Monday, December 23, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি ও সংগঠন সংবাদশহীদ বুদ্ধিজীবীদের অপূরিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব ছাত্রসমাজের ওপর

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অপূরিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব ছাত্রসমাজের ওপর

প্রেস বিজ্ঞপ্তি/ ১৪-১২-২০১৩
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে আজ মহান শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে টিএসসি শহীদ মুনীর চৌধুরী কনফারেন্স রুমে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বুদ্ধিজীবীর দায়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আলোচকবৃন্দ বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা যে শোষণমুক্ত স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশের স্বপ্ন তুলে ধরেছিলেন, যে কারণে পাকবাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদরা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল, সেই শোষণমুক্ত গণতান্ত্রিক দেশ ও সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব আজ এদেশের ছাত্রসমাজের ওপর অর্পিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, ঢাবি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানজিম উদ্দীন খান এবং সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক স্নেহাদ্রি চক্রবর্তী রিন্টু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রাশেদ শাহরিয়ার এবং পরিচালনা করেন ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি ইভা মজুমদার। অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।

এছাড়া ক্যাম্পাসে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আলোকচিত্র, উদ্বৃতি, মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র, বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের চিত্র প্রদর্শনী করা হয়।

আলোচকবৃন্দ বলেন, এটা সবারই জানা যে পাকিস্তান গঠিত হয়েছিল সাম্প্রদায়িক চিন্তার ভিত্তিতে। এবং বাংলাদেশ বা পূর্ব বাংলা বাস্তবে পশ্চিম পাকিস্তানের প্রায়-ঔপনিবেশিক শোষণের শিকারে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু এই সত্যটি এখানকার বামপন্থী দলগুলো তুলে ধরে জনগণের শোষণমুক্তি এবং স্বাধীনতার সংগ্রাম এগিয়ে নিতে পারেননি। রাজনীতির অঙ্গনে মওলানা ভাসানী প্রায় নিঃসঙ্গভাবে স্বাধীনতা ও শোষণমুক্তির কথা বলেছেন। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সেদিনের ভূমিকা ছিল অগ্রসর। তাঁরা তাঁদের লেখনীতে, আলোচনায়, সাহিত্যে একটি শোষণমুক্ত স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশের স্বপ্নকে তুলে ধরেছিলেন।
কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী বলেন, এত রক্ত এত আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতা ৪২ বছর পর মানুষকে কি দিয়েছে? আরো বেশি শোষণ, আরো বেশি অভাব, আরো বেশি অপমানিত জীবন। কেন এমন হল? কারণ পুঁজিবাদী শোষণমূলক ব্যবস্থা আজকের দিনে আর মানুষকে মুক্তি দিতে পারে না। গণতান্ত্রিক শাসন, স্যেকুলার শাসন ও জীবন উপহার দিতে পারে না। তিনি সমাজতন্ত্র ও শোষণমুক্ত গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এগিয়ে আসার জন্য ছাত্রসমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments