একের পর এক হত্যাকান্ডের দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে
প্রগতিশীল ছাত্র জোটের উদ্যেগে ৯ আগস্ট বেলা সাড়ে ১২ টায় কেন্দ্রীয় ব্লগার নিলয় হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যায় মধুর ক্যান্টিন থেকে মিছিল শুরু হয়ে কলাভবন, বাণিজ্য অনুষদ, অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ হয়ে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী চত্ত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক স্নেহার্দ্রি চক্রবর্ত্তী রিন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম সোহেল ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক জিলানী শুভ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন , একের পর এক হত্যাকান্ডের দায় সরকারকেই নিতে হবে। আমরা এর আগে দেখেছি যদি কেউ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ফেসবুক, ইমেইলে কিছু বললে বা লিখলে তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হয় কিন্তু একের পর এক ব্লগারদের ফেসবুকে, ইমেইলে হত্যার হুমকি দেওয়ার পর প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানালেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়না। গত ৭ আগস্ট শুক্রবার উগ্র সাম্প্রদায়িক জঙ্গী সন্ত্রাসীরা নিজ বাসায় নীলার্দ্রি চট্টোপাধ্যায়কে গলা কেটে হত্যা করে, এই ভাবে একের পর এক হত্যা খুনের ঘটনা ঘটছে কিন্তু সরকার ও প্রসাশন উদাসীন। সন্ত্রাসী-গোষ্ঠিদের গ্রেফতার না করা বা গ্রেফতার করে ছেড়ে দেওয়া এবং অসংখ্য খুনের বিচার না হওয়া ও বিচার প্রক্রিয়াকে ঝুলিয়ে রেখে হত্যাকারীদের বাঁচানোর অপচেষ্টা, অপরাধের পথকে প্রশস্ততর করছে। অতীতে প্রতিটি ব্লগার হত্যার ঘটনা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত এবং হত্যার পর কোন না কোন উগ্র মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠি হত্যার দায় স্বীকার করছে। তাই বর্তমানে বাংলাদেশে জঙ্গী অপতৎপরতা ভয়ানক মাত্রায় রূপ নিয়েছে যা প্রত্যেক প্রগতিশীল ব্যক্তি, সংগঠন ও মুক্ত সাংস্কৃতিক চর্চাসহ সর্বোপরি স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য বড় হুমকি। সারা পৃথিবীর অভিজ্ঞতা হলো এই ধর্মান্ধ-জঙ্গী গোষ্ঠির শক্তি যত বিকশিত হয়েছে সেই রাষ্ট্র ব্যার্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। সরকার সকল ক্ষেত্রে স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ শাসন করছে, শিক্ষা ক্ষেত্রে মাদ্রাসা শিক্ষাকে উৎসাহিত করে জঙ্গী তৎপরতা বৃদ্ধিতে সহযোগীতা করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফ বি আই সংস্থা নিলয় হত্যা তদন্তে আগ্রহ প্রকাশ করেছে কিন্তু এর আগেও তারা তদন্তের জন্য এসে কোন কিছু উদঘাটন করতে পারেনি। এফ বি আই কে তদন্তের অনুমতি দিলে তারা তদন্তের নামে জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি নানা অপতৎপরতায় লিপ্ত হবে ইতোমধ্যে যা অনেক দেশে প্রমাণিত।সরকার হুমায়ুন আজাদ হত্যা, রাজীব হায়দার, অভিজিৎ রায়, অনন্ত বিজয় দাস, ওয়াশিকুর রহমান বাবু সহ কোন হত্যারই রহস্য উদঘাটন ও বিচার করেনি। এ থেকে প্রমাণ হয় সরকার এ সকল হত্যার বিচারে কোন সদিচ্ছা নেই।
নেতৃবৃন্দ, সকল স্তরের নেতা কর্মী সমর্থক শুভানুধ্যায়ী সহ সকল প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ও মুক্তমনা মানুষদের এই নারকীয় হত্যার বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
একই দাবিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের উদ্যোগে মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।