‘গ্যাসের মূল্য দ্বিগুণেরও বেশি বাড়ানোর সরকারি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মধ্যবিত্ত-নিম্নমধ্যবিত্ত-সীমিত
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, মূল্যবৃদ্ধির চাপে ইতিমধ্যে নিষ্পিষ্ট অধিকাংশ মানুষ সংসারের খরচ যোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে, তার ওপর গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির এই ঘোষণায় তারা আতংকিত ও বিক্ষুব্ধ। সিলিন্ডার গ্যাসের দাম বেশি এই অজুহাতে সরকার পাইপলাইনে গ্যাস ব্যবহারকারীদের বিল বাড়াতে চায়, অথচ জনকল্যাণকামী সরকার হলে তাদের দায়িত্ব ছিল সিলিন্ডার গ্যাসের দাম কমানোর ব্যবস্থা নেয়া। বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে উত্তোলনের কারণে তাদের কাছ থেকে বেশি দামে গ্যাস কিনতে হচ্ছে, অথচ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা-বাপে অনেক কম দামে গ্যাস সরবরাহ করছে। ফলে গ্যাসের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির জন্য প্রধানত দায়ী বিদেশি কোম্পানিগুলোর হাতে গ্যাসখাত তুলে দেয়ার সরকারি নীতি। এরপরও গ্যাস খাতে লোকসান হচ্ছে না, সরকার তার রাজস্ব বৃদ্ধির জন্যই গ্যাসের দাম বাড়ানোর তাগিদ দিচ্ছে। একইভাবে, ডিজেল-কেরোসিনের দাম বাড়লে গাড়িভাড়া বাড়বে, পরিবহন খরচ বাড়ায় দ্রব্যমূল্যও বেড়ে যাবে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, মহাজোট সরকার একদিকে ‘উন্নয়নের জোয়ার’ এর কৃতিত্ব দাবি করছে, অন্যদিকে জনগণকে স্বল্পমূল্যে সেবা দেয়ার দায়িত্ব অস্বীকার করে বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গিতে গ্যাস-জ্বালানি তেল-বিদ্যুৎ-পানি সবকিছুর দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিসহ করে তুলছে। সরকারের এইসব গণবিরোধী পদক্ষেপ প্রতিহত করতে গণআন্দোলনে সামিল হতে তারা দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।