বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী এক বিবৃতিতে বলেন, “নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকেই আমরা দেখছি বিরোধীদলের উপর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও পুলিশ প্রশাসন ঝাঁপিয়ে পড়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, তাদের প্রচার মিছিলে হামলা ও বাধা প্রদান করা হচ্ছে, ঢাকায় বামজোটের কেন্দ্রীয় নেতা জোনায়েদ সাকির নির্বাচনী পোস্টার লাগাতে বাধা দেয়া হয়েছে ও কর্মীদের উপর হামলা করা হয়েছে। এগুলো পত্রপত্রিকায় আসছে, মানুষের চোখের সামনে দিনের আলোতেই ঘটছে, যা নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। অথচ নির্বাচন কমিশন নির্বিকার। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলছেন যে,তিনি বিব্রত। প্রচারণা শুরুর সময়ই যদি পরিবেশ এমন হয়, তাহলে পরবর্তীতে কী হবে তা বলাই বাহুল্য এবং এভাবে চলতে থাকলে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন কার্যত একটি ‘নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন’- এ পরিণত হবে। নির্বাচন পরিচালনা করারজন্য বিরোধী দলগুলোর কোন নেতা-কর্মীকেই বাস্তবে মাঠে থাকতে দেয়া হবে না।”
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, “আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বলছি, ‘বিব্রত হওয়া’কোন সিইসি’র কাজ নয়।তার সুনির্দিষ্ট কাজ আছে এবং সেটা করার জন্য পর্যাপ্ত ক্ষমতাও তাকে দেয়া হয়েছে। তিনি সেটা প্রয়োগ করুন।দোষীদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিন। তা না করে বিব্রত হওয়ার কথা বলে একটা নিরপেক্ষ ভাব রাখা ও জনপ্রিয় হওয়ার চেষ্টা করা তার পক্ষে উচিত নয়। এ ব্যাপারে কোন সহানুভূতিও তিনি দেশের মানুষের কাছে পাবেন না। আচরণবিধি অনুযায়ী এসব ঘটনায় প্রার্থী, এমনকি দলের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া যায়। আমরা নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান রাখছি, আপনারা এই ঘটনাগুলোর ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিন।”