সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ বেলা ২টায় ক্যাম্পাসের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে সুন্দরবন মেলা ও নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলনের নানা তথ্য উপাত্ত ফটোগ্রাফী চিত্রকর্ম তুলে ধরা হয় এবং সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলনের প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। সুন্দরবন মেলা ও নবীন বরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ইভা মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সুন্দরবন মেলা ও নবীন বরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কার্যপরিচালনা কমিটির সদস্য সাইফুজ্জামান সাকন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা।
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী তাঁর উদ্ধোধনী বক্তব্যে বলেন, “যৌবন জীবনের সবচেয়ে প্রাণচ্ছল সময় এই সময়ে তারা অধিক সৃষ্টিশীল কর্মে নিয়োজিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় হল সেই সৃষ্টিশীল কর্মের আলয়, শিক্ষার্থীদের জ্ঞানে-দক্ষতায়-চেতনায় নতুন মানুষ রূপে তৈরী করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞান হতে হবে মানুষের অর্জিত জ্ঞান, তা পিপিলিকার ও মাকড়সার জ্ঞান নয়। জ্ঞানের প্রয়োজন, তার সাথে সাথে আরো প্রয়োজন সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি আয়ত্ব করা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ২৬ বছর ধরে ডাকসু (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) সচল না থাকার কারনে শিক্ষার্থীদের স্বাধীন মতামত প্রতিফলিত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা এবং বহুমুখী সাংস্কৃতিক চর্চার পরিবেশ সংকুচিত হয়েছে। পুঁজিবাদী ব্যাবস্থা আজ এমন জায়গায় উপনীত হয়েছে যার কারণে ফ্যাসিবাদ আজ মানুষের ঘরের মধ্যে ঠাঁই করে নিয়েছে। মুনাফার উদগ্র লালসায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন ধ্বংস হতে চলেছে। সুন্দরবন বিনাশী রামপাল প্রকল্প সহ মানুষের জীবনে নানা সংকট, এগুলো রোগ নয়, রোগের লক্ষণ। রোগ হল পুঁজিবাদ। এই সর্বময় সঙ্কট থেকে মুিক্ত পেতে হলে পুঁজিবাদ বিরোধী লড়াই গড়ে তোলা ছাড়া উপায় নেই।”
আলোচনাসভা শেষে নবীন ছাত্রদের অংশগ্রহনে গান, কবিতা ও নাটক ‘সময়ের দাবি’ পরিবেশিত হয়।