Saturday, April 27, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি সংবাদতিস্তায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ক্ষতিপূরনের দাবিতে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও

তিস্তায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ক্ষতিপূরনের দাবিতে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও

Tista_07042016_2

তিস্তা সেচ প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ক্ষতিপূরনের দাবিতে ৭ এপ্রিল বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও করে। এর পূর্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। ঘেরাও কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন গাইবান্ধা জেলা আহবায়ক কমরেড আহসানুল হাবীব সাঈদ। বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্র্তী, জয়পুরহাট জেলা সমন্বয়ক ওবায়দুল্লাহ মুসা, সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কমরেড মঞ্জুর আলম, জেলা শাখার সমন্বয়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলু, রংপুর জেলা কমিটির সদস্য পলাশ কান্তি নাগ।

Tista_07042016_1বক্তারা বলেন, পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদীর পরেই তিস্তা বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত চতুর্থ বৃহত্তম আর্ন্তজাতিক নদী। এই তিস্তা নদীর সাথে উত্তরাঞ্চলের কৃষি, মৎস্য, নৌ চলাচল ও পরিবেশ ওতপ্রোতভাবে সম্পর্কিত। এক কথায় তিস্তা এ অঞ্চলের মানুষের প্রাণ। কিন্তু সেই তিস্তা আজ মরণদশা। ভারতের জলপাইগুড়িতে তিস্তা নদীর উপর গজলডোবা ব্যারেজের সকল গেইট বন্ধ করে একতরফা পানি প্রত্যাহার করায় উত্তরাঞ্চলের কৃষিখাতে চরম দুর্যোগ নেমে এসেছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব মতে ১৯৯৩ সালে তিস্তা সেচ প্রকল্প ৭,৫০,০০০ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চালু হয়েছিল। আর সেই তিস্তা সেচ প্রকল্প এবার ১০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিলেও বাস্তবে কৃষকেরা সেচ সুবিধা পাচ্ছে না বললেই চলে। এই প্রকল্পের আওতায় যেখানে বিঘা প্রতি সেচ দিতে ১৫০-২০০ টাকা লাগতো, সেখানে তিস্তান পানির না পেয়ে কৃষককে ফসল রক্ষার তাগিদে স্যালো মেশিনের সাহায্যে সেচ দিতে গিয়ে প্রায় ২৫০০-২৭০০ টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। কর্মহীন হয়ে পড়ছে শত শত মৎস্যজীবী ও মাঝিরা। অনেকেই জীবন-জীবিকার তাগিদে পেশা পরিবর্তনে বাধ্য হচ্ছে।
আমাদের শাসকগোষ্ঠীর নতজানু ভুমিকার কারণে তিস্তাা পানি বন্টনে ভারতের সাথে সমস্যার দীর্ঘদিনেও কোনো সমাধান হয়নি। ১৯৮৩ সালের জুলাই মাসে ভারত-বাংলাদেশ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তিস্তার পানির ৩৬ শতাংশ ভারত, বাকী ২৫ শতাংশ নদীর নব্যতা রক্ষার জন্য সংরক্ষিত থাকার কথা থাকলেও ভারতের কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি। ভারতের স্বার্থে সুন্দরবন ধ্বংস করে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ট্রানজিটের নামে করিডোর, সমুদ্রের গ্যাস ব্লক ইজারা চুক্তি কোন কিছুই সম্পন্ন করতে দ্বিধা করেনি। এই পরিস্থিতে তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪টি নদী বাঁচাতে তথা কৃষক-ক্ষেতমজুর ও কৃষি রক্ষা করতে গণ আন্দোলন ছাড়া আর কোন পথ নেই।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments