Wednesday, December 25, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি ও সংগঠন সংবাদগ্যাস বিদ্যুতের দামবৃদ্ধি, সুন্দরবনধ্বংসী এবং রূপপুর প্রকল্প নিয়ে দায়মুক্তি আইনের প্রতিবাদ

গ্যাস বিদ্যুতের দামবৃদ্ধি, সুন্দরবনধ্বংসী এবং রূপপুর প্রকল্প নিয়ে দায়মুক্তি আইনের প্রতিবাদ

download (1)৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকালে গ্রীনরোডে জাতীয় কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র কার্যালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ,  শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, টিপু বিশ্বাস, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বজলুর রশিদ ফিরোজ, এ্যাড. আব্দুস সালাম, আজিজুর রহমান, নজরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, ফখরুদ্দীন কবির আতিক, মাসুদ খান, মহিন উদ্দীন চৌধুরী লিটন, আকবর খান, মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, রজত হুদা, সামছুল আলম, সুবল সরকার, মিজানুর রহমান প্রমুখ।

সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমা সত্তে¡ও এবং গ্যাস খাত লাভজনক থাকা সত্তে¡ও সম্পূর্র্ণ অযৌক্তিক ও জবরদস্তিমূলকভাবে সরকার গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে। এর ফলে পরিবহণ ব্যয়, বাসা ভাড়া ও উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের জীবনযাত্রায় বড় বোঝা তৈরী হতে যাচ্ছে। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতকে দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ী গোষ্ঠির মুনাফার ক্ষেত্র বানানোর নীতির কারণেই সরকার এই পথে অগ্রসর হচ্ছে। একই কারণে এর আগে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করে যে ‘গ্যাস উন্নয়ন তহবিল’ গঠন করা হয়েছে তা প্রতিশ্রæত জাতীয় সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজে না লাগিয়ে উল্টো বাপেক্সকে আরও কোণঠাসা করা হয়েছে, গ্যাস খাত বিদেশি কোম্পানির হাতে জিম্মি করা হচ্ছে। গাজপ্রমের হাতে অর্থ ও সময়ের অপচয় এবং শেভ্রনের কারণে বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র ঝুকির মধ্যে পতিত হওয়া সর্বশেষ ঘটনা। সভায় অবিলম্বে গ্যাস বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি বাতিল করে জাতীয় সক্ষমতা বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়।

সভায় উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা হয় যে, দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ, দেশ ও আন্তর্জাতিক জনমত, সুন্দরবনের গুরুত্ব সবকিছু উপেক্ষা করে দ্বিতীয় পর্যায়ে, কোন ইআইএ না করে আরেকটি ১৩২০ মেগাওয়াট এর জন্য কাজ শুরু করা হয়েছে। এছাড়া মাতারবাড়ি ও রূপপুরে দমন ও নিপীড়নের আবহাওয়া তৈরি করে অস্বচ্ছতার সঙ্গে দেশ ও জনগণের জন্য বিপজ্জনক প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। সর্বশেষ ৮ সেপ্টেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সাথে যুক্ত সকল ব্যক্তিকে দায়মুক্তি দিয়ে একটি আইন করা হয়েছে। এই আইন থেকেই বোঝা যায় সরকার আরেকটি ভয়াবহ জাতীয় স্বার্থবিরোধী প্রকল্প নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। সভায় সরকারের এসব জনস্বার্থবিরোধী তৎপরতা অবিলম্বে বন্ধ করবার দাবি জানায়। সভায় জনস্বার্থে এসব দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়। সরকার অবিলম্বে দাবিপূরণ না করলে শীগগিরই আন্দোলনের কর্মসূচি শুরু হবে।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments