ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বামপন্থীদের নেতৃত্বে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তুলুন — কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী
“১৯১৭ সালের ৭ নভেম্বর মহামতি লেনিনের নেতৃত্বে বিপ্লবের মাধ্যমে রাশিয়ায় দুনিয়ার ইতিহাসে প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এ বিপ্লব মানুষের মুক্তির সংগ্রামের ইতিহাসে নতুন যুগের সূচনা করেছিল। সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অল্প সময়ের মধ্যে পশ্চাদপদ রাশিয়া পরিণত হয়েছিল শিল্পোন্নত দেশে। সবার জন্য শিক্ষা-চিকিৎসা-বাসস্থান-কর ্মসংস্থান এবং বৃদ্ধ-অনাথ-অক্ষমদের দায়িত্ব নিয়েছিল রাষ্ট্র, বেকারত্ব-ভিক্ষাবৃত্তি-পতিত াবৃত্তি নির্মূল করা হয়েছিল। আর্থিক-জাতিগত-ধর্মীয়-লিঙ্গ গত বৈষম্যমুক্ত মানবিক সমাজের স্বপ্ন বাস্তব রূপ পেয়েছিল। কিন্তু আজ সারা বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদী-পুঁজিবাদী শাসকরা একদিকে জনগণের সমস্ত অধিকার কেড়ে নিচ্ছে,‘১% সুবিধাভোগী ও ৯৯% বঞ্চিত’ মানুষের মধ্যে পাহাড়প্রমান বৈষম্যের জম্ম দিয়ে চলেছে। অন্যদিকে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, মৌলবাদ, জাতিগত বিদ্বেষ, বর্ণবাদ উস্কে দিচ্ছে।
আমাদের দেশেও পুঁজিপতি শ্রেণী মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত আকাক্সক্ষা চেতনাকে পদদলিত করে জনগণের উপর নির্মম শোষণ-নির্যাতন চালাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে বর্তমান মহাজোট সরকার একচেটিয়া পুঁজিপতি শ্রেণীর- স্বার্থে দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠার চক্রান্ত করছে। এ অবস্থায় পুঁজিবাদ ও ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বামপন্থীদের নেতৃত্বে কার্যকর গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।”
মহান রুশ বিপ্লবের ৯৮তম বার্ষিকী এবং দলের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী স্মরণে আজ চট্টগ্রাম শহীদমিনারে বিকাল সাড়ে ৩টায় বাসদ (মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম জেলা শাখা আয়োজিত সমাবেশে দলের কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী এসব কথা বলেন। বাসদ(মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম জেলা কমিটির আহবায়ক কমরেড মানস নন্দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সদস্য সচিব কমরেড অপু দাশ গুপ্ত ও সদস্য কমরেড শফিউদ্দীন কবির আবিদ।
কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী আরও বলেন,-“দেশে একের পর এক হত্যাকান্ড ঘটলেও কোন ঘটনার সঠিক বিচার হচ্ছেনা। মতপ্রকাশের দায়ে ব্লগারদের খুন করা হচ্ছে। জনগণের নিরাপত্তা বিধানের সবাই দায়িত্ব পালন না করে এসব হত্যাকান্ড থেকে সরকার ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। সরকার, বিরোধীদল ও সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী সবাই মৌলবাদীদের ব্যবহারের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এর ফলশ্রুতিতে মৌলবাদী শক্তি ক্রমাগত বেপরোয়া হয়ে উঠছে।” তিনি আরও বলেন, “মহাজোট সরকার বলছে গণতন্ত্র বড় কথা নয়, তারা এত করছেন যে, বাংলাদেশ ‘মধ্যম আয়ের দেশ’-এ পরিণত হয়েছে। ‘উন্নয়ন’-এর নামে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবন ধ্বংসের ঝুঁকি তৈরী করেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির নামে রেন্টাল-কুইক রেন্টাল প্ল্যান্ট করে বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীদের পকেট ভরা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মূল্যের চেয়ে কয়েকগুন বেশি খরচ করে মহাসড়ক-সেতু-ফ্লাইওভার করা হচ্ছে। এতসব
‘উন্নয়ন’-এর খরচ যোগাড়ে সরকার তেলের দাম কমাচ্ছে না, বিদ্যুত-গ্যাস-পানির মূল্য ক্রমাগত বাড়াচ্ছে। গাড়ি ভাড়া-রেলভাড়া-বাড়িভাড়া ও মূল্যবৃদ্ধির চাপে মানুষ জর্জরিত। কৃষকরা ফসলের দাম না পেয়ে রাস্তায় ধান, আলু ফেলে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। গার্মেন্টস শিল্পের আয় বাড়ছে, কিন্তু শ্রমিকরা বাঁচার মতো মজুরি পাচ্ছেনা। নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন সীমা ছাড়িয়েছে। প্রতিবাদ করতে গেলেই সরকার ফ্যাসিবাদী কায়দায় দমন-পীড়ণ চালাচ্ছে। যারা বিরোধী রাজনৈতিক জোটে আছে, তারা যেন তেন উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়ার রাস্তা খুঁজছে, কিন্তু জনজীবনের সংকট নিয়ে তাদের কোন ভাবনা নেই। তথাকথিত বামপন্থীরা কেউ ক্ষমতায় থেকে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনকে শ্য্যতা করছে, কেউ ফ্যাসিবাদী শাসকদের বন্ধু হিসেবে আচরণ করছে। এ অবস্থায় দেশ ও দেশের মানুষের রক্ষার জন্য সঠিক বামপন্থীদের নেতৃত্বে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।”
সমাবেশের পরবর্তীতে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্লেকার্ড ও লাল পতাকা সজ্জিত একটি মিছিল নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে।
আমাদের দেশেও পুঁজিপতি শ্রেণী মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত আকাক্সক্ষা চেতনাকে পদদলিত করে জনগণের উপর নির্মম শোষণ-নির্যাতন চালাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে বর্তমান মহাজোট সরকার একচেটিয়া পুঁজিপতি শ্রেণীর- স্বার্থে দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠার চক্রান্ত করছে। এ অবস্থায় পুঁজিবাদ ও ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বামপন্থীদের নেতৃত্বে কার্যকর গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।”
মহান রুশ বিপ্লবের ৯৮তম বার্ষিকী এবং দলের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী স্মরণে আজ চট্টগ্রাম শহীদমিনারে বিকাল সাড়ে ৩টায় বাসদ (মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম জেলা শাখা আয়োজিত সমাবেশে দলের কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী এসব কথা বলেন। বাসদ(মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম জেলা কমিটির আহবায়ক কমরেড মানস নন্দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সদস্য সচিব কমরেড অপু দাশ গুপ্ত ও সদস্য কমরেড শফিউদ্দীন কবির আবিদ।
কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী আরও বলেন,-“দেশে একের পর এক হত্যাকান্ড ঘটলেও কোন ঘটনার সঠিক বিচার হচ্ছেনা। মতপ্রকাশের দায়ে ব্লগারদের খুন করা হচ্ছে। জনগণের নিরাপত্তা বিধানের সবাই দায়িত্ব পালন না করে এসব হত্যাকান্ড থেকে সরকার ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। সরকার, বিরোধীদল ও সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী সবাই মৌলবাদীদের ব্যবহারের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এর ফলশ্রুতিতে মৌলবাদী শক্তি ক্রমাগত বেপরোয়া হয়ে উঠছে।” তিনি আরও বলেন, “মহাজোট সরকার বলছে গণতন্ত্র বড় কথা নয়, তারা এত করছেন যে, বাংলাদেশ ‘মধ্যম আয়ের দেশ’-এ পরিণত হয়েছে। ‘উন্নয়ন’-এর নামে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবন ধ্বংসের ঝুঁকি তৈরী করেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির নামে রেন্টাল-কুইক রেন্টাল প্ল্যান্ট করে বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীদের পকেট ভরা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মূল্যের চেয়ে কয়েকগুন বেশি খরচ করে মহাসড়ক-সেতু-ফ্লাইওভার করা হচ্ছে। এতসব
‘উন্নয়ন’-এর খরচ যোগাড়ে সরকার তেলের দাম কমাচ্ছে না, বিদ্যুত-গ্যাস-পানির মূল্য ক্রমাগত বাড়াচ্ছে। গাড়ি ভাড়া-রেলভাড়া-বাড়িভাড়া ও মূল্যবৃদ্ধির চাপে মানুষ জর্জরিত। কৃষকরা ফসলের দাম না পেয়ে রাস্তায় ধান, আলু ফেলে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। গার্মেন্টস শিল্পের আয় বাড়ছে, কিন্তু শ্রমিকরা বাঁচার মতো মজুরি পাচ্ছেনা। নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন সীমা ছাড়িয়েছে। প্রতিবাদ করতে গেলেই সরকার ফ্যাসিবাদী কায়দায় দমন-পীড়ণ চালাচ্ছে। যারা বিরোধী রাজনৈতিক জোটে আছে, তারা যেন তেন উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়ার রাস্তা খুঁজছে, কিন্তু জনজীবনের সংকট নিয়ে তাদের কোন ভাবনা নেই। তথাকথিত বামপন্থীরা কেউ ক্ষমতায় থেকে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনকে শ্য্যতা করছে, কেউ ফ্যাসিবাদী শাসকদের বন্ধু হিসেবে আচরণ করছে। এ অবস্থায় দেশ ও দেশের মানুষের রক্ষার জন্য সঠিক বামপন্থীদের নেতৃত্বে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।”
সমাবেশের পরবর্তীতে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্লেকার্ড ও লাল পতাকা সজ্জিত একটি মিছিল নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে।