২৩ মার্চ ২০১৫, সোমবার , বিকাল ৪ টায় গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দমন-পীড়ন, গুম-খুন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও পেট্রোল বোমা সন্ত্রাস বন্ধ কর, জানমালের নিরাপত্তা দাও এবং রাজনৈতিক সংকট সমাধানে নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও জনগণের শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বেগবান করুন এই আহ্বানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাব থেকে মালিবাগ পর্যন্ত পদযাত্রা, লিফলেট বিলি ও জন সংযোগ কর্মসূচি পালন করা হয়। বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতা গণসংহতি আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক অ্যাড. আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা অদ্যাপক আবদুস সাত্তার, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা হামিদুল হক, বাসদ (মাহবুব) কেন্দ্রীয় আহবায়ক ইয়াসিন মিয়া, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা ফখরুদ্দিন আতিক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা শহীদুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, একদিকে পেট্রোলবোমায় মানুষ পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, অন্যদিকে গুম, খুন, গণপিটুনি ও ক্রসফায়ারের নামে অব্যাহত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদকে অপহরণ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। যে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তা যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নিষ্পত্তি করতে হবে। কোনো ব্যক্তির সাংবিধানিক ও নাগরিক অধিকার রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব থাকলেও তা পালনে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থতার প্রমাণ দিচ্ছে।
বাম মোর্চার নেতৃবৃন্দ বলেন, লাগাতার অচলাবস্থায় দেশের সাধারণ মানুষের আয় রোজগারের পথ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে, দেশের খেটে খাওয়া মানুষের বেঁচে থাকার পথ প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কৃষকের উৎপাদিত ফসল ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে পারছে না।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দেশের রাজনৈতিক সংকটের সমাধানে অবিলম্বে সরকারকে দমন-পীড়ন, মিথ্যা মামলা, গণগ্রেপ্তার ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড বন্ধ করে সভা-সমাবেশের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে এবং পেট্রোল বোমায় মানুষ পুড়িয়ে মারার অপরাজনীতি বন্ধ করার আহ্বান জানান।