বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র , কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সীমা দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক মর্জিনা খাতুন এবং ঢাকা নগরের সভাপতি এডভোকেট সুলতানা আক্তার রুবি ও সাধারণ সম্পাদক তাছলিমা নাজনিন সুরভী ১৫ মে ২০১৫ একযুক্ত বিবৃতিতে বলেন, ৫মে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলে প্রথম শ্রেণীর ছাত্রীকে মুখ চেপে ধরে ঐ স্কুলের ক্যান্টিন বয় বা চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং এর দুইদিন পর ৫ম শ্রেণীর শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র এই ধর্ষণ চেষ্টার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছে। একই সাথে সোনরগাঁয়ে চলন্ত বাসে নারী ধর্ষণকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি করছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গত এপ্রিল মাস থেকে দেশে নারী-শিশু নির্যাতন ভয়াবহভাবে বেড়ে চলেছে। অথচ কোনটিরই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ার কারণে একের পর এক নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে যা উদ্বেগজনক। নারী-শিশুসহ সকল মানুষ আজ নিরাপত্তাহীন। তাই অবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাহলে অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যাবে এবং অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বাড়তে থাকবে। এই অবস্থার জন্য সরকারই দায়ী সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও চলন্ত বাসেও নারীরা ঝঁকির মধ্যে আছে। তাই এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সেই আন্দোলনে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ আন্দোলনকে বেগবান করবে।
উল্লেখিত ঘটনার প্রেক্ষিতে আগামী ১৬ মে দুপুর একটায় মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলে অভিভাবকদের সমাবেশে বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট অংশগ্রহণ করবে। উক্ত সমাবেশে গণতন্ত্রমনা মানুষকে অংশগ্রহনের আহবান করছে।