অপসংস্কৃতি, যাত্রার নামে অশ্লীলতা, মাদক-জুয়া, পর্ণোপত্রিকা, পর্ণোওয়েবসাইট এবং নারী-শিশু নির্যাতন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে গতকাল ০৯ ডিসেম্বর, বুধবার বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র রংপুর জেলা শাখার উদ্যোগে পায়রাচত্বরে নারী সমাবেশ এবং জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রি বরাবর স্বাক্ষরসহ স্মারকলিপি পেশ করা হয়। সমাবেশের পূর্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। নারীমুক্তি কেন্দ্র রংপুর জেলা শাখার সভাপতি প্রভাষক আরশেদা খানম লিজুর সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মর্জিনা খাতুন, বাসদ (মার্কসবাদী) রংপুর জেলা শাখার সমন্বয়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলু, কামরুন্নাহার খানম শিখা প্রমুখ। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ডা. ইয়াসমিন আক্তার টুম্পা।
কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী বলেন, গ্রামে-গঞ্জে যাত্রার নামে অশ্লীল নৃত্য, শহরের পাড়ায় পাড়ায় ইন্টারনেটে মোবাইলে পর্ণোগ্রাফি এবং মাদকের ভয়ংকর প্রসার ঘটেছে। যা স্কুলগামী কিশোর তরুনসহ গোটা যুব সমাজের নৈতিক চরিত্রের অবনমন ঘটাচ্ছে। এর ফলাফল স্বরূপ বাড়ছে নারী-শিশু নির্যাতন ও খুন ধর্ষণ। এসব প্রতিরোধে সর্বাত্বক গণসংগ্রাম-গনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
নারীমুক্তি কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মর্জিনা খাতুন বলেন, সরকার মুখে নারী অধিকারের কথা বলে কিন্তু শত শত নারী নির্যাতন-ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও কোন বিচার হচ্ছে না। প্রভাবশালী অপরাধীরা বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে পার পেয়ে যাচ্ছে। মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ বছর থেকে কমিয়ে ১৬ বছর করার ষড়যন্ত্র নারীর প্রতি মধ্যযুগীয় অবমাননাকেই উস্কে দেয়ার শামিল।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, অপরাধীকে শুধু শাস্তি দিয়েই অপরাধ বন্ধ করা যাবে না, অপরাধের উৎস মাদক-জুয়া, ইন্টারনেটে পর্ণোসাইট, যাত্রার নামে অশ্লীলতা বন্ধ করতে হবে। এসব বন্ধে যেমন সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে তেমনি পাড়ায় মহল্লায় সর্বস্তরে গণআন্দোলন, গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।