তনু হত্যা, বাঁশখালি হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের হামলা, আহত ৯
আজ ৭ এপ্রিল ২০১৬, বৃহস্পতিবার, বেলা ১২ টায় প্রগতিশীল ছাত্র জোট ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্যের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। ‘শিক্ষা অধিকার চত্ত্বর’ এলাকায় পুলিশ মিছিলে হামলা করে। এসময় পুলিশের হামলায় প্রগতিশীল ছাত্র জোটের মোঃ জোবায়ের, আসিফ রাজ, নাঈম খান, বাপ্পি রাসেলসহ ৯ জন নেতা-কর্মী আহত হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার জনৗ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে শিক্ষা অধিকার চত্ত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রগতিশীল ছাত্র জোট ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্যের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম সোহেল পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং তনু হত্যা, বাঁশখালি হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে ২৫ এপ্রিল সারাদেশে সর্বাত্মক হরতালের ডাক দেন।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি সৈকত মল্লিক, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ইমরান হাবিব রুমন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জিলানী শুভ, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল কবীর, সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্যের সমন্বয়ক ফয়সাল মাহমুদসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, পুলিশ হামলা করে, তনুর হত্যাকারী ও বাঁশখালি হত্যাকাণ্ডের খুনীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। পুলিশের এই জনবিরোধী অবস্থান এটাই প্রমাণ করে সরকার এই রাষ্ট্রকে একটি পুলিশী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। বর্তমান সরকার ধর্ষক-খুনী-লুটেরাদের পক্ষ নিয়ে জনগণের জীবনের নিরাপত্তা দিতে পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।
বক্তারা হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, সরকার যদি আগামী ২৪ এপ্রিলের মধ্যে তনুর হত্যকারীদের এবং বাঁশখালি হত্যাকাণ্ডের খুনীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে না পারে তাহলে শুধু হরতালই নয় ছাত্রসমাজ প্রয়োজনে সরকার বিরোধী আন্দোলন শুরু করবে।