তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে রোডমার্চের সমর্থনে ১৫ ফেব্রুয়ারি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কারমইকেল কলেজ শাখার উদ্যোগে বিকেল ৪টায় লালবাগ বাজারে মানববন্ধন-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তিস্তাসহ সকল অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা সেচ প্রকল্পের আওতাধীন সকল জমিতে পানি সরবরাহের দাবিতে বাসদ (মার্কসবাদী) রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের উদ্যোগে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি রংপুর- তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে রোডমার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
আবু রায়হান বকসীর সভাপতিত্বে মানববন্ধন চলাকালীন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী) রংপুর জেলার সমন্বয়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলু, ছাত্র ফ্রন্ট জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আহবায়ক মনোয়ার হোসেন, কারমাইকেল কলেজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হোজায়ফা সাকওয়ান জেলিড।
বক্তারা বলেন, ভারত সরকার আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতি লংঘন করে বাংলাদেশের প্রায় সব কয়টি নদীর উজানে একতরফা পানি প্রত্যাহার করছে। ফলে সেচ মওসুমে তীব্র পানি সংকট, আবার বর্ষা মওসুমে ভয়াবহ বন্যা বাংলাদেশের জন্য নিত্যঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহত্তম নদী তিস্তার উজানে গজলডোবায় বাঁধ দিয়ে শুকনো মওসুমে ভারত কর্তৃক একতরফা পানি প্রত্যাহারের ফলে আমাদের দেশের নীলফামারী, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাটসহ গোটা উত্তরাঞ্চল আজ মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখোমুখী, মরুকরণের ঝুঁকিতে সমগ্র অঞ্চল। তিস্তা সেচ প্রকল্পের আওতাধীন ১ লক্ষ ১১ হাজার ৪৬০ হেক্টর জমির বেশীরভাগই গতবছর সেচ সুবিধা পায়নি, এ বছরও পাবে কিনা সেই আশংকায় দিন কাটাচ্ছে কৃষকরা। এ অবস্থা থেকে বাঁচার একমাত্র পথ তিস্তাসহ অভিন্ন সকল নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়। কিন্তু আমাদের নতজানু শাসকশ্রেণীর প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর জোট এবং মহাজোট কেউই পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে পারেনি। অপর দিকে বিরোধী পক্ষ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস, সহিংসতা, গুপ্ত হামলা অগ্নিসংযোগ ইত্যাদির মাধ্যমে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এদের উপর নির্ভর করে জনজীবনের কোনো সংকট যেমন সমাধান সম্ভব নয়, তেমনি পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করাও সম্ভব নয়। গণআন্দোলনের পথে জনগণের ঐক্যবদ্ধ লড়াই সংগ্রামই পারে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে।
বক্তারা, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবিতে রোডমার্চ কর্মসূচি সফল করার জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।