অবিলম্বে গণধর্ষণকারীদের গ্রেফতার ও বিচার এবং সারাদেশে অব্যাহত নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে ২৫ মে ঢাকায় মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র , সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে এদিন বিকাল সাড়ে ৪টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সভাপতি সীমা দত্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক মর্জিনা খাতুন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. জয়দ্বীপ ভট্টাচার্য, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সংগঠক সুষ্মিতা রায় সুপ্তি। সমাবেশ পরিচালনা করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছাত্রনেতা স্নেহার্দ্রি চক্রবর্ত্তী রিন্টু ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ১৯মে রাতে কুড়িল বিশ্ব রোড এলাকায় একজন নারীকে অস্ত্রের মুখে জোড়পূর্বক চলন্ত মাইক্রোবাসে তুলে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে উত্তরা এলাকার একটি রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় পরে স্থানিয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে। বড় আশ্চর্যেও বিষয় হলো গুলশান থানায় ঐ ভুক্তভোগী মামলা করতে গেলে থানার লোকজন অসহযোগীতা করে। গত শুক্রবার ভুক্তভোগী নারী নিজেই ভাটারা থানায় গণধর্ষণের মামলা করেন। তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানেও নারী নির্যতনের ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত দোষীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। সারাদেশে বর্ষবরণে নারী নির্যতন এর ঘটনা নিয়ে যখন আন্দোলন চলছে তখন পুলিশ নির্যতকদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলে দুস্কৃতিকারীরা বেপরোওয়া ভাবে নারী নির্যতন করছে। নারীর নিরাপত্তা দিতে পুলিশ প্রশাসন তথা সরকার একেবারেই ব্যার্থ। বর্তমান সময়ে নারীর উপর যেভাবে সহিংসতা ও যৌন নির্যাতন বেড়ে চলেছে তাতে দেশবাসী বিশেষ করে নারীসমাজ আতঙ্কের মধ্যে অবস্থান করছে। আশঙ্কার বিষয় নিজ গৃহ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্র, এক কথায় ঘরে-বাইরে সর্বত্রই নারী নিরাপত্তাহীন।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, অবিলম্বে গণধর্ষণকারীদের গ্রেফতার বিচার এবং অশ্লীলত-অপসংস্কৃতি, মাদক জুয়া বন্ধে কার্যকর ব্যাবস্থা নিতে হবে। আর নারীর প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য, বিজ্ঞাপন ও মন্তব্য দেওয়াকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে আইন প্রণয়ণ করার দাবি করেন। এবং দেশের সকল শে্রণী পেশার সচেতন মানুষদের নারী নির্যতনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভাবে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল রাজধানির বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে।