Friday, May 3, 2024
Homeছাত্র ফ্রন্টক্ষুদিরামের চরিত্র থেকে শিক্ষা নিয়ে মনুষ্যত্বের ঝান্ডা ঊর্ধ্বে তুলে ধরুন

ক্ষুদিরামের চরিত্র থেকে শিক্ষা নিয়ে মনুষ্যত্বের ঝান্ডা ঊর্ধ্বে তুলে ধরুন

Khudiram STACHU১১ আগস্ট ২০১৫ বৃটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্নি কিশোর ক্ষুদিরামের ১০৭ তম ফাঁসি দিবস উপলক্ষে শিশু কিশোর মেলা ঢাকার উদ্যোগে স্কুলে স্কুলে ক্ষুদিরামের ব্যাজ পরিধান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও সমবেত কণ্ঠে “একবার বিদায় দে মা” গানটি পরিবেশিত হয়। সেগুনবাগিচা হাই স্কুল, মিরপুরে নাহার একাডেমি, ডঃ ম. শহীদুলস্নাহ স্কুল, তেঁজগাতে হোসেন আলী উচ্চ বিদ্যালয়, মহাখালী মডেল হাই স্কুল, লালবাগে অগ্রণী স্কুল, সিরাজুদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নবকুমার ইনিস্টিটিউশন, সূত্রাপুরে কে. এল. জুবিলি স্কুল, বেগম বদরম্নন্নেসা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

শিশু কিশোর মেলা শেরে বাংলা নগর শাখার উদ্যোগে ১১ আগষ্ট সকাল সাড়ে ৭ টায় মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ, আগারগাঁও আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজ ও শহীদ শাহাবুদ্দিন স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে ব্যাচ ধারণ এবং সকাল ১১টায় শাহাবুদ্দিন স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন শহীদ শাহাবুদ্দিন স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন, শিশু কিশোর মেলা পাঠাগারের সংগঠক মর্জিনা খাতুন, স্নেহাদ্রি রিন্টু ও ফজলে রাব্বী।

শিশু কিশোর মেলা বাড্ডা শাখার উদ্যোগে শহীদ রুমি পাঠাগারে ১০ আগস্ট বিকাল ৪টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, শি. কি. মেলার সংগঠক সায়দুল নিশান ও পাঠাগার সংগঠক সাজ্জাদ।

শিশু কিশোর মেলা তেজগাঁ’র উদ্যোগে শাখার শহীদ বুদ্ধিজীবী পাঠাগারে বিকাল ৪টায় আলোচনা সভায় অংশ নেন আলী নাঈম ও নিপা।

শিশু কিশোর মেলা মিরপুর-পল্লবী শাখার উদ্যোগে বিদ্যাসাগর পাঠাগারে ক্ষুদিরামের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশ নেন সাইফুল হাসান মুনাকাত ও জ্যোতির্ময় চক্রবর্তী।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম অকুতোভয় কিশোর সৈনিক শহীদ বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু। তাঁর আত্মত্যাগে বৃটিশদের শাসনের ভিত নড়ে উঠেছিল। বৃটিশদের শাসনের ফলে ভারতের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক অবস্থা ভঙ্গুর হয়ে পড়ে; লক্ষ লক্ষ মানুষ অনাহারে-অর্ধহারে এবং বৃটিশদের অত্যাচারে অকালে মৃত্যুবরণ করে। দেশের এই অবস্থা দেখে ক্ষুদিরাম বিপস্নবী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিল। তার ছিল একটাই মূলমন্ত্র – ‘সাদা ভূত দেশ থেকে তাড়াতে হবে।’ কলকাতায় অত্যাচারী ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে হত্যা করার আদেশ পড়েছিল ক্ষুদিরাম ও প্রফুলস্ন চাকীর উপর। ধরা পড়লে নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও ক্ষুদিরাম ও প্রফুলস্ন চাকী সে দায়িত্ব সাহসিকতার সাথে তুলে নিয়েছিল। কিন্তু ঘটনাক্রমে কিংসফোর্ড বেঁচে গেলেও বৃটিশদের প্রহসনের বিচারে মাত্র ১৮ বছর বয়সে ১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট বিপস্নবী ক্ষুদিরামের ফাঁসি হয়।’

বক্তাগণ ক্ষুদিরামের মতো আজকের কিশোর তরুণদের বড় হয়ে উঠার আহ্বান জানান।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments