Sunday, May 5, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি সংবাদপিইসি পরীক্ষা ২০১৬ সালের মধ্যে বাতিলের দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

পিইসি পরীক্ষা ২০১৬ সালের মধ্যে বাতিলের দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

cancellation of PEC-1 (1)

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ২৯ জুন বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায়  জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জনস্বার্থবিরোধী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা বহালের সরকারী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এবং ২০১৬ সালের মধ্যেই এই পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে মানব বন্ধন, মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইভা মজুমদার ও সুষ্মিতা রায় সুপ্তি। সমাবেশ পরিচালনা করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্নেহাদ্রি চক্রবর্ত্তী রিন্টু।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘সারাদেশে যখন পিইসি পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে অভিভাবকরা রাজপথে আন্দোলন করছে তখন পিইসি পরীক্ষা চালু রাখার মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্ত অভিভাবকদের স্তম্ভিত করেছে। পিইসি পরীক্ষা সর্বমহলে শৈশব ধ্বংসকারী পরীক্ষা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই পরীক্ষা চালুর মাধ্যামে শিক্ষার মান উন্নয়ন করা কিংবা শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার ব্যাপারে আগ্রহী করে গড়ে তোলার কোনো উদ্দেশ্যই সরকার বাস্তবায়ন করতে পারেনি। বরং পিইসি পরীক্ষা চালুর মধ্য দিয়ে প্রাথমিক স্তরেই শিক্ষাব্যবসা আরও ত্বরান্বিত হয়েছে। ভালো ফলাফলের প্রতিযোগিতায় পড়ে অভিভাবকরা বাধ্য হয়ে সন্তানকে কোচিং-প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়াচ্ছেন। নোট-গাইড বইয়ের ওপর ব্যাপক নির্ভরশীলতা বেড়েছে। যে বয়সে শিক্ষার্থীদের কৌতূহলী হয়ে জগত-জীবনের রহস্য, তার কার্যকারণ সম্পর্ক, আনন্দদায়ক পাঠের মধ্য দিয়ে কৌতূহল মেটানোর কথা- সেই বয়সে কোমলমতি শিশুরা পরীক্ষার চাপে পিষ্ট। পিইসি চালু হবার পর থেকে শিশু শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সময় পাচ্ছে না। ফলে শারীরিক-মানসিক বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। মরে যাচ্ছে কোমল মন-অনুভূতি। শিশুদের আনন্দময় শৈশব বলে আর কিছু নেই। আর শিক্ষাব্যয় বৃদ্ধির কারণে অভিভাবকদেরও নাভিশ্বাস উঠেছে। তাই শিক্ষক-শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকরা অনেক আগে থেকেই এই পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়ে এসেছেন। কিন্তু সরকার শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের দাবির প্রতি কর্ণপাত করেনি। বরং গাইডবই ব্যবসায়ীদের চাপে এবং শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণের ধারাকে আরও তীব্র করতে পিইসি বহালের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।’

নেতৃবৃন্দ ২০১৬ সালের মধ্যেই পিইসি পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানান। অন্যথায় অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের যুক্ত করে ঈদের পর দেশব্যাপী তীব্র ছাত্রআন্দোলন গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments