Monday, December 23, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি ও সংগঠন সংবাদনারীমুক্তি কেন্দ্রের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

নারীমুক্তি কেন্দ্রের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি / ২৫ ডিসেম্বর ২০১৩

নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধ, একতরফা নির্বাচন বাতিল, মৌলবাদ-সাম্প্রদায়িকতা-বোমাবাজি-হত্যা-সন্ত্রাস বন্ধ, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানসহ সকল বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবিতে নারীমুক্তি কেন্দ্রের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

সারাদেশে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধ, একতরফা নির্বাচন বাতিল, মৌলবাদ-সাম্প্রদয়িকতা-বোমাবাজি-হত্যা-সন্ত্রাস বন্ধ, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানসহ সকল বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবিতে নারীমুক্তি কেন্দ্রের  উদ্যোগে আজ ২৫ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি এডভোকেট সুলতানা আকতার রুবি এবং সভা পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মর্জিনা খাতুন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক তাছলিমা নাজনীন সুরভী,  প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আফসানা বেগম লুনা, ঢাকা নগর শাখার সদস্য নাঈমা খালেদ মনিকা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ক্ষমতা দখলের পাল্টাপাল্টি  সন্ত্রাস,সংঘাত ও সংঘর্ষের কারণে দুই মাসে ২০ জন শিশু হতাহত হয়েছে। শাহবাগসহ সারাদেশে বোমাবাজি ও আগুনে পুড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে প্রায় ১২৪ জন মানুষ কাতরাচ্ছে। ব্যাংক কর্মকর্তা মাসুদা আগুনে পুড়ে মারা গেলেন। অসংখ্য মার বুক খালি হয়েছে মহাজোট-জোটের ক্ষমতাকেন্দ্রিক লড়াইয়ে। সাধারণ মানুষের জান-মালের নূন্যতম নিরাপত্তা দিতে সরকার সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থ। অথচ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য গণতন্ত্রের ধ্বজাধারি এই সরকার জনমতকে তোয়াক্কা না করে একতরফা নির্বাচনের সমস্ত আয়োজন স¤পন্ন করে চলেছে। ইতিমধ্যে ১৫৪ জন প্রার্থী ইতিমধ্যে নির্বাচিত হয়েছে। আমরা ১৯৮৮ এবং ১৯৯৬ সালে ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচন দেখেছি। গত ৪২ বছরে মহাজোট-জোট জনগণের সমস্ত গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে গদি দখলের লড়াইয়ে লিপ্ত। অন্যদিকে স্বাধীনতা সংগ্রামে পরাজিত শক্তি জামাতসহ ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা করে এই সরকারগুলো তাদের শক্তিবৃদ্ধি করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এদেশের আপামর জনসাধারণের প্রাণের দাবী। সরকারের নানা টালবাহানার পর জনগণের প্রতিরোধের মুখে যখন কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর হল তখন ঐ ৭১ এর পরাজিত শক্তি পাকিস্তান তাদের পরিষদে নিন্দা প্রস্তাব পেশ করল। আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানের নাক গলানো বন্ধ করতে হবে। একই সাথে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে লাখো মানুষ হত্যার জন্য তাদের ক্ষমা চাইতে হবে। এছাড়া সাম্রাজ্যবাদের মোড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্টসহ সকল দেশী-বিদেশী শক্তির সকল হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।

বার্তা প্রেরক
তাসলিমা নাজনীন সুরভী
দপ্তর সম্পাদক
কেন্দ্রীয় কমিটি

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments