Monday, May 6, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি সংবাদশহীদ জননী জাহানারা ইমামের মৃত্যুবার্ষিকীতে নারীমুক্তি কেন্দ্রের পুষ্পমাল্য অর্পণ

শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মৃত্যুবার্ষিকীতে নারীমুক্তি কেন্দ্রের পুষ্পমাল্য অর্পণ

Jahanara_Imam_1993আজ ২৬ জুন শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের উদ্যোগে সকাল সাড়ে ৮ টায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মৃতিসৌধে তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়।

পুষ্পস্তবক অর্পণকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সভাপতি সীমা দত্ত, ঢাকা নগর কমিটির সদস্য সুষ্মিতা রায় প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ বলেন, জাহানারা ইমাম যে সামাজিক পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন সে পরিবেশ ধর্মীয় কূপমন্ডুকতা, কুসংস্কার নারীর এগিয়ে যাবার পথে একটি বড় বাধা ছিল। তারপরও অত্যন্ত আধুনিক মনের অধিকারী বাবাও তার বন্ধু, শিক্ষকের সহযোগিতায় তিনি নিজের চরিত্র গড়ে তুলেছেন। তাঁর এই চারিত্রিক দৃঢ়তা আমরা দেখতে পাই ৭১’র মুক্তিযুদ্ধে সন্তানকে নিজের হাতে সাজিয়ে যুদ্ধে পাঠানো এবং নিজে যুদ্ধকালীর সময়ে বিভিন্নভাবে মুক্তিযোদ্ধদের সহযোগিতা করার মধ্য দিয়ে। ৯২’এ যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে গণআন্দোলন সংগঠিত করার মাধ্যমে। দূরারোগ্য ক্যান্সার এই আন্দোলনের মাঝপথে তাঁর জীবন কেড়ে নিলেও জনগণের উদ্দেশ্যে তাঁর শেষ আহ্বান “ জনগণই সকল শক্তির উৎস। তাই একাত্তরের ঘাতক ও যুদ্ধাপরাধী বিরোধী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালার নির্মূল সমন্বয় আন্দোলনের দায়িত্বভার আমি আপনাদের বাংলাদেশের জনগণের হাতে অর্পণ করলাম। জয় আমাদের হবেই”।

আজ দেশে শুধু মৌলবাদী সন্ত্রাস নয়, শাসকগোষ্ঠীর একচ্ছত্র সন্ত্রাসী কার্যক্রম, গুম-খুন মানুষের মনে চরম আতংক সৃষ্টি করেছে। সারাদেশে নারী ও শিশু লাঞ্ছনার ঘটনার পাশাপাশি অপরাধীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়ার যে পরিবেশ তৈরী হয়েছে তা থেকে রক্ষা পেতে হলে আমাদের শহীদ জননী জাহানারা ইমামের সংগ্রামী জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments