Sunday, April 28, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি সংবাদপহেলা বৈশাখে নারী লাঞ্ছনার প্রতিবাদে ঢাকায় নারীমুক্তি কেন্দ্রের বিক্ষোভ

পহেলা বৈশাখে নারী লাঞ্ছনার প্রতিবাদে ঢাকায় নারীমুক্তি কেন্দ্রের বিক্ষোভ

SAM_Dhaka

নারী লাঞ্ছনা প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহ্বান এবং অবিলম্বে পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী লাঞ্ছনার সাথে জড়িতেদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ১৮ এপ্রিল ২০১৪ বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র, কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষাভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সীমা দত্ত। সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মর্জিনা খাতুন। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মনিদীপা ভট্টাচার্য, ঢাকা নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক তাছলিমা নাজনীন সুরভী, দপ্তর সম্পাদক ইভা মজুমদার, ফারহিন ইসলাম সোমা প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, পহেলা বৈশাখ একটি সর্বজনীন উৎসব, এই উৎসব সকলে মিলে যখন উপভোগ করছে তখন সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোরওয়ার্দী গেটে একদল দুবৃত্ত প্রায় ১০-১২ জন নারীর শ্লীলতাহানি করেছে। এই ঘটনায় সারা দেশের বিবেকবান ও প্রগতিশীল মানুষ প্রতিবাদ করছে। সমাবেশ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্যে এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের নির্বিকার ভূমিকার তীব্র ধিক্কার জানিয়ে বলা হয়, এ ঘটনার ৮ দিন পার হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এ ভাবে আগেও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘটিত নানা দুঃষ্কর্ম প্রশাসন ও পুলিশের প্রশ্রয় পেয়েছে।

একইভাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে এক ছাত্রীকে ছাত্রলীগ নেতা লাঞ্ছনা করেছে। বর্ষবরণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করেছে ছাত্রলীগনেতাকর্মীরা। এসব ঘটনার সময় পুলিশ প্রশাসনের নির্বিকার ভূমিকা ও ক্ষমতাসীনদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ আশ্রয়ে ছাত্রলীগের দৌড়াত্ব চরম মাত্রায় পৌছেছে। অবিলম্বে এই দুর্বৃত্তকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

তাঁরা আরো বলেন, এই ধরনের সামাজিক উৎসবগুলোতে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাগুলো বেড়ে চলেছে। সমাজে সাংস্কৃতিক অবনমন যে চরম মাত্রায় পৌঁছেছে তার প্রমাণ এই ঘটনাগুলো। নাটক-সিনেমা-বিজ্ঞাপনে নারীকে যেভাবে উপস্থাপন করছে তার ফলে নারী সম্পর্কিত যে ভোগবাদী দৃষ্টিভঙ্গির সৃষ্টি হয়েছে সেই দৃষ্টিভঙ্গিই যুব সমাজের মধ্যে এই অবক্ষয়ের সৃষ্টি করেছে। এর দায়িত্ব ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠীর। শাসকশ্রেণি তার নিজের স্বার্থে সামাজিক অবক্ষয়ের সৃষ্টির করেছে যার আক্রমণের প্রধান কেন্দ্র বিন্দু এই নারী সমাজ। সরকারের এই ধরনের ভূমিকা নারীসমাজের প্রতি সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিরই প্রতিফলন। সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতা গোটাজাতির জন্য লজ্জাজনক। তাই বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র সারা দেশে নারী লাঞ্ছনার বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহবান করছে। সম্মিলিত গণ আন্দোলন গড়ে তোলার মধ্য দিয়েই এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিচার করতে হবে। নেতৃবৃন্দ দেশের সকল নারীকে সেই গণআন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments