সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট নোয়াখালী জেলা শাখার উদ্যোগে সরকারি ক্রয়কেন্দ্র স্থাপনসহ বিভিন্ন দাবিতে বৃহষ্পতিবার ৪ মে ২০১৫ সকাল সাড়ে ১০ টায় নোয়াখালী টাউন হল চত্বরে সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি তারকেশ্বর দেবনাথ নান্টুর সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কমরেড মানস নন্দী, কৃষক ফ্রন্ট নোয়াখালী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দলিলের রহমান দুলাল, সুবর্ণচর উপজেলা শাখার আহবায়ক আবুল খায়ের, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জেলা শাখা আহবায়ক বিটুল তালুকদার প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের প্রায় ৭০ভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করে। অথচ কৃষিভিত্তিক এদেশের কৃষকরা বার বার ফসলের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে জমি হারিয়ে সর্বহারায় পরিনত হচ্ছে। একমণ ধান উৎপাদন করতে সরকারি হিসাবে ৮০০ টাকা খরচ হয়। বড় বড় হাটবাজারে সরকারি ক্রয়কেন্দ্র না থাকায় এবং সরকারি গাফিলতির কারনে প্রতিমণ ধান ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। ভূমিহীন, ক্ষেতমজুরেরা গ্রামে কাজের নিশ্চয়তা না পেয়ে শহরের দিকে ছুটছে, বস্তিবাসী হচ্ছে, জীবিকার প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবৈধভাবে বিদেশে পাড়ি দিতে গিয়ে সমুদ্রে জীবন দিচ্ছে। ক্ষেত মজুরদের বছরে ৩ মাস কাজ থাকে, প্রায় ৯ মাস কাজ থাকে না। তাই গরিব কৃষক, ক্ষেতমজুর ও ভূমিহীনদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্প চালু করা, হাটে হাটে ক্রয়কেন্দ্র চালু করা, খাসজমি ভূমিহীনদের বন্দোবস্ত দেয়ার দাবি জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, জনগণের জীবন জীবিকার নিরাপত্তা নেই, মানবপাচার, নারী নির্যাতন নিত্য দিনের স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। যখন কৃষকের হাতে ফসল থাকে তখন পর্যাপ্ত কোল্ডস্টোরের অভাবে এবং দেনা পরিশোধের জন্য সস্তায় ফসল বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। অন্যদিকে পড়িয়া সিন্ডিকেটদের কাছে ফসল যাওয়ার পর আবার কৃষকদেরকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। বক্তারা প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষিখাতে উন্নয়ন বাজেটের ৪০ভাগ বরাদ্দ, রমজানে দ্রব্যমূল্য উদ্ধগতি বন্ধ করা, জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা, মানবপাচার ও নারী পাচার বন্ধের জন্য সরকারের কাছে আহবান জানান।