ভোটাধিকার সহ জনগনের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম বেগবান করার আহ্বান জানিয়ে ১০ আগস্ট গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা চট্টগ্রাম জেলা শাখার একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে বিকাল ৫ টায় হাসান মারুফ রুমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড উজ্জ্বল রায়, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু, বাসদ কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ইয়াসিন মিঞা, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির জেলা সভাপতি চিত্তরঞ্জন বড়ুয়া, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সদস্য সচিব অপু দাশ গুপ্ত, শফি উদ্দিন কবির আবিদ, মোঃ হানিফ প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ ব্লগার হত্যা, অব্যাহত নৃশংস শিশুহত্যা, নারী ধর্ষণে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, যখন রাষ্ট্র ফ্যাসিবাদী কায়দায় শাসন চালায়, সরকার সপূর্ণ অগণতান্ত্রিকভাবে ও গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে ও টিকে থাকার তৎপরতা চালায়, আইনের শাসন থাকেনা, একের পর এক হত্যাকান্ডের বিচার না হওয়ায় বিচারহীনতার সংস্কৃতি রাষ্ট্র কর্তৃক ন্যায্যতা পায়, তখন দেশে অগণতান্ত্রিক শক্তি উত্থানের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সমাজে নীতি-নৈতিকতা-মূল্যবোধের ব্যাপক ধ্বস ঘটে। যার নজির সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনায় স্পষ্ট। এর দায় বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকেই নিতে হবে। এ অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে আজ গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “সরকার একের পর এক জনগণের অধিকার হরণ করছে। দ্রব্যমূল্য বাড়ছেই। কৃষক ধান সহ ফসলের ন্যায্যমূল্য হতে বঞ্চিত। উন্নয়নের নামে পুঁজিপতিদের স্বার্থে কৃষিজমি ধ্বংস করা হচ্ছে। মানবপাচারকারী গডফাদাররা সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে নিরাপদ। এত মানুষ হত্যার কোন বিচার হলনা। দেশবাসীর বিরোধিতা উপেক্ষা করে ভারতের সাথে নানা চুক্তি হল, ভারতকে একতরফা সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হল অথচ তিস্তা নদীর পানি বন্টন, সীমান্তে হত্যা বন্ধ সহ নানা অমিমাংসীত বিষয় নিরসনে কোন উদ্যোগ নেওয়া হলনা। তাই অতীতের বিএনপি-জামাতের জোট সরকারের মত এই সরকারের কাছেও যেমন দেশের জনগন ও গণতন্ত্রের কোন ভবিষ্যত নেই, তেমনি জাতীয় সম্পদ-স্বার্থও নিরাপদ নয়। নেতৃবৃন্দ বিকল্প ব্যবস্থা ছাড়া মহাসড়কে অটোরিক্সা, থ্রি হুইলার বন্ধের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, বিকল্প ব্যবস্থা না করে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন লক্ষ লক্ষ পরিবারকে চরম দুর্দশায় পতিত করবে।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।