Tuesday, December 24, 2024
Homeফিচারসরকারি হাসপাতালে কোভিড ওয়ার্ডে বেড ও  আইসিইউ বেডের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি

সরকারি হাসপাতালে কোভিড ওয়ার্ডে বেড ও  আইসিইউ বেডের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি

সরকারি হাসপাতালে কোভিড ওয়ার্ডে বেড ও আইসিইউ বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার, ট্রলি, হুইল চেয়ার সরবরাহ ও জনবল বৃদ্ধির দাবিতে গত ১০ এপ্রিল ২০২১ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনে বাসদ (মার্কসবাদী) ঢাকা নগর শাখার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পার্টি ঢাকা নগরের ইনচার্জ নাঈমা খালেদ মনিকার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নগর কমিটির সদস্য মাসুদ রানা। সমাবেশ পরিচালনা করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা নগর শাখার সভাপতি রাফিকুজ্জামান ফরিদ।

বক্তারা বলেন, “দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। অথচ বাড়েনি জনগণের প্রয়োজন অনুযায়ী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার আয়োজন। সারা দেশে কোভিড ডেডিকেটেড বেডের সংখ্যা সরকারি বেসরকারি মিলে ৩৪৩৯ টি। প্রথম আলোয় প্রকাশিত তথ্যমতে গত একমাসে কোভিড সনাক্ত হয়েছে ১ লক্ষ ৮ হাজার ১০৩ টি। এ হিসেবে পরিস্থিতিতে ৩১.৪ জনের বিপরীতে একটি বেড বরাদ্দ আছে। পূর্বের পরিসংখ্যান মতে ডঐঙ বলে সংক্রমিত রোগীর মধ্যে ২০% রোগীর আইসিইউ সাপোর্ট লাগে। এর মধ্যে ১৫% এর লক্ষণ খারাপ এবং ৫% ক্রিটিকেল পরিস্থিতিতে পরে। সে হিসেবে আমাদের দেশে আইসিইউ থাকা প্রয়োজন ২০ হাজার বেডের অধিক। অথচ আমরা দেখছি এ সংখ্যক কোভিড ডেডিকেটেড বেডও নেই। ঢাকায় সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ বেড ৩২২ ও ঢাকার বাইরে সারা দেশে ১১০ টি। বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা সাধারণ জনগণের নাগালের বাইরে। বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউ বেড মানে একটা ব্যবসা। এও ঠিক আইসিইউ পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত ডাক্তার-নার্স ও সাপোর্টিং স্টাফদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি। তাই করোনার প্রথম ঢেউয়ে মৃত্যুর মিছিলে অনেক ডাক্তার ও নার্সরাও আছেন। আমাদের প্রশ্ন, দেশের জনস্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিতে সরকারের পরিকল্পনা কী?

এ বৈশ্বিক মহামারি আমাদের দেশের চিকিৎসার ভঙ্গুর দশা প্রকাশিত করেছে। সবচেয়ে ন্যাক্কারজনক সরকারের মন্ত্রীসহ দায়িত্বশীলদের অবহেলা, দায়িত্বহীনতা ও দুর্নীতি। আমরা এর আগেও দেখেছি যে কোনো সংকটজনক পরিস্থিতিতে জনগণের পকেট কেটে কপদর্ক শূণ্য করে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমুহ। পুরো চিকিৎসা সেক্টরের প্রধান ধারা প্রাইভেট হসপিটাল, ক্লিনিক, ল্যাব-ডায়গনস্টিক সেন্টার ও প্রাইভেট প্র্যাকটিস। জনগণ নিরুপায় না হলে সরকারি হাসপাতালে যায় না। কিন্তু সরকারের বেসরকারিকরণের নীতিতে পাবলিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিকশিত করার পরিকল্পনা নেই, বরাদ্দ অপ্রতুল ফলে মানুষ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যেতে বাধ্য হয়। এই নীতির কারণে জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি পুরোই অবহেলিত। করোনাকালে এটি নগ্নভাবে সামনে এসেছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য খাতে সরকারের বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন। সরকারি হাসপাতালে কোভিড ওয়ার্ডে বেড ও আইসিইউ বেডের এর সংখ্যা ও জনবল বৃদ্ধি এবং হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে পর্যাপ্ত  অক্সিজেন সিলিন্ডার, ট্রলি, হুইল চেয়ার সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি করছি। অবিলম্বে সরকারের এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।”

(উৎস: সাম্যবাদ, এপ্রিল-মে ২০২১)

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments