গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা চট্টগ্রাম জেলা শাখা ২০ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় নিউমার্কেট মোড়ে মিছিল ও সমাবেশ করে। গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম জেলা শাখার সমন্বয়ক হাসান মারুফ রুমীর সভাপতিত্বে মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাসদ (মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম জেলা শাখার সদস্য সচিব কমরেড অপু দাশ গুপ্ত, শফিউদ্দীন কবির আবিদ, সাবেক কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদাউস পপি, ফরহাদ জনি।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, “ অনির্বাচিত, জনপ্রতিনিধিত্বহীন মহাজোট সরকার গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে জনগনের উপর চরম দুর্ভোগ নামিয়ে এনেছে। গত ৬ বছরে ৬ দফা বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে মহাজোট সরকার। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম গত ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হওয়া সত্ত্বেও তেলের দাম না কমিয়ে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে সরকার জনস্বার্থের বিপরীতে লুটেরা-পুঁজিপতিদের স্বার্থরক্ষার আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।” নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির চাপে যখন মানুষ অতিষ্ট ঠিক তখন গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সীমিত আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আরো বাড়াবে। মূল্যবৃদ্ধির ফলে কৃষিকাজে ও শিল্প উৎপাদন ও পরিবহন খরচ বাড়বে। ফলে জিনিসপত্রের দাম আরো এক দফা বাড়বে। গাড়িভাড়া ইতিমধ্যেই বেড়েছে।” নেতৃবৃন্দ বলেন, “একদিকে বাপেক্স-পেট্রোবাংলার পরিবর্তে বিদেশী কোম্পানির মাধ্যমে গ্যাস উত্তোলন করে; অন্যদিকে দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াবার নামে রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে সরকার জনগনের টাকায় দেশী-বিদেশী লুটপাটকারীদের পকেট ভারি করছে আর এর ফলে সৃষ্ট ঘাটতি পোষাতে গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করছে। আর এর দায় দিচ্ছে জনগণ।”
নেতৃবৃন্দ পয়লা অক্টোবর থেকে বাসভাড়া বৃদ্ধির জনবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পুলিশ কর্তৃক আন্দোলনরত জনতার উপর হামলা ও হত্যা এবং নারীর শ্লীলতাহননকারীদের বিচারের দাবি জানিয়ে বলেন, “সারাদেশে অব্যাহত নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় স্পষ্ট সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। একের পর এক সংগঠিত নারী নির্যাতন এবং নির্যাতনকারীদের বিচার ও শাস্তি না হওয়ার ফলেই, ঘটনার ভয়াবহতা ক্রমাগত বাড়ছে। এর বিরুদ্ধে টাঙ্গাইলের জনগণ যেভাবে প্রতিবাদে নেমে এসেছে সেভাবেই সারাদেশের মানুষকে আজ সোচ্চার হতে হবে।”