উচ্চশিক্ষা ধ্বংসের ইউজিসি’র ২০ বছর মেয়াদী কৌশলপত্র বাতিল, বিশ্ববিদ্যালয় বাণিজ্যিক কোর্স এবং অব্যাহত ফি বন্ধ, অবিলম্বে হল চালু সহ ৯ দফা দাবিকে সামনে রেখে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়। ১৭ আগষ্ট ২০১৫ বিকেল ৫ টায় ক্যাম্পাসের স্বাধীনতার ভাস্কর্য চত্বরে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফ্রন্টের আহবায়ক মনোয়ার হোসেন। বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সমন্বয়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলু, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় প্রগতিশীল ছাত্রজোটের অন্যতম নেতা স্নেহাদ্রি চক্রবর্ত্তী রিন্টু, রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক কাজী রেজোয়ান সরকার, ছাত্র ফ্রন্ট জেলা সভাপতি আহসানুল আরেফিন তিতু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন।
কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্বাবলম্বী ও স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হলে বাণিজ্যিক কোর্স এবং ছাত্রবেতন বাড়ানোর কথা বলছেন। তাহলেই নাকি শিক্ষকদের বেতন বাড়বে। বস্তুত সরকার এর মধ্যদিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে ধ্বংস করতে চায়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সরকারের এ ঘোষণা সঠিক ও সংগতিপূর্ণ নয় বরং শঠতাপূর্ণ ও প্রতারণাপূর্ণ।
বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সমন্বয়ক বলেন, রংপুরবাসীর দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফসল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যেভাবে বাণিজ্যিকীকরণের পসরা চলছে তাতে করে সাধারণ মানুষের সন্তানেরা আগামী দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে না। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের ন্যায় বাণিজ্যিকীকরণের হাত থেকে রক্ষার জন্য রংপুরবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে।
সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, নির্মিত হল, ক্যান্টিন, ক্যাফেটেরিয়া চালু না করা, টিএসসি জিমনেসিয়াম ও স্বতন্ত্র মেডিকেল সেন্টার নির্মাণের উদ্যোগ না নেওয়া, পরিবহন সংকট নিরসনে নতুন বাস ক্রয় না করা সহ নানামূখী সংকটে জর্জরিত আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়। তার উপরে পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় দিনের পর দিন সেশনজট বেড়েই চলছে।
অবিলম্বে সংকট নিরসন না হলে আমাদের সংগঠন অপরাপর প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনকে সাথে নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে দুর্বার আন্দোলন প্রতিরোধ গড়ে তুলব। গড়ে উঠা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের যুক্ত হওয়ার আহবান জানান।