Sunday, April 28, 2024
HomeUncategorizedবাসদ (মার্কসবাদী) ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রার্থীদের ভোট দিন

বাসদ (মার্কসবাদী) ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রার্থীদের ভোট দিন

spade

স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের অবসান ও গণতান্ত্রিক অধিকার চাই! শোষণমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ চাই!

জনগণের অধিকার আদায়ে আন্দোলনের শক্তিকে সমর্থন করুন

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচ‌নে জনগণ ভোট দিতে পারবে কি না তা নিয়ে সংশয় কাটেনি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকার ‘নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন’-এর পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। আমাদের দলসহ বাম গণতান্ত্রিক জোট এবং অন্যান্য বিরোধী দল দাবি তুলেছিল – নির্বাচনের আগে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেয়া, নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গঠন ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। এসব দাবি মহাজোট সরকার মানেনি। তারপরও জনগণের ভোটাধিকারসহ গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের দল বাসদ (মার্কসবাদী) নির্বাচনে কোদাল প্রতীক নিয়ে লড়ছে। আপনাদের প্রতি আমাদের আহ্বান – সকল বাধা উপেক্ষা করে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন, আওয়ামী দুঃশাসনের অবসান ঘটান এবং ধনিকশ্রেণীর দ্বি-দলীয় অপরাজনীতির বিপরীতে বাম-গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তিকে জয়যুক্ত করুন।

উজ্জ্বল রায়, সিলেট-১ (সদর, সিটি কর্পোরেশন)
উজ্জ্বল রায়, সিলেট-১ (সদর, সিটি কর্পোরেশন)

আপনাদের চোখের সামনে আওয়ামী লীগ সরকারের ফ্যাসিবাদী শাসন স্পষ্ট। বাস্তবে স্বাধীনতা পরবর্তী ৪৭ বছর দেশ শাসন করা সকল সরকারই কিছুসংখ্যক শিল্পপতি-পুঁজিপতি ও লুটেরা-মাফিয়াদের স্বার্থে দেশ চালিয়েছে। কিন্তু গত ১০ বছরের আওয়ামী শাসনে যে অভাবনীয় লুটপাট, দুর্নীতি ও শোষণের মধ্য দিয়ে কিছু সংখ্যক লোক বিপুল টাকার মালিক হয়েছে – এটা অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। আজ দেশের ১০ শতাংশ পরিবারের হাতে দেশের মোট সম্পদের ৩৮ ভাগ কুক্ষিগত। গত ১০ বছরে ৬ লক্ষ কোটি টাকার বেশি দেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে। লুটপাটকারীরা কেউ বড় শিল্পপতি-সিআইপি, কেউ রাজনৈতিক নেতা-আমলা, তাদের কোন বিচার হচ্ছে না। বরং তাদের লুটপাটের ক্ষতি পোষাতে গত ৬ বছরে ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি সরকারি কোষাগার থেকে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোকে ভর্তুকি দেয়া হয়েছে।

অপু দাশগুপ্ত, চট্টগ্রাম-১১(সিটি কর্পোরেশনের ২৭-৩০, ৩৬-৪১ নম্বর ওয়ার্ড)
অপু দাশগুপ্ত, চট্টগ্রাম-১১ (সিটি কর্পোরেশনের ২৭-৩০, ৩৬-৪১ নম্বর ওয়ার্ড)

অথচ ৪০ লক্ষ শ্রমিকের গার্মেন্টস শিল্পে ন্যূনতম মজুরি ১৬০০০ টাকার দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। মাত্র ৮ হাজার টাকা মজুরি দিয়ে কোন পরিবারের টিকে থাকাও কষ্টকর। অথচ এই শ্রমিকরা দিনে ১০/১২ঘণ্টা, এমনকি কখনও ১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত খাটে। গ্রামের কৃষক ফসলের দাম না পেয়ে পথে বসেছে। ক্ষেতমজুরদের কাজ নেই সারা বছর। নিত্যপণ্য-গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির মূল্যবৃদ্ধি, বাড়িভাড়া-গাড়িভাড়া বৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্ত হাঁসফাঁস করছে। লেখাপড়ার খরচ একেবারে প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ক্রমেই বাড়ছে। চিকিৎসা নিয়ে চলছে ব্যবসা। ঔষধের দাম বাড়ছে। বেসরকারি হাসপাতালের নামে মুনাফার চক্রে মানুষ প্রতারণার শিকার হচ্ছে। দেশে বেকারের সংখ্যা ৪ কোটি। গত দশ মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আটজন শিক্ষার্থী মানসিক চাপ সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে।

আনোয়ার হোসেন বাবলু, রংপুর-৩ (সদর, সিটি কর্পোরেশন)
আনোয়ার হোসেন বাবলু, রংপুর-৩ (সদর, সিটি কর্পোরেশন)

ফলে দেশ আজ দুইভাগে বিভক্ত। দেশের একদিকে ১০ শতাংশ পুঁজিপতি-শিল্পপতিশ্রেণি; অন্যদিকে ৯০ শতাংশ শ্রমজীবী, কৃষক এবং শিক্ষিত-মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত লোকেরা। প্রতিবাদ-বিক্ষোভকে দমন করার জন্য ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮’ সহ একের পর এক আইন প্রবর্তিত হচ্ছে। ‘গায়েবি মামলা’য় আটক করা হচ্ছে, জেলে পুরে দেয়া হচ্ছে, বিনা বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। সরকারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে রায় দেয়ায় খোদ প্রধান বিচারপতিকে পর্যন্ত দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। বিশ্বখ্যাত ফটোগ্রাফার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র থেকে শুরু করে স্কুলের কিশোর পর্যন্ত পুলিশ ও আওয়ামী লীগের আক্রমণের শিকার হচ্ছে। লেখালেখি ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংকুচিত করা হচ্ছে। বিস্তার ঘটছে মাদক-জুয়া-পর্ণোগ্রাফীর, সিনেমা-বিজ্ঞাপনে চলছে নারীদেহের নোংরা প্রচার। গত ৪ বছরে ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৭ হাজার নারী।

নাঈমা খালেদ মনিকা, ঢাকা-১৬
নাঈমা খালেদ মনিকা, ঢাকা-১৬

ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের কাছে নতজানু নীতিতে দেশ চালাচ্ছে সরকার। আমেরিকা-চীন-রাশিয়াসহ শক্তিশালী সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোকে খুশি রেখে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায় সরকার। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা, সীমান্ত হত্যার বিচার আদায় করা যায়নি; অথচ ট্রানজিট-বন্দরসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক সুবিধা ভারতকে দেয়া হয়েছে। একদিকে ভারতের সাম্রাজ্যবাদী আচরণ; অন্যদিকে অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা করছে ভারত। আমাদের দল তিস্তায় পানির দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়েছে। ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে ব্রহ্মপুত্রের পানি প্রত্যাহারের পরিকল্পনার প্রতিবাদে আমরা ঢাকা-কুড়িগ্রাম লংমার্চ সংগঠিত করেছি। সাথে সাথে আমরা মানুষকে এও দেখিয়েছি যে, ভারতের সাম্রাজ্যবাদী সরকার আর ভারতের জনগণ এক নয়।

রঞ্জন দে, বগুড়া-৫ (শেরপুর, ধুনট)
রঞ্জন দে, বগুড়া-৫ (শেরপুর, ধুনট)

আওয়ামী দুঃশাসন থে‌কে মু‌ক্তির জন্য জনগণ এই নির্বাচ‌নের দি‌কে তাকি‌য়ে আ‌ছে ঠিক। কিন্তু এও ঠিক যে, কেবল নির্বাচ‌নে সরকার পরিবর্তনের মাধ্যমেই এই আকাক্সিক্ষত মু‌ক্তি আসবে না। বিএনপি-জামাত জোটের দুঃশাসন থে‌কে মু‌ক্তি পাওয়ার জন্যই মানুষ ২০০৮ সা‌লে আওয়ামী লীগ‌কে বিজয়ী ক‌রেছিল। ‌কিন্তু মুক্তি আ‌সেনি, তার পরিবর্তে আরও নিপীড়নমূলক শাসন মানুষের উপর চেপে বসেছে। তাই সরকারে যারাই আসুক না কেন, আন্দোলনই জনগণের অধিকার আদায়ের একমাত্র গ্যারান্টি। জনতা আন্দোলনমুখী হ‌লে কোন অন্যায় তাদের উপর জোর ক‌রে চাপিয়ে দেয়া যায় না। এর মধ্য দিয়েই বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে উঠবে, যা যথার্থ বিপ্লবী দলের নেতৃত্বে সমাজ পরিবর্তন ঘটাবে।

মহির উদ্দিন, কুড়িগ্রাম-৪ (রৌমারী, রাজিবপুর, চিলমারী (আংশিক))
মহির উদ্দিন, কুড়িগ্রাম-৪ (রৌমারী, রাজিবপুর, চিলমারী (আংশিক))

আমরা আমা‌দের দ‌লসহ বাম গণতান্ত্রিক জো‌টের পক্ষ থেকে জনগ‌ণের ভোটা‌ধিকার রক্ষার দাবিসহ জনজীবনের নানা সমস্যা নি‌য়ে আন্দোলন করেছি। শত সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বামপন্থীরাই এদেশে জনস্বার্থ নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম জারি রেখেছে। বিগত সময়ে বিবিয়ানাসহ বিভিন্ন গ্যাসক্ষেত্র সাম্রাজ্যবাদীদের হাতে তুলে দেয়ার বিরুদ্ধে, চট্টগ্রাম বন্দরকে সাম্রাজ্যবাদী কোম্পানির হাতে লিজ দেয়ার বিরুদ্ধে, সুন্দরবন রক্ষায় রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিরোধিতা করে, ফুলবাড়ী কয়লাখনি এশিয়া এনার্জি কোম্পানিকে দেয়ার বিরুদ্ধে, তেল-গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে, ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা করার দাবিতে, কৃষকদের ফসলের ন্যায্যমূল্যের দাবিতে, নারী নির্যাতন এবং ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রদায়িক আক্রমণের প্রতিবাদে, কালো আইনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে বামপন্থীরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।

আন্দোলনের আহ্বান নিয়েই আমরা এই নির্বাচ‌নে লড়ব। আমরা শিল্পপতি, বড় ব্যবসায়ী, কালোবাজারী, ব্যাংক লুটেরাদের টাকা নিয়ে দল চালাই না। আমাদের দল সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে গণচাঁদা সংগ্রহ করে বিভিন্ন আন্দোলন, নির্বাচন ও অন্যান্য নিয়মিত কর্মকা- পরিচালনা করে। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়া, লোভ দেখানো, ভোট কেনাবেচার রাজনীতি আমরা করি না। আপনাদের কাছে আবেদন থাকবে – নী‌তি-মূল্য‌বোধহীন রাজনী‌তির বিপরী‌তে আদর্শবাদী শ‌ক্তি হি‌সে‌বে বামপন্থীদের শক্তিশালী করুন। আসন্ন নির্বাচনে বাসদ(মার্কসবাদী) প্রার্থীদের কোদাল প্রতীকে এবং বাম গণতান্ত্রিক জোট সমর্থিত প্রার্থীদের ভোট দিয়ে ও ভোটের খরচ যুগিয়ে শোষিত মানুষের পক্ষের রাজনীতিকে শক্তিশালী করুন। আপনাদের প্রতিটি ভোট জনস্বার্থ রক্ষায় আন্দোলনের শক্তি ও সমাজ পরিবর্তনের রাজনীতিকে সমর্থন যোগাবে।

জসীম উদ্দিন, ফেনী-২ (সদর)
জসীম উদ্দিন, ফেনী-২ (সদর)
সাজেদুল আলম চৌধুরী, দিনাজপুর-৪ (খানসামা, চিরিরবন্দর)
সাজেদুল আলম চৌধুরী, দিনাজপুর-৪ (খানসামা, চিরিরবন্দর)
শাহজামান তালুকদার, জয়পুরহাট-২ (আক্কেলপুর, কালাই, ক্ষেতলাল)
শাহজামান তালুকদার, জয়পুরহাট-২ (আক্কেলপুর, কালাই, ক্ষেতলাল)
Azizur Rahman, 45 yrs, Chandpur 3 copy
আজিজুর রহমান, চাঁদপুর-৩ (সদর, হাইমচর)

 

 

 

 

 

জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আশু দাবি

  • স্বৈরতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার অবসান চাই। দমন-পীড়ন, মামলা-হামলা বন্ধ করতে হবে। রাষ্ট্রীয় হেফাজতে বিচারবহির্ভূত আটক-হত্যা, গুম-ক্রসফায়ার বন্ধ করতে হবে। মত প্রকাশের অধিকার হরণ করা চলবে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নিপীড়নমূলক ধারা বাতিল চাই। বিচারবিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসন-পুলিশসহ রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দলীয়করণ বন্ধ করতে হবে।
  • দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধ করতে হবে। কালো টাকার মালিক-অর্থপাচারকারী-ঋণখেলাপী-ব্যাংক লুটেরাদের গ্রেপ্তার, আয়ের সাথে সঙ্গতিবিহীন সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে।
  • নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য সংস্থা ঞঈই-কে সক্রিয় করা, গরীব-মধ্যবিত্তের জন্য রেশন ব্যবস্থা চালু করতে হবে। ওএমএসে ১০ টাকা কেজি দরে চাল সরবরাহ করতে হবে। গ্যাস-বিদ্যুতের বর্ধিত দাম প্রত্যাহার চাই। রেল-বিআরটিসিসহ সরকারি গণপরিবহন বিস্তৃত করতে হবে। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকারি উদ্যোগে অল্প ভাড়ায় বহুতলবিশিষ্ট আবাসন প্রকল্প বা কলোনী নির্মাণ করতে হবে। বাড়িভাড়া-গাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকর চাই।
  • শ্রমিকদের ন্যূনতম জাতীয় মজুরী ১৬ হাজার টাকা নির্ধারণ, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার ও কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। গণতান্ত্রিক ও শ্রমিকবান্ধব শ্রম আইন চাই।
  • কৃষি ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হাটে হাটে সরকারি ক্রয়কেন্দ্র চাই। খাদ্যশস্যের রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য চালু করতে হবে। স্বল্পমূল্যে কৃষি উপকরণ সরবরাহ করতে হবে। ক্ষেতমজুরদের সারা বছর কাজ ও রেশন চাই। ভূমিহীনদের খাস জমি বরাদ্দ দিতে হবে। কৃষিঋণ মওকুফ ও সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
  • শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ চাই। বেকারদের নাম তালিকাভুক্ত করে কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে বেকার ভাতা দিতে হবে। রাষ্ট্রীয় শূণ্যপদে নিয়োগ ও সরকারি চাকুরীতে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে।
  • নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে দোষীদের দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। মাদক, পর্ণোগ্রাফী ও জুয়ার বিস্তার রোধ করতে হবে। মাদকাসক্তদের পুনর্বাসন চাই।
  • শিক্ষা বাণিজ্য ও প্রশ্নফাঁস বন্ধ করতে হবে। পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা বাতিল চাই। চিকিৎসা নিয়ে ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থার অধীনে প্রত্যেক নাগরিকের উপযুক্ত চিকিৎসা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।
  • ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ পর্যন্ত সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হামলা-আক্রমণের ঘটনাসমূহের নিরপেক্ষ তদন্ত করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। পাহাড় ও সমতলের আদিবাসীদের ভূমি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষা করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে অঘোষিত সেনাশাসন প্রত্যাহার করতে হবে।
  • ভারতের কাছ থেকে তিস্তাসহ সব অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে হবে। নতজানু পররাষ্ট্রনীতি চাই না। রামপালে সুন্দরবন ধ্বংসকারী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করতে হবে। মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুল রুপপুর পরমাণু বিদ্যুৎপ্রকল্প চাই না।
  • ‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার’-এর অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে। স্বাধীন নির্বাচন কমিশন চাই। নির্বাচনে টাকার খেলা বন্ধ করতে হবে, জামানত কমাতে হবে। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক রাজনৈতিক দল নিবন্ধন-এর অগণতান্ত্রিক প্রথা বাতিল করতে হবে। সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা চালুসহ নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কার চাই।
  • নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে গাড়ীচালকদের নিয়োগপত্র, মাসিক বেতন, পর্যাপ্ত বিশ্রাম-ছুটি ও প্রশিক্ষণ চাই। লাইসেন্সবিহীন চালক ও ফিটনেসবিহীন যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে। সড়ক পরিবহন খাতে মুনাফালোভী বাস মালিক-চাঁদাবাজ শ্রমিকনেতা-ঘুষখোর পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে গড়ে ওঠা মাফিয়া সি-িকেট ভেঙ্গে দিতে হবে।
RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments