গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত
হকারদের ওপর পুলিশী হামলার বিচার চাই
১৭ জানুয়ারি ২০১৭ মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘হকারদের ওপর পুলিশী হামলার বিচার চাই এবং পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান ছাড়া হকার উচ্ছেদ বন্ধ কর’ এই দাবি নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
গণতান্ত্রিক বামমোর্চার অন্যতম নেতা গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য প্রদান করেন গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী) অন্যতম কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা বহ্নিশিখা জামালী, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার সমিতির সভাপতি বাচ্চু ভূঈয়া প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজধানীর গুলিস্তান ও বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এলাকায় অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদের নামে হকার উচ্ছেদ চলছে। এবং হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্বেও এই উচ্ছেদ কর্মকা- সিটি কর্পোরেশন চালাচ্ছে। এটা কিভাবে চলতে পারে সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দ জানতে চান। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে কেন এ ধরনের কর্মকা- চলে তার যৌক্তিক কারণও নাগরিকেরা জানে না। বক্তাগণ বলেন, এদেশে যে সাধারণভাবে নিরাপদে ও নির্বিঘেœ কাজ করার ন্যূনতম নাগরিক অধিকার রয়েছে তা সরকার বন্ধ করতে চায়। ভোটারবিহীন এই সরকার স্বীকার করতে চায় না হকার ও মেহনতি মানুষের ছোট-খাটো ব্যবসায় করার ন্যায্য অধিকার রয়েছে। বরং দেখা যাচ্ছে সরকার উন্নয়নের নামে গরিব-মেহনতি মানুষকে তার কাজ থেকে, জমি-জায়গা থেকে বারবার উচ্ছেদ করছে।
বক্তাগণ আরো বলেন, সরকার ‘উন্নয়ন উন্নয়ন’ নামে যে ফেনা তুলছে- তা আসলে কতিপয়ের ’উন্নয়ন’। বেশিরভাগ মানুষকে বঞ্চিত করে এবং উচ্ছেদ করেই এই উন্নয়ন। এটা এখন পরিষ্কার যে অবাধ লুটপাটের জন্যই শত শত উন্নয়ন প্রকল্প গৃহীত হয়েছে এবং তার ফলে সরকারদলীয়দের পেট মোটা হচ্ছে।
সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, হকারদের ফুটপাতের ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেলে তাদের জীবনধারনের কি ব্যবস্থা হবে এ বিষয়ে সরকারের কোন পরিকল্পনা দেখা যাচ্ছে না। সরকারকে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বক্তাগণ আরো বলেন, গুলিস্তান ও বঙ্গবন্ধু এভিনিউসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সকল ধরনের হকারকে ব্যবসা করার সুযোগ অব্যাহত রাখুন। অবিলম্বে উচ্ছেদকৃতদের জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুন, বিকল্প কাজের সুযোগ না দিয়ে আর একজন হকারও উচ্ছেদ চলবে না। হামলাকারী পুলিশদের শাস্তি দিয়ে শ্রমজীবী মানুষের ওপর সকল ধরনের নীপিড়ন বন্ধ করুন। সমাবেশ থেকে সকলের গণতান্ত্রিক দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নে কর্মসূচি এবং দাবি-দাওয়া আদায়ে সভা-সমাবেশ করার অধিকারকে নস্যাৎ না করার আহ্বান জানানো হয়।