Saturday, December 28, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি ও সংগঠন সংবাদসুন্দরবন বাংলাদেশকে রক্ষা করে, সুন্দরবন রক্ষা তাই বাংলাদেশের অস্তিত্বের লড়াই

সুন্দরবন বাংলাদেশকে রক্ষা করে, সুন্দরবন রক্ষা তাই বাংলাদেশের অস্তিত্বের লড়াই

সুন্দরবন জনযাত্রা মাগুরা, ঝিনাইদহ হয়ে যশোরের পথে

সুন্দরবন অভিমুখী জনযাত্রা ফরিদপুর থেকে মাগুড়া ও ঝিনাইদহ হয়ে যশোরের পথে চলছে। সুন্দরবন রক্ষায় রামপাল ও ওরিয়ন বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল এবং জাতীয় কমিটি ঘোষিত সাত দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকা সহ সারা দেশ থেকে সুন্দরবন অভিমুখী জনযাত্রার আজ দ্বিতীয় দিন। পথে পথে চলছে জনসংযোগ, প্রচার পত্র বিলি, পরিবেশিত হচ্ছে সুন্দরবন রক্ষার গান।

সুন্দরবন জনযাত্রা আজ বেলা ১১ টায় মাগুড়া শহরে মিছিল সহকারে প্রবেশ করে। মাগুড়া পৌরসভা মোড়ে ওয়াহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও শরীফ তেহরান টুটুলের পরিচালনায় এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ঝিনাইদহে মিছিল সহ সুন্দরবন জনযাত্রা পায়রা চত্ত্বরে উপস্থিত হয় এবং নেহাল উদ্দীন সোহেলের সভাপতিত্বে ও এডভোকেট আসাদ আহমেদের পরিচালনায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, প্রকৌশলী বিডি রহমতুল্লাহ, টিপু বিশ্বাস, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বজলুর রশীদ ফিরোজ, সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকি, মানস নন্দী, কামরুল আহসান, রহমান চৌধুরি,  মোশারফ হোসেন নান্নু, শহীদুল ইসলাম সবুজ, ইয়াসিন মিয়া, শামসুল আলম সহ ছাত্র ও পেশাজীবি নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে আনু মুহাম্মদ বলেন, “অর্থমন্ত্রী নিজেও স্বীকার করেছেন রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু তার বক্তব্য অনুসারে সরকারের হাত পা বাধা, তাই এ প্রকল্প থেকে পেছানো সম্ভব নয়। বাংলাদেশ ও ভারতের মুনাফাখোরদের কাছে হাত পা বাধা সরকারের সিদ্ধান্ত জনগণ মানতে পারে না।”

আনু মুহাম্মদ বলেন, ”রামপাল-ওরিয়ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরী হলে বাংলাদেশের মানুষ যে শুধু সুন্দরবনের অস্তিত্ব বিপন্ন হ্ওয়ার কারণেই ক্ষতিগ্রস্থ হবে তাই না, সেই সাথে উন্নয়ণের নামে এ ধরণের জনবিধ্বংসী ও জাতীয় স্বার্থ বিরোধী আরো বহু প্রকল্পের মাধ্যমে বহু মানুষ উচ্ছেদ হবে, দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হবে, স্বার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। বাংলাদেশকে অস্তিত্ব বিপন্ন করার এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য ও জাগনরণ সৃষ্টির জন্য এই জনযাত্রা।”

ঝিনাইদহ থেকে জনযাত্রা যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। সেখানে জনযাত্রার দ্বিতীয় দিনের জনসভা হবে। যশোরে রাত্রী যাপনের পর শনিবার জনযাত্রার বহর খুলনার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে।

ফরিদপুর থেকে যাত্রার পর পথে পথে সাধারণ মানুষ জনযাত্রায় এসে সংহতি জানান এবং সুন্দরবন রক্ষা আন্দোলনে তাদের সমর্থন ব্যাক্ত করেন।

জনযাত্রার সাথে ১০টি বাস ও ৭টি মাইক্রোবাসের বহর যাচ্ছে। বেশ কয়েকটি পিক-আপ ভ্যান প্রচারণা, লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করছে। বহরের সামনে থাকছে সাংস্কৃতিক কর্মীদের পিক-আপ- তারা পথে পথে গান পরিবেশন করছেন, গানে গানে ছড়িয়ে দিচ্ছেন সুন্দরবন রক্ষার আহবান।

যেসব পয়েন্ট দিয়ে জনযাত্রা যাবে সেসব জেলা সহ সারা দেশে পোষ্টার, লিফলেট, তেল,গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ছাপানো পুস্তিকা মানুষের কাছে পৌছে দেয়ার কাজ চলছে।

জনযাত্রার রোডম্যাপ :
১০ মার্চ: সাভার, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর। ১১ মার্চ: মাগুরা, ঝিনাইদাহ, যশোর। ১২ মার্চ নওয়াপাড়া, দৌলতপুর, খুলনা ও ১৩ মার্চ রপসা, বাগেরহাট, কাটাখালীতে সমাবেশঅনুষ্ঠিতহবে। পথে পথে গান, নাটক, প্রদর্শনী।

বার্তা প্রেরক
কল্লোল মোস্তফা

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments