Saturday, November 23, 2024
Homeসাম্যবাদসাম্যবাদ - জানুয়ারি ২০১৫শিশুদের রক্তস্নানে তালেবান এ কোন ধর্ম চায়?

শিশুদের রক্তস্নানে তালেবান এ কোন ধর্ম চায়?

SKM_Dhaka--Taliban“আমার শরীর কাপঁছিল। আমার দিকে কালো বুট এগিয়ে আসার সেই দৃশ্য কখনোই ভুলতে পারব না। মনে হলো যেন মৃত্যুই আমার দিকে এগিয়ে আসছে।” দুই পায়ে গুলির চিহ্ন আর স্কুল ঘরের মেঝেতে রক্তের স্রোতে, সারি সারি মৃতদেহ – কত পরিচিত মুখ, একটু আগেও একসাথে মাঠে খেলেছে। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে স্মৃতিচারণ করছিল পেশোয়ারের আর্মি পাবলিক স্কুলে জঙ্গি হামলার ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ১৬ বছরের কিশোর বালক। সমস্ত কৌতূহল আর জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে ক্লাসে শিক্ষকের দিকে তাকিয়ে থাকত যে বালক, এতটুকু বয়সে জীবনের এই নিদারুণ অভিজ্ঞতা তার মনে বড় এক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে – কী অপরাধ ছিল তার বন্ধুদের? কেন বুলেটের আঘাতে অকালে ঝরে গেল এতগুলো প্রাণ? কোনও মানুষ কি পারে এতটা নৃশংস হতে? এ জিজ্ঞাসার উত্তর কে দেবে? মানুষ কেন এত প্রতিহিংসাপরায়ণ? ফুলের মতো নিষ্কলুষ যে শিশুরা, পৃথিবীর হানাহানি-রক্তপাত যাদের এখনও স্পর্শ করে নি সেই শিশুদের প্রাণ নিতে কসুর করে না, একটিবার বুকের ভেতরটা কেপেঁ ওঠে না – এই কি মনুষ্যত্বের লক্ষণ?

মহান সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, মানুষের মৃত্যুতে আমি তেমন কষ্ট পাই না, কষ্ট পাই মনুষ্যত্বের মরণ দেখলে। বাস্তব এটাই – কোনও ব্যক্তির মধ্যে ন্যূনতম মনুষ্যত্ববোধ থাকলে এরকম হত্যাকাণ্ড কেউ করতে পারে? অথচ ধর্মের নামে এই তালেবান আজ তাই করছে। আমরা জানি সমাজ বিকাশের ধারায় ইতিহাসে ধর্ম একদিন ন্যায়-নীতি-মূল্যবোধের ধারণা এনেছিল, জাতিতে-জাতিতে হানাহানি বন্ধ করে ইসলাম ধর্ম শান্তির বাণী প্রচার করেছিল, নারীকে সম্মান দিয়েছিল – সেই যুগের মানদণ্ড অনুযায়ী। তাই যারা সে দিন এ আদর্শকে লালন করেছে, ধারণ করেছে, তাদের মধ্যে একটা মূল্যবোধ সঞ্চারিত হয়েছিল। এ হচ্ছে একটা বিশ্বাসের মূল্যবোধ, যুক্তির নয়, সত্যের নয়। তাই সেই ধর্মই আজ পরিবর্তিত সমাজের, মানুষের জীবনের নূতন দাবিকে স্বীকৃতি দিতে পারছে না বলে সভ্যতার সর্বোৎকৃষ্ট সম্পদ মনুষ্যত্বের চরম বিনাশ ডেকে আনছে। একদিন শান্তি প্রতিষ্ঠা চেয়েছিল আর আজ হরণ করছে, একদিন মানুষকে নূতন জীবনের স্বপ্ন দেখিয়েছিল আর আজ জীবন নাশ করছে। গত ১৬ ডিসেম্বর পেশোয়ারের আর্মি পাবলিক স্কুলে আবারও তেহরিক-ই-তালেবান কর্তৃক সংঘটিত হত্যাকাণ্ডই তার প্রমাণ। ঘটনার পরপরই এই সংগঠনের মুখপাত্র মুহাম্মদ খোরাসানি হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে বক্তব্যে বলেছেন যে, এ হামলা হচ্ছে প্রতিশোধ। গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে সেনাবাহিনী কর্তৃক জারব-ই-আজাব নামে জঙ্গিবিরোধী সেনা অভিযানের প্রতিশোধ নিতেই এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এভাবে ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পিত উপায়ে শিশুদের হত্যার নাম কী ধর্ম? মানুষের মনুষ্যত্বকে মেরে ফেলে, বিবেকের শক্তি হ্রাস করে তাকে পাশবিক করে তোলে – এ কেমন ধর্ম?

এই নিষ্ঠুর মারণযজ্ঞ দেখে গোটা বিশ্বের শান্তিকামী বিবেকবান মানুষ স্তম্ভিত হয়েছে, প্রতিবাদ-ধিক্কার জানিয়েছে। পাকিস্তানের জনগণও বিক্ষুব্ধ। জনরোষের ভয়ে পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ও সেনাবাহিনীরও টনক নড়েছে। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ সর্বদলীয় সভা ডেকেছেন। তাতে প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দল যোগ দিয়েছে। ইতোমধ্যে জনকয়েক জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। সংসদে সংবিধান সংশোধনী পর্যন্ত আনা হয়েছে জঙ্গিদের বিচার ও মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করার জন্য। সামরিক সেনাপ্রধান রাহেল শরিফ আরো তিন হাজার জঙ্গিকে ফাঁসিতে ঝোলানোর অনুরোধ করেছেন, আফগানিস্তানে গিয়েছেন সহযোগিতার জন্যে। বুদ্ধিজীবীসহ বিভিন্ন মহলের সমালোচনা সত্ত্বেও সামরিক আদালত গঠন করছেন। এতে হয়তো কয়েকজন জঙ্গির মৃত্যু নিশ্চিত হবে, কিন্তু জঙ্গিবাদের বিষবৃক্ষের মূলোৎপাটন হবে কি?

কয়েক দশক ধরে পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ বিশ্বের অনেক দেশে এই যে জঙ্গিবাদের উত্থান – তার পেছনের শক্তিটিকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এটা হবে একটা টোটকা চিকিৎসার মতো ব্যাপার। আজকে জঙ্গিদের নির্মূল করার প্রশ্নে পাকিস্তানি রাজনীতিকদের এত লম্ফঝম্ফ কতটা আন্তরিক তা সময়ই বলে দেবে। তবে বছরের পর বছর ধরে এইসব দল, এই সব রাজনীতিকদের অনেকেই ক্ষমতার মসনদ পাকা করার প্রয়োজনে তালেবানদের সাথে আপোষরফা করে চলেছে, অনেকের সাথে যোগাযোগ আছে। অভিযোগ আছে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দাসংস্থা আইএসআইয়েরও একাংশ এই উগ্র মৌলবাদী সংগঠনটির সাথে যোগাযোগ আছে – এটা আজ আর কারও অজানা নয়। জঙ্গিদের শায়েস্তা করতে পেশোয়ার হত্যাকাণ্ডের পর আমেরিকা আবারও ১০০ কোটি মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছে। অথচ গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা হাজার হাজার কোটি ডলার খরচ করেছে, এবং করছে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার কথা বলে, ইরাকে আফগানিস্তানে দু’টি যুদ্ধও সংঘটিত করেছে – কিন্তু সন্ত্রাস নির্মূল হয়েছে কি?

গোটা বিশ্বের মানুষ আজ জানে, এই আমেরিকাই একদিন আফগানিস্তানে দখলদার সোভিয়েত রাশিয়াকে হঠিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য অস্ত্র ও আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে আল-কায়েদাকে তৈরি করেছিল, ১৯৯৬ সালে তৎকালীন আফগান প্রেসিডেন্ট বোরহান উদ্দিন রাব্বানিকে পদচ্যুত করে তালেবানদের ক্ষমতায় আসতে সহযোগিতা করেছিল। মার্কিন সাংবাদিক ওয়াইনি ম্যাডসেন আল-কায়েদা সম্পর্কে প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, “আল-কায়েদা হচ্ছে সিআইএ ও মোসাদ-এর বানানো এক রূপকথার নাম।” বাস্তবে একদিকে অস্ত্র ব্যবসা, অন্যদিকে ওই সব দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়কে প্রভাবিত করে সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থ চরিতার্থ করার প্রয়োজনেই এই সব কায়েমী গোষ্ঠীগুলো গড়ে তোলা হয়েছে। আফগানিস্তানে এর উদ্দেশ্য ছিল ট্রান্স আফগান পাইপলাইনের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করা। কিন্তু পরবর্তীতে তালেবানদের সাথে বিরোধের ফলে আল-কায়েদাকে দিয়ে টুইন টাওয়ার হামলা করিয়ে ‘সন্ত্রাসবাদ’, ‘জঙ্গিবাদ’ বিশ্বের নিরাপত্তার জন্য হুমকি এই ধুয়া তুলে আফগানিস্তানে হামলা করে। ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যে বিপুল তেল সম্পদ তার ওপর দীর্ঘদিন থেকেই সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার লোলুপ দৃষ্টি ছিল। গোটা বিশ্ব আজ জানে, কিভাবে মানব বিধ্বংসী অস্ত্র মজুত রাখার অজুহাতে ইরাকে কী রকম ধ্বংসলীলা চালানো হয়েছে। বর্তমানেও শিয়া ও সুন্নি সম্প্রদায়ের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে বিরোধ বাঁধিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছে অর্থাৎ ওই দেশের তেল সম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে চাইছে। আবার যাদেরকে একসময় অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে তৈরি করেছে, স্বার্থকেন্দ্রিক বিরোধের ফলে তারাই এখন আমেরিকার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরছে, আইএস নাম ধারণ করে ইরাকের একটা অংশসহ মধ্যপ্রাচ্যে খেলাফত প্রতিষ্ঠার ডাক দিয়েছে। আইএস-কে এখন আবার বিশ্বের শান্তি প্রতিষ্ঠার হুমকি হিসেবে দেখিয়ে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ইরাকে নতুন করে যুদ্ধ শুরু করেছে, সিরিয়ায় থেকে থেকে যুদ্ধ শুরু করার চেষ্টা করছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক ফ্রিল্যান্স লেখক মাইক হুইটনির মতে, “জর্জ ডব্লিউ বুশের মতো মার্কিনিদের বিভ্রান্ত করতে যাচ্ছেন ওবামা। তিনি আইএস জঙ্গিদের দমনের কথা বলছেন। কিন্তু তাঁর মূল উদ্দেশ্য মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধের পক্ষে সমর্থন আদায়। অঞ্চলটিতে নৈরাজ্য সৃষ্টি, বিদ্যমান সীমান্ত নিশ্চিহ্ন করা ও ক্রীড়নক সরকার বসাতে ওবামা প্রশাসন তৎপর। … আরেকটি রক্তক্ষয়ী আগ্রাসনের পথ সুগম করতেই মূলত পশ্চিমা গোয়েন্দাসংস্থাগুলো ও পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে তাদের সহযোগীরা আইএস-কে সৃষ্টি করেছে।” আরেকজন আমেরিকান রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্যাট্রিক মার্টিন বলেছেন, “আইএস হল মধ্য এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী হস্তক্ষেপের অজুহাত।” (সূত্র : প্রথম আলো, ২৪ সেপ্টেম্বর ’১৪)

সাম্রাজ্যবাদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যেই দেশে দেশে আমেরিকা এই সব বাহিনী তথা আইএস, আল-কায়েদা, তালেবানদের তৈরি করে। আফগানিস্তানে তালেবানরা ক্ষমতায় আসার পর কঠোর শরীয়াহ-ভিত্তিক শাসনের সূচনা করে। নারীদের চাকুরি, পড়ালেখা নিষিদ্ধ হয়ে যায়। টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর আল-কায়েদা তথা সন্ত্রাস দমনের নামে ২০০২ সালে আফগানিস্তানে যুদ্ধ ঘোষণা করে। একমাসের অভিযানে তালেবান নেতা মোল্লা ওমরকে ক্ষমতাচ্যুত হয়। ধারণা করা হয়, যুদ্ধে অংশ নেয়া উপজাতীয় নেতারা ফিরে এসে সীমান্তবর্তী ওয়াজিরিস্তানে কার্যক্রম শুরু করে। এই সময় খাইবার পাখতুনওয়ায় তারা সংগঠিত হয় এবং নিজেদের শক্তি সঞ্চয় করে। শোষণ-বৈষম্যকে কেন্দ্র করে স্থানীয় অধিবাসীদের দীর্ঘদিন ধরে যে ক্ষোভ ছিল – সেই ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে ওই অঞ্চলে সংগঠন গড়ে তোলে। এরাই পরবর্তীতে পাকিস্তানি তালেবান নামে পরিচিত হয়। তবে এদের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটে ২০০৭ সালে তেহরিক-ই-তালেবান (টিটিপি) নামে, বায়তুল্লাহ মেহসুদের নেতৃত্বে। ওয়াজিরিস্তানই হয় টিটিপির প্রধান ঘাঁটি। অভিযোগ আছে, এ সময় তারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি অংশের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করে। আত্মপ্রকাশের পর থেকেই তারা একের পর এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে চলছে এবং আত্মম্ভরিতার সাথে দায় স্বীকার করছে। ২০০৮ সালে ইসলামাবাদের ম্যারিয়ট হোটেলে হামলা, ২০০৯ সালে পেশোয়ারের পার্ল কন্টিনেন্টাল হোটেলে হামলা, ২০১২ সালে সোয়াত উপত্যকায় নারী শিক্ষার পক্ষে প্রচারণা চালানোয় মালালা ইউসুফ জাইয়ের মাথায় গুলি, ২০১৩ সালে সেপ্টেম্বরে পেশোয়ারে ‘অল সেইন্ট চার্চে’ আত্মঘাতী হামলায় ১২০ জনকে হত্যা করে। সর্বশেষ এই পেশোয়ারেই ১৩২ জন শিশুসহ ১৪২ জনকে নৃশংসভাবে খুন করল। যাই করছে, তা ধর্মের নাম করে। ধমর্ীয় বিশ্বাসের অন্ধতা ও মিলিট্যান্ট ফোর্স, দুই মিলে এই মৌলবাদী সংগঠনটি হয়ে উঠেছে নৃশংসতম। যার পরিণামে সাধারণ জনগণকে চরম মূল্য দিতে হচ্ছে।

মানবতার শত্রু এই মৌলবাদকে তবু চেনা যায়, কিন্তু এর পেছনে যারা আছে, যারা এদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, যাদের সাহায্য-সহযোগিতায় এরা পরিপুষ্ট হয়, বেড়ে ওঠে – তাদেরকে চেনা দুষ্কর। ধুরন্ধর এই রাজনীতিকেরা শোষণমূলক সমাজব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে অভাব-দারিদ্র-বঞ্চনার কারণ যে পুঁজিবাদী আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা, তাকে যেন চিনতে না পারে, অদৃষ্টকে দোষারোপ করতে শেখে সেই চিন্তার প্রসার চায়। সমাজে যুক্তির বদলে অন্ধ বিশ্বাসের শক্তি, পশ্চাদপদ ধ্যান-ধারণা, ফ্যাসিবাদী মনন তৈরির উপযোগী সংস্কৃতি সমাজ অভ্যন্তরে তৈরি করতে চায় – সেই জন্য উগ্র মৌলবাদী সংগঠনগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়। আমাদের দেশেও স্বাধীনতার অব্যবহিত পর থেকে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের সংকীর্ণ স্বার্থে প্রতিক্রিয়াশীল জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মীয় সংগঠনগুলোকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে এসেছে এবং দিচ্ছে। বদ্ধ বিশ্বাস, কুসংস্কার আর গোঁড়ামিপূর্ণ মাদ্রাসা শিক্ষা প্রসারে ভূমিকা রাখছে। ফলে সমাজ অভ্যন্তরে অদৃষ্টবাদী চিন্তার প্রভাব বাড়ছে। মৌলবাদী সংগঠনগুলোও পরিপুষ্ট হচ্ছে। শাসকশ্রেণী তাদের স্বার্থেই এসব কাজ করছে। তাই যারা প্রগতির পথে বিশ্বাস করেন, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন – সভ্যতাবিরোধী এই প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিকে রুখবার প্রয়োজনে তাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণসংগ্রাম গড়ে তোলা জরুরি।

সাম্যবাদ জানুয়ারি ২০১৫

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments