লালবাগের হালিমা সাদিয়া মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রী ১১ বছর বয়সী সুমাইয়া আক্তার হত্যার বিচার, কর্তৃপক্ষসহ হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার, সঠিক পোস্টমর্টেম ও তদন্ত রিপোর্ট প্রণয়নের দাবীতে আজ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০টায় এলিফ্যান্ট রোডে মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারের সামনে শত শত এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসী এলিফ্যান্ট রোড হতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়। এলাকাবাসী মো. জুলহাস-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নিহত ছাত্রী সুমাইয়ার বাবা মোবারক আলী, মা পেয়ারা বেগম, নারী মুক্তি কেন্দ্র-এর সভাপতি সীমা দত্ত, মহিলা ফোরাম-এর সাধারণ সম্পাদক শম্পা বসু, এলাকাবাসী মনোয়ারা বেগম, লোকমান হোসেন, উচ্চমাধ্যমিক ছাত্র অনীক হাসান শুভ। সমাবেশ পরিচালনা করেন নারী মুক্তি কেন্দ্র-এর সাধারণ সম্পাদক মর্জিনা খাতুন।
সুমাইয়ার বাবা-মা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, সুমাইয়ার মৃত্যুকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে। অথচ তার লাশ আমরা যেভাবে দেখেছি তাতে বাথরুমের কাপড় রাখার হ্যাঙারে ঝুলে কারো পক্ষে গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা সম্ভব নয়। সুমাইয়ার মৃতদেহে মারধোরের চিহ্ন ছিল, মাদ্রাসা কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রতিবেশীদের বর্ণনায় বহু অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। আমাদের ধারণা শিক্ষিকাদের দৈহিক নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে যা ধামাচাপা দেয়ার জন্য আত্মহত্যার কাহিনী তৈরি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষিকারা পলাতক, পুলিশ তাদের কোন জিজ্ঞাসাবাদ ও যথাযথ তদন্ত চালায়নি। পুলিশ আমাদের জানিয়েছে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা এই ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে পুনঃময়নাতদন্ত দাবি করছি এবং পুলিশকে নিরপেক্ষভাবে তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। তদন্তের সুবিধার্থে মাদ্রাসা পরিচালক মোজাম্মেল হক এবং আবাসিক শিক্ষিকা হাজেরা সুলতানা ও সালমা আক্তার-কে গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানাচ্ছি।