ব্যর্থ ও দায়িত্বহীন প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে প্রক্টরের কুশপুত্তুলিকা দাহ করেছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট এবং সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্য। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে এবং ব্যর্থ প্রক্টরের অপসারণের দাবিতে প্রগতিশীল ছাত্র জোট ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্য ২৬ এপ্রিল বেলা ১২টায় অপরাজেয় বাংলায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে। সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের কুশপুত্তুলিকা দাহ করা হয়।
অপরাজেয় বাংলার সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুজ্জামান সাকন বলেন, বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে নারী লাঞ্ছনার ঘটনা গোটা জাতির জন্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কলঙ্কজনক। অথচ শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়টিকে অস্বীকার করার চেষ্টা করছেন। পুলিশ প্রশাসনও এ বিষয়টিকে অস্বীকার করার চেষ্টা করছেন। আমরা ঢাবি ও পুলিশ প্রশাসনের এই ন্যাক্কারজনক ভূমিকার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ঘটনার সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরকে অবহিত করে তাকে পদক্ষেপ নিতে বলা হলেও তিনি কোনো উদ্যোগ নেননি। অন্যদিকে দুজন লাঞ্ছনাকারীকে যখন পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হল তখন পুলিশ তাদের ছেড়ে দিয়েছে। ঘটনার ১১ দিন পেরিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত একজন নির্যাতককে চিহ্নিত করা ও গ্রেফতার করা হয়নি। বরং ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেয়ার নান চেষ্টা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বিশেষত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রক্টর তার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। তিনি অবিলম্বে প্রক্টরকে তার পদ থেকে অপসারণ করার দাবি জানান।
সমাবেশ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌননিপীড়ন বিরোধী নীতিমালা প্রণয়ন ও কার্যকর করা এবং জাহাঙ্গীরনগর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী লাঞ্ছনার সাথে জড়িতদের আজীবন বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়।