Saturday, December 28, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি ও সংগঠন সংবাদরেলভাড়া বৃদ্ধির অপতৎপরতা, বেসরকারিকরণ ও লুটপাট বন্ধের দাবি

রেলভাড়া বৃদ্ধির অপতৎপরতা, বেসরকারিকরণ ও লুটপাট বন্ধের দাবি

Against Rail fair_Dhaka
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল(মার্কসবাদী)’র উদ্যোগে ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ বিকেল সাড়ে ৪ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রেলভাড়া বৃদ্ধির পরিকল্পনা, বেসরকারিকরণ ও দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধ করে যাত্রীসেবার মানোন্নয়ন এবং সাধারণ মানুষের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হিসেবে রেলকে গড়ে তোলার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বর্ধিত ফোরামের সদস্য কমরেড আ ক ম জহিরুল ইসলাম। সমাবেশ পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড ফখরুদ্দিন কবির আতিক। 
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, “বাংলাদেশ রেলওয়ে নামক গণপরিবহন প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপক চাহিদা ও সম্ভাবনা থাকলেও এক সময়ের লাভজনক খাত রেল স্বাধীনতা পরবর্তি দীর্ঘ ৪৩ বছরে সংকুচিত হয়েছে এবং ব্যাপক দূর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে লোকসানী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। রেলওয়ে কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নয়। পৃথিবীর অনেক দেশে ভূর্তকি দিয়ে রেলের মত জনগুরুত্বপূর্ণ সেবামূলক খাত পরিচালিত হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে সেরকম একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। জনগণের করের টাকায় এই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। এই গণপরিবহন খাতটি নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব, সস্তা, আরামদায়ক ও জ্বালানি সাশ্রয়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তাই বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে সব সময় দাবি উঠেছে বাংলাদেশ রেলওয়ের বিস্তৃতি ও আধুনিকায়ন প্রয়োজন।”
বক্তারা আরো বলেন, রেলের এই দুর্দশা ও লোকসান কৃত্রিম। গত ৪৫ বছরে ক্ষমতাসীন দলগুলোর সদিচ্ছার অভাব, দুর্নীতি-লুটপাট, বেসরকারিকরণ নীতিই এর জন্য দায়ী। সরকার সম্প্রতি ২০ বছর মেয়াদী একটি মাস্টারপ্লান প্রণয়ন করেছে। এই মাস্টারপ্লান বাস্তবায়নে বড় অংকের ঋণ দেবে এডিবি। ঋণের শর্ত হলো প্রতিবছর রেলের ভাড়া বাড়ানো, রেলকে বাণিজ্যমুখি করা ইত্যাদি। অথচ রেলের উন্নয়নে দাতাসংস্থার কাছে হাত পাতার দরকার নেই, যাত্রীভাড়া বৃদ্ধিরও প্রয়োজন নেই। বিভিন্ন মন্ত্রাণালয় ও সংস্থার কাছে রেলের বকেয়া পাওনা ১২,৬১০ কোটি টাকা। রেলের ১২,১০০ একর জমি অবৈধ দখলদারদের হাতে। এ বকেয়া পাওনা ও দখলকৃত জমি উদ্ধার করে রেলের উন্নয়নে ব্যয় করা যায়। তাহলে পাঁচ কোটি যাত্রীর ভাড়া বাড়ানোর প্রয়োজন হতো না। কিন্তু সরকার দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা জিইয়ে রেখে তার দায় জনগণের উপর চাপিয়ে দিতে চায়।
নেতৃবৃন্দ সরকারকে রেলের ভাড়া বৃদ্ধির ন্যক্কারজনক পরিকল্পনা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান এবং দেশের সকল সচেতন মানুষদের এই হীন পরিকল্পনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জনান। 
RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments