সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের উদ্যোগে ১৪ আগস্ট ২০১৫ শুক্রবার বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ক্ষেতমজুরদের সারা বছর কাজ নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত টিআর-কাবিখা ও বছরে ন্যূনতম ১২০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্প চালু, সরকারি সাহায্য বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধ করা, আর্মি রেটে গ্রামীণ রেশনিং প্রচলন, কৃষি ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সরকারি উদ্যোগে খোদ কৃষকের কাছ থেকে ফসল ক্রয়-কোল্ডস্টোরেজ-খাদ্যগুদাম নির্মাণ, মাদক-জুয়া-অপসংস্কৃতি ও নারী-শিশু নির্যাতন বন্ধ করাসহ অন্যান্য দাবিতে এ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। কৃষক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী)-র কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, কৃষক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মনজুর আলম মিঠু, কৃষক নেতা আহসানুল হাবীব সাঈদ, হাসিনুর রহমান প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী বলেন, কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের কৃষির সঙ্গে যুক্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ ক্ষেতমজুরদের বছরে ৩ মাস কাজ থাকে, বাকী ৯ মাস কোন কাজ থাকে না। এসময় ক্ষেতমজুররা মানবেতর জীবনযাপন করে। ক্ষেতমজুরদের রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত টিআর-কাবিখা ও বছরে ন্যূনতম ১২০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্প চালু এবং এক্ষেত্রে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, কৃষক বাম্পার ফলন ফলায়, অথচ ফসলের ন্যায্য মূল্য পায় না। এজন্য হাটে হাটে ক্রয়কেন্দ্র খুলে খোদ কৃষকের কাছ থেকে উৎপাদন খরচের সাথে ৩৩% লাভ যুক্ত করে ফসল কিনতে হবে।
অন্যান্য বক্তাগণ বলেন, বহুজাতিক কোম্পানির বীজের ওপর কৃষিকে নির্ভরশীল করা হয়েছে। সার ও বীজে ভেজাল এবং জিএম-টারমিনেটর সীড, আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পসহ অভিন্ন নদীর পানি ভারত কর্তৃক একতরফা প্রত্যাহার কৃষিতে বিপর্যয় নামিয়ে আনবে।
সমাবেশ শেষে একটি মিছিল পল্টন এলাকার রাজপথ প্রদক্ষিণ করে।