প্রগতিশীল ছাত্র জোট ও সাম্রাজ্যবিরোধী ছাত্র ঐক্যের ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ পূর্ব ঘোষিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি সফলভাবে পালিত হয়। দুপুর ১২টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে কলাভবন টিএসসি দোয়েল চত্বর পার হয়ে শিশু একাডেমির সানে আসলে পুলিশ চারস্তরের ব্যারিকেড দিয়ে বাধা প্রদানের চেষ্টা করে । নেতা-কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙ্গে হাইকোর্টের সামনে গেলে আবারো পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে পথ অবরুদ্ধ করে। সেখানে পুলিশি বাধার মুখে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হাসান তারেক,সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি জনার্দন দত্ত নান্টু, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক স্নেহাদ্রি চক্রবর্ত্তী রিন্টু, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম সোহেল, ছাত্র গণমঞ্চের আহ্বায়ক শান্তনু সুমন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি এস এম পারভেজ লেলিন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ফয়সাল ফারুক অভি, ছাত্র ঐক্য ফোরামে আহ্বায়ক সরকার আল ইমরান, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি সালমান রহমান, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকি সুমন, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা
নেতৃবৃন্দ বলেন , ঘটনার এক মাস অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার পর্যন্ত করতে পারেনি। আজ দাবি নিয়ে যখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যওয়া হচ্ছে, পুলিশ সে সময় ব্যারিকেড দিয়ে লাঠি, বন্দুক, জলকামান নিয়ে রণসজ্জায় সজ্জিত হয়ে আন্দোলনকারীদের দমন করতে চায়। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে লাঞ্ছনাকারীদের গ্রেফতার-বিচার না হলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচি দেয়া হবে বলে ঘোষণা করেন। এবং এই চলমান নৈতিক আন্দোলনে দেশের সর্বস্তরের ছাত্র- শিক্ষক- শিক্ষাবিদ-বুদ্ধিজীবি সহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষকে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।