ্রম আইনে স্বীকৃত ছুটির দাবিতে শ্রমিকরা যখন আন্দোলন করছিল, তখন মালিকেরা তা সহ্য করতে পারেনি। শ্রমিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার পরিবর্তে পুলিশবাহিনী মালিকের নির্দেশে অসহায় শ্রমিকদের উপর নির্মমভাবে গুলি চালিয়ে, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে, লাঠিচার্জ করে প্রায় ৩৫ জনকে আহত করেছে। স্বাধীন দেশে শ্রমিকদের উপর এই অন্যায় নির্যাতন একের পর এক বেড়ে চলেছে। এর বিরুদ্ধে শ্রমিক-মেহনতি গরিব মানুষদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই।”