কুমিল্লা মেডিকেল বোর্ডের প্রধান কামদা প্রসাদ সাহার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত
তনু হত্যার বিচার, দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন বাতিল এবং কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ ও মেডিকেল বোর্ডের প্রধান কামদা প্রসাদ সাহার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ১৪ জুন বিকাল ৪ টায় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মর্জিনা খাতুন, বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক মনিদীপা ভট্টাচার্য, অর্থ সম্পাদক তাছলিমা আক্তার বিউটি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, তনু হত্যাকা-ের দ্বিতীয় ময়না তদন্ত প্রতিবেদন মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। তনু হত্যাকা-ের রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ মেডিকেল বোর্ড যে প্রতিবেদন দিয়েছে তা প্রহসনমূলক এবং সিআইডি কর্তৃক প্রকাশিত ডিএনএ পরীক্ষা প্রতিবেদনের সাথে সাংঘর্ষিক। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে মেডিকেল বোর্ড অপরাধীদের ধরাছোঁয়ার বাইরেই রাখছে। প্রায় আড়াই মাস কালক্ষেপণের পর মেডিকেল বোর্ডের প্রধান কামদা প্রসাদ সাহার বক্তব্যও প্রহসনমূলক। অবিলম্বে এই বক্তব্য প্রত্যাহার এবং দ্বিতীয় ময়না তদন্ত রিপোর্ট বাতিল করে সঠিক ময়না তদন্ত প্রতিবেদন জনগণের সামনে প্রকাশ করতে হবে। একই সাথে বার বার তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে প্রহসনের কারণে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ ও মেডিকেল বোর্ডের প্রধান কামদা প্রসাদ সাহার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
তারা আরও বলেন, যেদেশে বছরে ৪ হাজার ৪৩৬ জন নারী ধর্ষণসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়। কিন্তু রাষ্ট্র এই ধর্ষণকারী-নির্যাতনকারীদেরকে বিচারের আওতায় আনেনি। বর্ষবরণে নারী লাঞ্ছনার ঘটনার বিচার এখন পর্যন্ত হয়নি। বরং রাষ্ট্রের মন্ত্রীরা তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে লাঞ্ছনাকারীদের মদদ দিয়েছে, পৃষ্ঠপোষকতা দান করেছে। তনু হত্যাকা-ের ঘটনাও তারই পুণরাবৃত্তি। ফলে সরকার ও মেডিকেল বোর্ডের এই দায়িত্বহীন আচরণ দুবৃত্ত্কারীদেরকেই অপরাধ সংঘটনে উৎসাহী করছে। বিচারহীনতার এই সংস্কৃতি নারীসমাজ সহ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কেড়ে নিয়েছে। তাই তনু হত্যাকারিদের অবিলম্বে গ্রেফতার-বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষে পুনরায় সঠিক ময়না তদন্ত প্রতিবেদন প্রদানের দাবি জানান।