গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম জেলা ১৯ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় দাবি সপ্তাহের (১২-১৯ সেপ্টেম্বর) শেষ দিনে নিউমার্কেট মোড়ে সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করে। বাসদ (মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম জেলার সদস্য সচিব কমরেড অপু দাশ গুপ্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা কমিটির সদস্য শফিউদ্দীন কবির আবিদ, রফিকুল হাসান।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, “গত ৬ বছরে ৬ দফা বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির পর আবারো বিদ্যুতের দাম ২.৯৩% এবং গ্যাসের দাম এক ধাক্কায় ২৬.২৯% বাড়িয়েছে মহাজোট সরকার। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম গত ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হওয়া সত্ত্বেও তেলের দাম না কমিয়ে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনপ্রতিনিধিত্বহীন এই সরকার জনস্বার্থের বিপরীতে লুটেরা-পুঁজিপতিদের স্বার্থরক্ষার আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।”
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির চাপে যখন মানুষ অতিষ্ট ঠিক তখন গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধানÍ সীমিত আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আরো বাড়াবে। মূল্যবৃদ্ধির ফলে কৃষিকাজে ও শিল্প উৎপাদন ও পরিবহন খরচ বাড়বে। ফলে জিনিসপত্রের দাম আরো এক দফা বাড়বে। গাড়িভাড়া ইতিমধ্যেই বেড়েছে।” নেতৃবৃন্দ বলেন, “একদিকে বাপেক্স-পেট্রোবাংলার পরিবর্তে বিদেশী কো¤পানির মাধ্যমে গ্যাস উত্তোলন করে; অন্যদিকে দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াবার নামে রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে সরকার জনগনের টাকায় দেশী-বিদেশী লুটপাটকারীদের পকেট ভারি করছে আর এর ফলে সৃষ্ট ঘাটতি পোষাতে গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করছে। আর এর দায় দিচ্ছে জনগণ।”
নেতৃবৃন্দ বলেন, “এর বিরুদ্ধে বাসদ (মার্কসবাদী) জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। ১২-১৯ সেপ্টেম্বর আমরা দাবি সপ্তাহ পালন করেছি। চট্টগ্রামের দেওয়ানহাট, শুভপুর বাসস্ট্যান্ড, আন্দরকিল্লা, কোতোয়ালী মোড়, নতুন ব্রীজ, ২নং গেট, মুরাদপুর, ফকিরহাট, জিইসি মোড় সহ বিভিন্ন স্থানে পথসভার মাধ্যমে অবিলম্বে বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছি।”
নেতৃবৃন্দ গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি এবং বাসভাড়া বৃদ্ধি সহ বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের সকল স্বৈরাচারী গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রতিরোধে দেশের সকল মধ্যবিত্ত-গরিব-মেহনতি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পুলিশ কর্তৃক আন্দোলনরত জনতার উপর হামলা ও হত্যা এবং নারীর শ্লীলতাহননকারীদের বিচারের দাবি জানান।