গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ৩১ আগস্ট সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় বাসদ (মার্কসবাদী) রংপুর জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নগরীর প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল শেষে জাহাজ কোম্পানী মোড়ে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সমন্বয়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলু, জেলা কমিটির সদস্য পলাশ কান্তি নাগ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, গায়ের জোরে একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার বিইআরসির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে গ্রাহক পর্যায়ে ১লা সেপ্টেম্বর থেকে গ্যাসের দাম ২৬.২৯% ও বিদ্যুতের দাম ২.৯৩% বৃদ্ধির ঘোষণা দিল । এবছর গত জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে ও ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে দাম বৃদ্ধির গণশুনানি করে। এতে দাম বাড়ানোর পক্ষে কোন যুক্তি খুজে পায়নি বিইআরসি এবং এখনকার মত তখনও বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়েনি। গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা জনগণের দূর্ভোগের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেবে।
বক্তারা আরো বলেন, আন্তর্জাতকি বাজারের ন্যায় যদি তেলের দাম কমানো হতো তাহলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামসহ যানবাহনের ভাড়া কমত। অথবা তেলের বর্ধিত লভ্যাংশ গ্যাস-বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ দিলে জনজীবনের কষ্টের বোঝা কিছুটা কমতো। ভর্তূকি কমানোর নাম করে এই মূল্যবৃদ্ধি করা হচ্ছে, অথচ গ্যাস খাতে যা কিছু ভর্তূকি তার মূল কারণ বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে বেশি দামে গ্যাস কেনা। বিদ্যুতের ক্ষেত্রেও ভর্তূকির প্রধান কারণ দ্রুত উৎপাদন বাড়ানোর নামে তেলভিত্তিক রেন্টাল-কুইক, রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সরকারি নীতি। এইভাবে জনগণের অর্থ দিয়ে দেশি-বিদেশি লুটপাটকারীদের স্বার্থ রক্ষার নীতি বাস্তবায়ন করতেই বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে। মহাজোট সরকার বিদ্যুৎ-গ্যাস-জ্বালানি-তেল-পানি-শিক্ষা-চিকিৎসাসহ সবকিছুকে পণ্যে পরিণত করতে চায়। পুঁজিপতিদের মুনাফা লোটার সুযোগ করে দিতেই তারা দফায় দফায় এসব সেবার দাম বাড়ায়।
নেতৃবৃন্দ গণআন্দোলনের চাপে মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে সরকারকে বাধ্য করতে সর্বস্তররে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামার আহ্বান জানান।