বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী এক বিবৃতিতে বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে সরকারি দলের একচেটিয়া বিজয়ে জনমতের সঠিক প্রতিফলন ঘটেনি। আপাতদৃষ্টিতে সহিংসতা ও প্রকাশ্য ভোটডাকাতি কম মনে হলেও নির্বাচনের নামে বাস্তবে প্রহসন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকারী দল কর্তৃক প্রশাসনের সহযোগিতায় আগের রাতেই ব্যালটে সীল মেরে রাখা, কেন্দ্র দখল, বিরোধী পক্ষের পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়ে গণহারে সীল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা, বহিরাগতদের জড়ো করে ব্যাপক জালভোট প্রদান, বিরোধী নেতা-কর্মী ও ভোটারদের ভোটকেন্দ্রের আশেপাশে ভিড়তে না দেয়া, নির্বাচনের আগে থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজনকে পুলিশী হয়রানি করে এলাকাছাড়া করাসহ নানা কায়দায় পরিকল্পিত ও কৌশলী রিগিং করা হয়েছে। এই নির্বাচন ভিন্ন কৌশলে ৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনেরই ধারাবাহিকতা মাত্র। প্রশাসনিক কারসাজি, বলপ্রয়োগ ও জালিয়াতিপূর্ণ এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকারকে আরেকবার পদদলিত করা হলো। প্রথমবার দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনের ফলাফল নিরংকুশভাবে নিজেদের পক্ষে রেখে মহাজোট সরকার স্থানীয় পর্যায়ে নিজেদের কর্তৃত্ব পাকাপোক্ত করতে চায় এবং দেশে-বিদেশে তার গ্রহণযোগ্যতার সংকট কাটাতে চায়। এর ফলে দেশে ফ্যাসিবাদী শাসনের প্রবণতা, স্বেচ্ছাচারিতা ও লুটপাট আরো বাড়বে।
কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী মহাজোট সরকারের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে এবং ভোটাধিকারসহ জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার দাবিতে সোচ্চার হতে গনতন্ত্রমনা জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান।