বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন রংপুর জেলা শাখার উদ্যোগে গত ১০ জুন শুক্রবার সকাল ১১টায় কর্মীসভা জিএলরায় রোডস্থ সাম্যবাদ কার্র্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের জেলা সংগঠক পলাশ কান্তি নাগ এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সংগ্রামী সভাপতি আ.ক.ম জহিরুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সমন্বয়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলু।
সভায় প্রধান আলোচক কমরেড আ.ক.ম জহিরুল ইসলাম বলেন, দেশে কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছে, ধনী আরো ধনী হচ্ছে, শিল্পপতি-ব্যবসায়ী-মালিক শ্রেনীর “আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ” অবস্থা। অন্যদিকে লক্ষ-কোটি শ্রমজীবী মানুষ মানবেতর জীবনের শেষ কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে। এদিকে বাড়ছে বেকার ছিন্নমুল মানুষ-ভিক্ষুকের সংখ্যা, অন্যদিকে কর্মজীবী মানুষের বেশীরভাগ যে আয় করে তা দিয়ে এই বাজারে মানসম্মত জীবনযাপন সম্ভব নয়। শ্রমিকদের ওপর চলছে তীব্র শোষণ। তাদের সংগঠন করার অধিকার নেই। নিয়োগপত্র-চাকুরির নিরাপত্তা নেই, ওভারটাইম-বোনাস-পেনশন-গ্রাচুইটি-অর্জিত ছুটি-মাতৃকালীন ছুটির নিশ্চয়তা নেই। গার্মেন্টস শিল্পের মত সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠানিক খাতের এই অবস্থা। আর অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের বেলায় তো শ্রম আইনই প্রযোজ্য নয়।
এই অবস্থায় সংগঠিত হয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা ছাড়া শ্রমিকরা তাদের অধিকার আদায় করতে পারে না। পাশাপাশি যতদিন রাষ্ট্র মালিকশ্রেনীর হাতে থাকবে ততদিন শ্রমিকদের দুর্দশা কাটবে না। ফলে শ্রমজীবী মানুষকে ন্যায্য জাতীয় মজুরী, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার, পেশাগত নিরাপত্তার দাবিতে সংগ্রাম জোরদার করতে হবে। তিনি সমাজ পরিবর্তনের লক্ষে রাজনীতি সচেতন বিপ্লবী ধারার শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবার জানান।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে পলাশ কান্তি নাগ কে আহবায়ক করে ২১সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন রংপুর জেলা কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির সদস্যরা হলেন শহিদুল ইসলাম সুমন, লুৎফর রহমান লুতু, সুভাষ রায়, আব্দুল মালেক, সুমন সিং, সবুজ রায়, আতোয়ার রহমান বাবু, আমিনুল ইসলাম, সুমন রায়, মানিক চন্দ্র দাস, আলী হোসেন, শরৎ বাসফোর, মোস্তাক আহমেদ মন্টু, মিলন দেবনাথ, অশোক রায়, রফিকুল ইসলাম চপল, শফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু মিয়া, সুবল রায়।