বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী আজ এক বিবৃতিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও হবিগঞ্জের মাধবপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বসতবাড়িতে সাম্প্রদায়িক হামলা-ভাংচুর-লুটপাট-মারধর করার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, জনৈক হিন্দু যুবক কর্তৃক ফেসবুকে কথিত ইসলাম অবমাননার অভিযোগকে অজুহাত করে নাসিরনগরে গণহারে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরপরাধ জনসাধারণের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। অথচ, কোন ব্যক্তির অপরাধে তার সম্প্রদায়কে আক্রমণ করা আইন, যুক্তি ও মানবিক কোন দৃষ্টিভঙ্গিতেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিদায় হজ্জের ভাষণে ইসলামের নবীও একের অপরাধে অন্যকে শাস্তি দিতে নিষেধ করেছেন। এক্ষেত্রে অভিযুক্তকে হামলার আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তিনি বলেছেন তাঁর অজান্তে কেউ তার ফেসবুকে আপত্তিকর ওই ছবি জুড়ে দিয়েছে, জানার পর তিনি মুছে ফেলেছেন ও মুসলিম প্রতিবেশীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। এরপরও এই সংঘবদ্ধ আক্রমণ থেকে ধারণা করা যায়, ধর্মব্যবসায়ী ও কায়েমী স্বার্থবাদীদের পরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক উস্কানি এবং সরকারী নিস্ক্রিয়তার ফলে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী আরো বলেন, দুইদিন ধরে উত্তেজনা তৈরি করা হলেও প্রশাসন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা রক্ষায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়নি। ঘটনার পরেও হোতাদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তারসহ কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। মহাজোট সরকারের আমলেই রামুসহ বিভিন্নস্থানে সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার হয়নি। ফলে, অপরাধীরা প্রশ্রয় পেয়েছে ও উৎসাহিত হয়েছে। এমতাবস্থায়, জনসাধারণকে সচেতন করে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে দাঁড়ানো এবং সংখ্যালঘু নিপীড়নের বিচার করতে সরকারকে বাধ্য করার জন্য প্রতিবাদে সোচ্চার হতে সকল বাম শক্তি ও অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক চেতনাসম্পন্ন মানুষের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।